২৯। আল্লার লগে মানষর মিলনর উছিলার সম্বন্ধে হজরত ইছার কথা
(ইঞ্জিল শরিফ, আল-মথি ২৬:১৭-৩০)
১৭ খামির ছাড়া রুটি খাওয়ার ইদর পয়লা দিন, সাহাবি অকলে আইয়া ইছারে জিকাইলা, “হুজুর, আমরা কুন জাগাত গিয়া আপনার লাগি আজাদি ইদর খানা তিয়ার করতাম?” ১৮ তাইন জুয়াপ দিলা, “তুমরা টাউনো যাও। গিয়া অমুক মানষরে কইও, ‘হুজুরে কইছইন, আমার সময় ঘনাইয়া আইচ্ছে, তে আমি আমার সাহাবি অকলরে লইয়া তুমার বাড়িত ইদ করমু।’ ” ১৯ ইছার হুকুম মাফিক সাহাবি অকলে গিয়া আজাদি ইদর খানি তিয়ার করলা।
২০ বাদে হাইঞ্জা বালা ইছায় তান বারোজন সাহাবিরে লইয়া খানিত বইলা। ২১ বইয়া কইলা, “আমি তুমরারে হাছা কথা কইরাম, তুমরার মাজর এক জনেউ তো আমারে দুশমনর আতো ধরাই দিবো।” ২২ ইখান হুনিয়া তারা খুব বেজার অইগেলা। এরলাগি তারা এক এক করি জিকাইলা, “হুজুর, ই জন কিতা আমি নি?”
২৩ তাইন কইলা, “অখন যে জনে আমার লগে অইয়া থালো আত হারার, হে-উ আমারে ধরাইয়া দিবো। ২৪ আমি বিন-আদমর মউতর বেয়াপারে আছমানি কিতাবো যেলা লেখা আছে, আমার মউত তো অউলাউ অইবো। অইলে আফছুছ হউ জনর লাগি, যেগিয়ে আমারে ধরাইয়া দিবো। দুনিয়াত তার জনম না অওয়াউ, তার লাগি বউত ভালা আছিল।” ২৫ যে ইহুদায় ইছারে ধরাই দিতো চার, হে তানরে জিকাইলো, “হুজুর, হি জন কিতা আমি নি?” ইছায় তারে কইলা, “তুমি ঠিকউ কইরায়।”
২৬ তারা খানা খাইরা, অউ সময় ইছায় রুটি আতো লইয়া আল্লার শুকরিয়া আদায় করলা। তাইন রুটি ছিড়িয়া টুকরা টুকরা করি সাহাবি অকলরে দিলা। দিয়া কইলা, “অউ নেও, খাও, মনো করো ইতা আমার কায়া।”
২৭ বাদে তাইন শরবতর পিয়ালা লইয়া আল্লার শুকরিয়া জানাইলা, আর এরারে দিয়া কইলা, “তুমরা হকলে অউ পিয়ালা থাকি আংগুরর শরবত খাও। ২৮ মনো করিও, ইতা আমার লউ। অউ লউর জরিয়ায় আদম জাতির বউতর গুনা মাফি অইবো। আল্লার লগে মানষর মিলনর উছিলা অইলো অউ লউ। ২৯ আমি হাছা কথা কইয়ার, আমি আমার গাইবি বাফর বাদশাইত দাখিল অইয়া হারি, তুমরারে লগে লইয়া যতদিন নয়া হালতে আংগুরর শরবত না খাইছি, অতো দিন ই শরবত আর খাইতাম নায়।” ৩০ হেশে তারা হকলে মিলি এক গজল গাইয়া, ঘর থাকি বার অইয়া জয়তুন পাড়ো গেলাগি।
 

১। অউ বয়ানর মাজে কিতা-কিতি পছন্দ অর?
২। বুজার লাগি কিতা-কিতি কঠিন মনো অর?
৩। অউ বয়ানর মাজে মানষর বেয়াপারে আমরারে কিতা-কিতি হিকায়?
৪। অউ বয়ানর মাজে আল্লা পাকর বেয়াপারে আমরারে কিতা হিকায়?
৫। অউ বয়ান কি লাখান মানার লাগি আল্লায় চাইন?