১ ই ঘটনার বাদে আল্লায় ইব্রাহিমর এক পরিক্ষা লইলা। আল্লায় তানরে ডাক দিলা, “ইব্রাহিম!” তাইন জুয়াপ দিলা, “অউনু আমি।” ২ মাবুদে ফরমাইলা, “তুমার পুয়ারে, যারে তুমি অতো মহব্বত করো, হউ খাছ মায়ার পুত ইছহাকরে লইয়া তুমি মোরিয়া এলাকাত যাও। হখানো যে পাড়র কথা আমি তুমারে কইমু, এর উপরে তারে নিয়া জালাইল কুরবানি দেও।” ৩ তেউ ইব্রাহিমে ফজরে উঠিয়া গাধার পিঠিত গদ্দি লাগাইয়া তান পুয়া ইছহাক, দুইজন গুলাম আর জালাইল কুরবানির লাগি লাকড়ি কাটিয়া লইয়া, যে জাগার কথা আল্লায় তানরে কইছলা, হবায়দি রওয়ানা অইলা। ৪ তিন দিনর দিন ইব্রাহিমে চউখ তুলিয়া চাইতেউ দুরই থাকি হউ জাগাখান দেখলা। ৫ অউ তান গুলাম অকলরে কইলা, “তুমরা গাধাটা লইয়া অনো উবাও, আমি আর আমার পুয়া হনো গিয়া এবাদতি শেষ করিয়া হারলে তুমরার গেছে আইমু।” ৬ ইব্রাহিমে জালাইল কুরবানির লাকড়ির আটা তান পুয়া ইছহাকর কান্দো তুলিয়া দিয়া নিজে আগুইনর পাতিল আর ছুরি লইয়া, দুইও জনে ছামনর বায় আগুয়াইলা। ৭ অউ ইছহাকে তান বাফরে কইলা, “বাবা।” তাইন কইলা, “কিতারে বাফ কও?” ইছহাকে কইলা, “ইনো তো লাকড়ি আর আগুইন আছে, তে কুরবানির মেড়ার বাইচ্চা কুয়াই?” ৮ তাইন জুয়াপ দিলা, “বাবারে, কুরবানির লাগি আল্লায় নিজেউ মেড়ার বাইচ্চা যুগাইবা।” অতা মাততে মাততে তারা আগুয়াই গেলা।

৯ আল্লার পছন্দর জাগাত পৌছিয়া ইব্রাহিমে কুরবানি খানা বানাইয়া, লাকড়ি হাজাইলা। বাদে নিজর পুয়া ইছহাকরে বান্দিয়া অউ দারুর উপরে হুতাইলা। ১০ আর তাইন নিজর পুয়ারে কুরবানির লাগি ছুরি আতো লইলা। ১১ অউ মাবুদর ফিরিস্তায় আছমান থনে তানে ডাক দিলা, “ইব্রাহিম! ও ইব্রাহিম!” তাইন কইলা, “অউনু আমি।” ১২ ফিরিস্তায় কইলা, “পুয়াগুর বায় তুমার আত তুলিও না, বা তারে আর কুন্তা করিও না। তুমি যেন আল্লারে ডরাও ইতা বুজা গেছে, কারন আমারে তুমার পুয়া, তুমার খাছ মায়ার পুয়া দান করতেও না-খুশ অইছো না।” ১৩ ইব্রাহিমে চউখ তুলি চাইয়া দেখইন, তান খরে একটা দুম্বা আর তার হিং জংগলর মাজে আটকি রইছে। অউ তাইন গিয়া দুম্বাটা আনিয়া, নিজর পুয়ার বদলা জালাইল কুরবানি দিলা। ১৪ তাইন হি জাগার নাম রাখলা ইয়াওয়েহ্‌-যিরিহ্‌ [মানি, মাবুদে যুগাইন]। এরলাগি অখনও মানষে কইন, “মাবুদর পাড়ো যুগাইল অইবো।”

১৫ মাবুদর ফিরিস্তায় আছমান থনে হিরবার ইব্রাহিমরে ডাকিয়া কইলা, ১৬ “হুনো, মাবুদে কইরা, তুমি অউলা করলায়, তুমার পুয়ারে, তুমার খাছ মায়ার পুয়ারে দান করতেও নারাজ অইলায় না। এরলাগি আমি মাবুদে কছম করিয়া কইয়ার, ১৭ আমি নিচয় তুমারে বরকত নাজিল করমু, তুমার বংশরে আছমানর তেরা আর দরিয়ার চরর বালুর লাখান বেহিসাব করমু। তুমার বংশয় তারার দুশমনর টাউন অকল দখল করবা। ১৮ আর তুমার বংশর উছিলায় দুনিয়ার হকল জাতিয়ে বরকত হাছিল করবা। কারন তুমি আমার হুকুম মানছো।” ১৯ বাদে ইব্রাহিমে তান গুলাম অকলর গেছে ফিরিয়া আইলা, আর তারা একলগে বের-শেবা নামর জাগাত গেলা। অউ জাগাতউ তাইন বসতি করলা।