২। আল্লায় মানুষ পয়দা করলা
হজরত মুছা (আঃ) এ লেখছইন:
(তৌরাত শরিফ, পয়দা নামা ১:২৬-২৮)
২৬ এরবাদে আল্লায় ফরমাইলা, আও আমরার ছুরতে আমরার লগে মিল রাখিয়া মানুষ বানাই। তারা দরিয়ার মাছ, আছমানর পাখি, জানুয়ার, মাটির মাজে বুকে চলরা জানদার, আর আস্তা দুনিয়াইর উপরে বাদশাই করউক।
২৭ তাইন তান নিজর ছুরতে মানুষ পয়দা করলা, এক্কেরে নিজর মত করি পয়দা করলা, পয়দা করলা বেটা আর বেটি। ২৮ আর তারারে বরকত নাজিল করিয়া কইলা, তুমিতাইন ফলআলা অইয়া বাড়িয়া দুনিয়াই ভরি যাও। দুনিয়াইরে শাসন করো, আর দরিয়ার মাছ, আছমানর পাখি, মাটির উপরে চলরা হকল জানদারর উপরে বাদশাই করো।
 
(তৌরাত শরিফ, পয়দা নামা ২:৪-২৫)
 অউ অইলো আছমান আর জমিন পয়দার বয়ান। মাবুদ আল্লায় যেবলা আছমান আর জমিন পয়দা করছিলা,  ই সময় জমিনর উপরে কুনুজাতর গাছ-পালা আছিল না আর কুনু লতা-পাতাও ফলিছে না, কারন তাইন জমিনর উপরে মেঘ দিছইন না, আর জমিন আবাদ করার মানুষও আছিল না।  অউ সময় মাটির মুর থাকি পানি উঠতো আর জমিন ভিজতো।  বাদে মাবুদ আল্লায় ফেক মাটি দিয়া মানুষ বানাইয়া তার নাকর মাজে ফু দিয়া জান হারাইলা। আর অউ মানুষ জানদার অইলো।  মাবুদ আল্লায় পুবেদি আদনো একটা বাগান করছিলা, হনো তানর বানাইল অউ মানুষরে রাখলা।  হিকানর মাটিত তাইন অউ লাখান গাছ অকল ফলাইছলা, যেতা দেখতে খুব সুন্দর আর ফলও খাইতে খুব মজা। আর বাগানর মাজখানো তাইন “জিন্দেগি-গাছ” আর “নেকি-বদির আখল দেওরা গাছ” নামর দুইটা গাছও রাখছিলা।
১০ হউ বাগানো পানি যুগাইয়া দিতো এক গাং আছিল, যেকটা আদনর মাজেদি বার অইয়া চাইর ভাগ অইগেছিল। ১১ পয়লা গাংগর নাম আছিল পিশোন, ইকটা আস্তা হবিলা দেশর ভিতরে দিয়া গেছে। ইনো সোনা পাওয়া যায়, ১২ আর অউ দেশর সোনা খুব খাটি, ইতা ছাড়াও হিনো মেশকে-আম্বর আর আকিক মনি পাওয়া যায়। ১৩ দুই নম্বর গাংগর নাম জিহোন, ইকটা আস্তা কুশ দেশর ভিতরে দিয়া গেছে। ১৪ তিন নম্বর গাংগর নাম দজলা, ইকটা আশিরিয়া দেশর পুবে দিয়া গেছে। আর চাইর নম্বর গাংগর নাম অইলো ফোরাত।
১৫ বাদে মাবুদ আল্লায় অউ মানুষরে আদন বাগানো রাখলা, হিনো খেত-খামার আর হেফাজত করার লাগি। ১৬ তাইন আদমরে হুকুম দিলা, “তুমি তুমার খুশিমত ই বাগিচার যেকুনু গাছর ফল খাইতায় পারবায়, ১৭ খালি নেকি-বদির আখলর গাছর ফল খাইও না, যেদিন তুমি অউ গাছর ফল খাইবায় ইদিন তুমি মরবায়উ মরবায়।”
১৮ এরবাদে মাবুদ আল্লায় কইলা, “মানষর লাগি একলা থাকা ভালা নায়। আমি তার লাখ একজন জুড়ি বানাইমু।” ১৯ আর মাবুদ আল্লায় দুনিয়াইর হকল জানদার আর আছমানর হকল পাখি মাটিদি বানাইয়া অউ মানষর ছামনে আনলা, দেখলা এইন ইতারে কিতা কইয়া ডাকইন, আর তাইন যারে যে নামে ডাকলা, তার অউ নাম অইলো। ২০ আদমে হকল পালা হেমান, আছমানর পাখি আর জংলি জানুয়ারর নাম রাখলা, ইতার মাজে তান লাখ কুনু জুড়ি মিললো না। ২১ এরবাদে তাইন আদমর মাজে বেহুশি ঘুম আনলা। অউ ঘুমর মাজে তান পাইঞ্জরর একটা আড্ডি খুলিয়া নিয়া জাগাটা বন্দ করি দিলা, ২২ আর অউ আড্ডি দিয়া মাবুদ আল্লায় এক বেটিমানুষ বানাইয়া আদমর গেছে আনলা। ২৩ তানে দেখিয়া আদমে কইলা, “অখন অইছে, তাই আমার আড্ডির আড্ডি, গোস্তর গোস্ত। তাইর নাম অইবো নারী, তাইরে নর থাকি নেওয়া।” ২৪ এরলাগি বেটাইন্তে মা-বাফরে ছাড়িয়া বউর লগে রইবা, তারা দুইওজন এক শরিল অইবা। ২৫ আদম আর তান বিবির শরিল উদাম থাকতো, ইতা কুনু শরম আছিল না।
 

১। অউ বয়ানর মাজে কিতা-কিতি পছন্দ অর?
২। বুজার লাগি কিতা-কিতি কঠিন মনো অর?
৩। অউ বয়ানর মাজে মানষর বেয়াপারে আমরারে কিতা-কিতি হিকায়?
৪। অউ বয়ানর মাজে আল্লা পাকর বেয়াপারে আমরারে কিতা হিকায়?
৫। অউ বয়ান কি লাখান মানার লাগি আল্লায় চাইন?