২৬। হজরত ইছায় মুর্দা লাছাররে জিন্দা করলা
(ইঞ্জিল শরিফ, আল-হান্নান ১১:১-৪৪)
 লাছার নামে একজন মানুষ বেমার আছলা। তান বাড়ি বায়ত-আনিয়া গাউত, মরিয়ম আর মার্থা নামর তান দুই বইনও অউ গাউত রইতা।  কয়দিন বাদে অউ মরিয়মেউ ইছার পাওয়ো খুশবয় আলা আতর মাখাইয়া, নিজর মাথার চুলদি পাও ফুছাই দিবা। অউ মরিয়মর ভাই অইলা বেমারি লাছার।  এরলাগি তান বইনাইন্তে অখান কইয়া হজরত ইছার গেছে খবর পাঠাইলা, “হুজুর, আপনার মায়ার মানুষ খুব বেমার।”  খবর পাইয়া ইছায় কইলা, “ই বেমার তো তার মউতর লাগি অইছে না, বরং আল্লার মহিমা জাইরর লাগিউ অইছে, যাতে এর মাজদি আমি ইবনুল্লার মহিমাও জাইর অয়।”
 হজরত ইছায় বিবি মার্থা, তান বইন আর লাছাররে খুব মায়া করতা।  লাছারর বেমারর কথা হুনার বাদেও ইছা যে জাগাত আছলা, হনো আরো দুইদিন রইলা।
 বাদে তান সাহাবি অকলরে কইলা, “আও, আমরা হিরবার এহুদিয়া জিলাত যাই।”  সাহাবি অকলে কইলা, “হুজুর, অউ কয়দিন আগে হনর মানষে আপনারে পাথর মারতা চাইলা, অখন আপনে হিরবার হনো যাইতা নি?”  তাইন কইলা, “দিনর বেলা তো বারো ঘন্টা আছে, কেউ যুদি দিনর বেলা চলা-ফিরা করে, হে উষ্টা খায় না, কারন হে অউ দুনিয়ার ফর দেখে। ১০ আর কেউ যুদি রাইতর বেলা চলা-ফিরা করে, হে উষ্টা খায়, কারন তার মাজে কুনু ফর নাই।”
১১ অখান কইয়া হারি তান সাহাবি অকলরে কইলা, “হুনো, আমরার দুস্ত লাছার ঘুমাই গেছেগি, আমি তারে হজাগ করাত যাইয়ার।” ১২ ইখান হুনিয়া সাহাবি অকলে কইলা, “হুজুর, হে যুদি ঘুমো থাকে, তে তো ভালা অইযিবো।” ১৩ ইছায় লাছারর মউতর কথা কইছলা, অইলে তারা মনো করলা, তাইন এমনে ঘুমর কথা কইছইন। ১৪ তেউ ইছায় পরিস্কার করি কইলা, “লাছার মারা গেছে। ১৫ অইলে আমি তুমরার কথা মনো করিয়া খুশি অইছি, আমি হিনো আছলাম না, যাতে তুমরা একিন করতায় পারো। অখন আও, আমরা লাছারর গেছে যাই।” ১৬ তেউ তান সাহাবি থুমাছে লগর সাহাবি অকলরে কইলা, “আও না, আমরাও যাই, যাতে তান লগে মরতাম পারি।” অউ থুমাছরে জমজ কইয়া ডাকা অয়।
১৭ হনো গিয়া হারলে হজরত ইছায় হুনলা, তাইন যাওয়ার চাইর দিন আগেউ লাছাররে দাফন করা অইগেছে। ১৮ জেরুজালেম টাউন থাকি অউ বায়ত-আনিয়া গাউ অনুমান দুই মাইল দুরই আছিল। ১৯ লাছারর মউতর বাদে তান বইন বিবি মার্থা আর মরিয়মরে বুজ দেওয়ার লাগি ইহুদি সমাজর বউত মানুষ আইলা। ২০ এরমাজে হজরত ইছায় তশরিফ আনরা হুনিয়া বিবি মার্থা তান লগে দেখা করাত গেলা, অইলে মরিয়ম ঘরো বই রইলা। ২১ বিবি মার্থায় ইছারে কইলা, “হুজুর, আপনে যুদি অনো রইতা, তে আমার ভাইগু মরলো না অনে। ২২ অইলে এরবাদেও আমি জানি, আপনে আল্লার গেছে যেতা চাইবা, তাইন আপনারে অতা দিবা।”
২৩ ইছায় কইলা, “হুনো, তুমার ভাই হিরবার জিন্দা অইয়া উঠবো।” ২৪ তেউ মার্থায় কইলা, “জিঅয়, আমি জানি কিয়ামতর দিন যেবলা মুর্দা অকল জিন্দা অইবা, অউ সময় হে-ও জিন্দা অইয়া উঠবো।” ২৫ ইছায় মার্থারে কইলা, “আমিউ তো কিয়ামত আর জিন্দেগি। যে জনে আমার উপরে ইমান আনে হে মরলেও জিন্দা অইবো। ২৬ আর যে জনে আসল জিন্দা অইয়া আমার উপরে ইমান আনে, হে কুনুদিনও মরতো নায়। তুমি ইখান একিন করো নি?” ২৭ মার্থায় কইলা, “জিঅয় হুজুর, আমি ইমান আনছি, আল্লার ওয়াদা করা যে জনে দুনিয়াত তশরিফ আনার কথা, আপনেউ হউ আল-মসী ইবনুল্লা, আল্লার খাছ মায়ার জন।”
২৮ অখান কইয়া মার্থায় গিয়া তান বইন মরিয়মরে চুপতে ডাকিয়া নিয়া কইলা, “হুনো, হুজুর অনো আছইন, তাইন তুমারে ডাকিরা।” ২৯ তেউ মরিয়ম জলদি করি ইছার কান্দাত গেলা। ৩০ ইছা অউ সময়ও গাউর ভিতরে হামাইছইন না, মার্থায় তান লগে যেনো দেখা করছলা, তাইন হনোউ উবাই রইছলা। ৩১ আর ঘরর ভিতরে যেতা ইহুদি অকলে মরিয়মরে বুজ দেওয়াত আছলা, মরিয়মে আখতাউ বারে যাওয়াত দেখিয়া তারা তান খরে খরে গেলা। তারা মনো করলো, মরিয়ম কয়বরর গেছে কান্দা-কাটি করাত যাইরা। ৩২ ইছা যে জাগাত আছলা, মরিয়মও হনো গেলা আর ইছারে দেখিয়া তান পাওয়ো পড়িয়া কইলা, “হুজুর, আপনে যুদি অনো থাকতা, তে আমার ভাইগু মরলো না অনে।”
৩৩ মরিয়ম আর তান লগর ইহুদি অকলর কান্দন-আহাজারি দেখিয়া হজরত ইছার দিলর রুহ গরম অইগেল, তাইন কাতর অইগেলা। ৩৪ তাইন এরারে জিকাইলা, “লাছাররে কুয়াই দাফন করছো?” তারা কইলা, “হুজুর আউক্কা, দেখি যাউক্কা।” ৩৫ অউ সময় ইছায় কান্দি দিলা। ৩৬ তান কান্দন দেখিয়া হনর এরা কইলা, “দেখরায় নি, তাইন লাছাররে কতো মায়া করতা!” ৩৭ অইলে কুনু কুনু জনে কইলা, “যেইন আন্দার চউখ ভালা করছইন, তাইন ইলা কুন্তা করতা পারলা অনে না নি, যাতে লাছারগু না মরে?”
৩৮ ইতা হুনিয়া হজরত ইছার দিলর রুহ হিরবার গরম অইগেল, তাইন লাছারর কয়বরর ধারো গেলা। ই কয়বর আছিল গুহার লাখান এক গাতো আর কয়বরর মুখো এক পাথর দেওয়া আছিল। ৩৯ তাইন মানষরে কইলা, “পাথরটা হরাও।” লাছারর বইন মার্থায় কইলা, “হুজুর, অখন তো লাশ পচিয়া গন্দ বার অইগেছে, তাইন চাইর দিন আগে মারা গেছইন।” ৪০ ইছায় এনরে কইলা, “আমি তো তুমারে কইছি, তুমি যুদি একিন করো, তে আল্লার কুদরতি মহিমা দেখবায়।” ৪১ তেউ মানষে কয়বরর মুখর পাথরটা হরাইলা।
ইছায় আছমানর বায় চাইয়া দোয়া করলা, “ও গাইবি বাবা, তুমি আমার কথা হুনছো, এরলাগি আমি তুমার শুকরিয়া আদায় করি। ৪২ আমি জানি, তুমি হামেশা আমার কথা হুনো। অইলে আমার চাইরোবায় যেতা মানুষ আছইন, তারা যাতে একিন করইন, তুমি আমারে পাঠাইছো, এরদায়উ অখান কইলাম।” ৪৩ অখান কইয়া তাইন জুরে ডাক দিয়া কইলা, “লাছার, বার অইয়া আও।” ৪৪ তেউ মুর্দা লাছার কয়বর থাকি বার অইয়া আইলা। তান আত-পাও কাফনদি পেচাইল আছিল, আর মুখ আছিল রুমাল দিয়া বান্দা। ইছায় মানষরে কইলা, “তার বান্দ খুলো আর তারে যাইতে দেও।”
 

১। অউ বয়ানর মাজে কিতা-কিতি পছন্দ অর?
২। বুজার লাগি কিতা-কিতি কঠিন মনো অর?
৩। অউ বয়ানর মাজে মানষর বেয়াপারে আমরারে কিতা-কিতি হিকায়?
৪। অউ বয়ানর মাজে আল্লা পাকর বেয়াপারে আমরারে কিতা হিকায়?
৫। অউ বয়ান কি লাখান মানার লাগি আল্লায় চাইন?