১ মাবুদ আল্লার পয়দা করা জমিনর হকল জানদারর মাজে হাফ অইলো হকল থাকি ফন্দিবাজ। অউ হাফে এক দিন হি বেটি মানষরে কইলো, “আল্লায় হাছাউ তুমাতানরে কইছইন নি, বাগানর হকল গাছর ফল তুমরা খাইতায় পারতায় নায়?” ২ বেটিয়ে কইলা, “বাগানর যেকুনু গাছর ফল আমরা খাইতাম পারি, ৩ খালি বাগানর মাজখানো যে গাছটা আছে, আল্লায় কইছইন, তুমরা এর ফল খাইও না, ছইও-ও না, ছইলেউ মরবায়।” ৪ অউ হাফে তানরে কইলো, “না, কুনুমন্তেউ মরতায় নায়। ৫ আল্লায় তো জানইন, যেদিন তুমরা ই গাছর ফল খাইলিবায় ইদিন তুমরার চউখ খুলিযিব, আর নেকি-বদির আখল পাইয়া তুমরা আল্লার লাখান অইযিবায়।” ৬ বেটিয়ে যেবলা বুজলা, অউ গাছর ফল খাইতে মজা অইবো, দেখতেও সুন্দর, আর আখলদারও অইযিমু, অউ তাইন ফল পাড়িয়া খাইলা, আর তান জামাইরেও দিলা আর জামাইয়েও খাইলিলা। ৭ লগে লগে তারা দুইও জনর চউখ খুলি গেল, আর বুজলা তাইন-তাইন লেমটা। অউ তারা ডুমুর গাছর কয়টা পাতা ছিড়িয়া সিলাই করি লেমটি বানাইলা।

৮ হাইঞ্জা বালা তারা মাবুদ আল্লার আওয়াজ হুনলা, তাইন বাগানর মাজে ফাখানিত আইরা। তেউ আদম আর তান বউ মাবুদ আল্লার ছামনে না পড়ার লাগি বাগানর গাছর আওড়ে লুকাইলা। ৯ মাবুদ আল্লায় আদমরে ডাক দিয়া জিকাইলা, “তুমি কুয়াই?” ১০ তাইন কইলা, “বাগানর মাজে আমি তুমার আওয়াজ হুনছি। আমি তো লেমটা, এরলাগি ডরাইয়া লুকাই রইছি।” ১১ তেউ মাবুদ আল্লায় জিকাইলা, “তুমি যে লেমটা কে কইলো? যে গাছর ফল খাইতে তুমারে না করছিলাম, খাইলিছো না কিতা?” ১২ আদমে কইলা, “যে বেটিমানুষ তুমি আমার লগে দিছো, তাই অউ গাছর ফল আমারে খাওয়াইছে।” ১৩ অউ মাবুদ আল্লায় বেটিরে জিকাইলা, “তুমি ইতা কিতা করলায়?” তাইন কইলা, “হাফে আমারে ছাল্লা দিয়া খাওয়াইছে।”