৩০। দুশমনর আতো হজরত ইছা
(ইঞ্জিল শরিফ, আল-হান্নান ১৮:১-১৯:১৬)
১ অউ মুনাজাতর বাদে হজরত ইছায় তান সাহাবি অকলরে লইয়া কিদ্রোন নামর এক পাড়িয়া খাল পার অইয়া গেলা। গিয়া তারারে লইয়া এক বাগানর ভিতরে হামাইলা। ২ বেইমান ইহুদায় ই জাগা চিনতো, কারন ইছায় আগে বউত বার সাহাবি অকলরে লইয়া অনো বইছইন।
৩ এরমাজে বড় ইমাম আর ফরিশি অকলে অউ ইহুদার লগে এক দল সিপাই আর বায়তুল-মুকাদ্দছর কয়জন পুলিশ পাঠাইলা। ইহুদায় তারারে লইয়া অনো আইলো, অউ সময় তারার আতো লেম, মুশাল, আর অস্ত্র-শস্ত্র আছিল।
৪ ইছায় আগ থাকিউ হকলতা জানতা, তান উপরে কিতা ঘটবো। এরলাগি তাইন আগুয়াইয়া আইয়া তারারে জিকাইলা, “আপনারা কারে তুকাইরা?” ৫ তারা কইলা, “নাছারত গাউর ইছারে।” তাইন কইলা, “আমিউ হেইন।” অউ সময় বেইমান ইহুদাও তারার লগে আছিল। ৬ ইছায় যেবলা কইলা, “আমিউ হেইন,” ইখান হুনিয়াউ তারা খরেদি গিয়া মাটিত পড়িগেলা। ৭ তাইন হিরবার তারারে জিকাইলা, “আপনারা কারে চাইরা?” তারা কইলা, “নাছারত গাউর ইছারে।” ৮ তাইন কইলা, “আমি তো কইলাম, আমিউ হেইন। আপনারা যুদি আমারেউ তুকানিত আইন, তে আমার লগর এরারে ছাড়ি দেউক্কা।” ৯ আসলে ইলা ঘটলো, যাতে ইছায় আগে যেতা কইছলা অতা পুরা অয়। তাইন কইছলা, “বাবা, তুমি যেরারে আমার আতো সপিছো, এরা একজনরেও আমি খুয়াইছি না।”
১০ অউ সময় সাইমন-পিতরর লগে একখান তলোয়ার আছিল, অখান বার করিয়া, তাইন পরধান ইমামর গুলামর ডাইন কান কাটিলিলা। ই গুলামর নাম আছিল মালকুছ। ১১ এরলাগি ইছায় পিতররে কইলা, “তুমার তলোয়ার খাপো হারাও। গাইবি বাফে আমারে যে মছিবতর পিয়ালা দিছইন, ইকটার স্বাদ আমি লইতাম না নি?”
১২ অউ সময় সিপাই অকলে, পরধান সিপাইয়ে আর বায়তুল-মুকাদ্দছর পুলিশ অকলে ইছারে ধরিয়া বান্দিলিলো। ১৩ বান্দিয়া পয়লা তারা হাননর গেছে লইয়া গেল। ই হানন আছলা হউ বছরর পরধান ইমাম কায়াফার হউর। ১৪ অউ কায়াফায় আগে ইহুদি নেতা অকলরে কইছলা, “আস্তা জাতি বিনাশ অওয়ার চাইতে, হকলর বদলা একজনর মরন আরো ভালা।”
১৫ অউ সময় পিতর আর আরক জন সাহাবি ইছার খরে খরে গেলা। অউ সাহাবিরে পরধান ইমামে চিনতা। এইন ইছার লগে অইয়া পরধান ইমামর বাড়ির উঠানো হামাইলা। ১৬ অইলে পিতর বাইরে গেইটর গেছে উবাই রইলা। তেউ পরধান ইমামর পরিচিত ইছার অউ সাহাবি বারে গিয়া পারাদার বেটিরে কইয়া পিতররে ভিতরে আনাইলা। ১৭ অউ বেটিয়ে পিতররে কইলো, “তুমিও এন মুরিদ নি?” পিতরে কইলা, “না, না, আমি নায়।” ১৮ অউ সময় খুব শীত পড়ছিল, এরদায় সিপাই আর গুলাম অকলে উঠানো আংরাদি আগুইন ধরাইয়া আগুইন তাবানিত লাগলা। পিতরেও তারার ধারো উবাইয়া আগুইন তাবাইলা।
১৯ অউ সময় পরধান ইমামে ইছারে তান উম্মত আর তান তালিমর বেয়াপারে জিকাইলা। ২০ ইছায় জুয়াপ দিলা, “আমি মানষর ছামনে খুলা-মেলা মাতিছি। ইহুদি অকল যেখানো জমা অইন, অতা মছিদো আর বায়তুল-মুকাদ্দছো হামেশা তালিম দিছি। আমি তো লুকাইয়া কুন্তা কইছি না। ২১ তে আমারে আর কেনে জিকাইরা? আমার তালিম যেরা হুনছে, তারারেউ জিকাউক্কা। আমি যে তালিম দিছি, ইতা তারার জানা আছে।” ২২ ইছার ই জুয়াপ হুনিয়া, কান্দাত যে সিপাই অকল উবা আছলা, এরা একজনে তানরে চড় মারিয়া কইলো, “তুই পরধান ইমামরে অলা জুয়াপ দিরে নি?” ২৩ তাইন কইলা, “আমি যুদি বাদ কুন্তা কইয়া থাকি তে কউক্কা, আর ভালা মাত মাতিলে আমারে মাররা কেনে?” ২৪ অউ সময় হাননে বান্দা হালতে ইছারে পরধান ইমাম কায়াফার গেছে পাঠাই দিলা।
২৫ সাহাবি সাইমন-পিতরে যেবলা আগুইন তাবাইরা, অউ সময় মানষে তানরে কইলো, “তুমিও তার লগর একজন সাহাবি নি?” পিতরে দুছরা বার অস্বীকার করি কইলা, “না, না, আমি নায়।” ২৬ পিতরে যার কান কাটিছলা, তার এক কুটুম আছিল পরধান ইমামর গুলাম। হে কইলো, “আমি বাগানর ভিতরে অগুর লগে তুমারেও দেখলাম না নি?” ২৭ পিতরে হিরবার অস্বীকার করলা, আর লগে লগেউ মুরগায় বাং দিলাইলো।
২৮ ইহুদি নেতা অকলে বিয়ানে ইছারে কায়াফার গেছ থাকি, রোমান বাদশার পরধান হাকিম পিলাতর টংগিত লইয়া গেলা। অইলে তারা বাড়ির ভিতরে হামাইলা না, যাতে বে-দীন হাকিমর বাড়িত হামাইয়া নাপাক না অইন, বরং পাক-ছাফ রইয়া আজাদি ইদর খানি খাইতা পারইন। ২৯ এরলাগি রোমান হাকিম পিলাত বারে আইয়া জিকাইলা, “ই বেটার বিরুদ্ধে তুমরার নালিশ কিতা?” ৩০ তারা কইলা, “হে অপরাধ না করলে তো আপনার গেছে আনলাম না অনে।” ৩১ পিলাতে তারারে কইলা, “তুমরা তারে লইয়া যাওগি, গিয়া তুমরার শরিয়ত মাফিক বিচার করিলাও।” ইখান হুনিয়া তারা পিলাতরে কইলা, “কুনু মানষরে জানে মারার মতো সাজা দেওয়ার খেমতা আমরার আতো নাই, খালি রোমান অকলর আতো আছে।” ৩২ নিজর মউত কিলান অইবো, ইছায় ইখান আগেউ কইছইন। তে ইতা অইলো, যাতে তান অউ কথা ফলে।
৩৩ তেউ পিলাত হিরবার টংগির ভিতরে হামাইলা আর ইছারে ডাক দিয়া কইলা, “ওবা, তুমি কিতা ইহুদি অকলর বাদশা নি?” ৩৪ তাইন জুয়াপ দিলা, “আপনে নিজে অউ কথা কইরা, না মানষে আমার বেয়াপারে আপনারে কইছে?” ৩৫ পিলাতে জুয়াপ দিলা, “আমি কিতা ইহুদি নি? তুমার নিজর জাতির মানষে আর বড় ইমাম অকলে তুমারে আমার আতো দিছে। কও, তুমি কিতা করছো?” ৩৬ ইছায় কইলা, “আমার বাদশাই ই দুনিয়ার নায়। আমার বাদশাই যুদি অউ দুনিয়ার অইতো, তে ইহুদি নেতা অকলর আতো আমি না পড়ার লাগি আমার মানষে লাড়াই করলো অনে, অইলে আমার বাদশাই তো ইনর নায়।” ৩৭ ইখান হুনিয়া পিলাতে ইছারে জিকাইলা, “তাইলে তুমি কিতা বাদশা নি?” ইছায় কইলা, “আপনেউ তো কইরা, আমি বাদশা। হুনউক্কা, হকর পক্ষে সাক্ষি দেওয়ার লাগি আমি দুনিয়াত আইছি। যারা হকর লগে আছে, তারা আমার কথা হুনে।”
৩৮ পিলাতে তানরে কইলা, “তে হক খান কিতা?” অখান কইয়া তাইন হিরবার বারে গিয়া ইহুদি নেতা অকলরে কইলা, “আমি তো এর কুনু দুষ পাইছি না। ৩৯ অইলে তুমরার তো একটা রেওয়াজ আছে, আজাদি ইদর সময় আমি একজন কয়দিরে খালাছ দেই। তে তুমরা চাও নি, আমি ইহুদির অউ বাদশারে ছাড়ি দিতাম?” ৪০ ইখান হুনিয়া তারা চিল্লাইয়া কইলো, “না, না, এরে না, বারাব্বারে ছাড়ি দেউক্কা।” অউ বারাব্বা আছিল এক ডাকাইত।
১ বাদে রোমান হাকিম পিলাতে ইছারে চাবুক মারার হুকুম দিলা। ২ আর সিপাই অকলে গছা-কাটা দিয়া এক মুকুট বানাইয়া তান মাথাত দিলো, আর বাইংগনি রংগর বাদশাই লেবাছ ফিন্দাইলো। ৩ বাদে তারা তান ছামনে আইয়া কইলো, “ও ইহুদির বাদশা, মারহাবা!” অখান কইয়া কইয়া তারা তান গালো চড়াইলো। ৪ তেউ পিলাত হিরবার বারে আইয়া কইলা, “হুনো, আমি এরে তুমরার গেছে বার করিয়া আনিয়ার, তেউ তুমরা বুজবায়, আমি এর কুনু দুষউ পাইরাম না।” ৫ হউ গছা-কাটার মুকুট আর বাইংগনি লেবাছ ফিন্দা হালতে ইছা বার অইয়া আইলা, আর পিলাতে কইলা, “অউ দেখো, হউ মানুষ।” ৬ ইছারে দেখিয়া বড় ইমাম আর বায়তুল-মুকাদ্দছর পুলিশ অকলে চিল্লাইয়া কইলা, “তারে সলিবো দেও, সলিবো দেও।” পিলাতে কইলা, “আমি তো তার কুনু দুষ পাইছি না, তে তুমরাউ তারে নিয়া সলিবো গাথিলাও।” (ই সলিব অইলো লাকড়িদি বানাইল, মানষরে লটকাইয়া মারার এক জিনিস।) ৭ ইহুদি নেতা অকলে পিলাতরে কইলা, “আমরার শরিয়ত মাফিক তার মরন অওয়া উচিত, কারন হে নিজরে আল্লার খাছ মায়ার জন, ইবনুল্লা কইছে।”
৮ ইখান হুনিয়া পিলাতে আরো বেশি ডরাইগেলা। ৯ তাইন হিরবার টংগি-ঘরর ভিতরে হামাইয়া ইছারে জিকাইলা, “তুমি কুয়াই থাকি আইছো?” অইলে ইছায় কুনু জুয়াপ দিলা না। ১০ এরদায় পিলাতে ইছারে কইলা, “তুমি আমার মাতর কুনু জুয়াপ দিতায় না নি? তুমি জানো নি, তুমারে খালাছ দিবার বা সলিবর উপরে লটকাইয়া মারার খেমতা আমার আছে?” ১১ তেউ ইছায় কইলা, “উপরে থাকি আপনারে খেমতা না দেওয়া অইলে, আমার উপরে আপনার কুনু খেমতাউ থাকতো না। এরলাগি যে মানষে আমারে আপনার আতো ধরাই দিছে, হে-উ বড় গুনাগার।” ১২ ইখান হুনিয়া পিলাতে ইছারে খালাছ দিলাইতা চাইলা, অইলে ইহুদি নেতা অকলে চিল্লাইয়া কইলা, “আপনে যুদি এরে খালাছ দিলাইন, তে আপনে রোমান বাদশার দুস্ত নায়। যে মানষে নিজরে বাদশা কইয়া দাবি করে, হে তো রোমান বাদশার দুশমন।”
১৩ ইখান হুনিয়া পিলাতে ইছারে বার করি আনলা আর পাথরদি-বান্দা নামর এক উঠানো বিচারর আসনো বইলা। ইবরানি ভাষায় ই উঠানরে গাব্বাথা কওয়া অয়। ১৪ ই দিন আছিল আজাদি ইদর আয়োজনর দিন। অউ সময় বেইল অনুমান দুইফর অইগেছে। পিলাতে ইহুদি নেতা অকলরে কইলা, “অউ দেখো, তুমরার বাদশা।” ১৫ ইছারে দেখিয়া তারা চিল্লাইয়া কইলো, “অগুরে হরাও, হরাও, তারে সলিবো দেও।” পিলাতে কইলা, “তুমরার বাদশারে আমি সলিবো দিলাইতাম নি?” বড় ইমাম অকলে কইলা, “খালি রোমান বাদশা ছাড়া, আমরার আর কুনু বাদশা নাই।” ১৬ তেউ হাকিম পিলাতে সলিবর উপরে লটকাইয়া মারার লাগি ইছারে তারার আতো সমজাই দিলা, আর সিপাই অকলে তানরে লইয়া গেলা।
১। অউ বয়ানর মাজে কিতা-কিতি পছন্দ অর?
২। বুজার লাগি কিতা-কিতি কঠিন মনো অর?
৩। অউ বয়ানর মাজে মানষর বেয়াপারে আমরারে কিতা-কিতি হিকায়?
৪। অউ বয়ানর মাজে আল্লা পাকর বেয়াপারে আমরারে কিতা হিকায়?
৫। অউ বয়ান কি লাখান মানার লাগি আল্লায় চাইন?