১ অউ সময় এহুদিয়া জিলার মরুভুমিত আইয়া এহিয়া নবীয়ে তবলিগ করলা, ২ “তৌবা করো, দুনিয়ার মাজে বেহেস্তি বাদশাই চালু অইতে আর বেশি দেরি নায়।” ৩ অউ এহিয়া নবীর বেয়াপারেউ ইশায়া নবীয়ে আগে বাতাইছলা,

৭ তাইন দেখলা, তৌবার গোছল করার লাগি বউত ফরিশি আর সিদ্দেকিয়া মজহবর মানুষও তান গেছে আইরা। অউ তাইন কইলা, “ও হাফর বাইচ্চাইন, আছমানি গজব আইওর দেখিয়া জান বাচানির পথ তুমরারে খেগিয়ে বাতাই দিলো? ৮ তুমরা যুদি হাছারর তৌবা করিয়া থাকো, তে এর ফলও দেখাও। ৯ মনে মনে কইও না, তুমরা ইব্রাহিমর আওলাদ। হুনো, আমি কইরাম, আল্লায় চাইলে তো অউ পাথর অকল থাকিউ ইব্রাহিমর আওলাদ বানাইতা পারবা। ১০ গাছর গুড়িত তো কুড়াল লাগাইলউ আছে। যে গাছো ভালা ফল ধরে না, ই গাছ কাটিয়া আগুনিত ফালাইল অইবো।

১১ “তৌবা করছো গতিকে আমি তুমরারে পানিদি গোছল করাইলাম, অইলে আমার বাদে আরো একজন আইরা, এইন আমা থনেও হিম্মত আলা, তান পাওর জুতা বওয়ার লাখও আমি নায়। তাইন আইয়া তুমরারে পাক রুহ আর আগুইনদি গোছল করাইবা। ১২ তান কুলা তো তান আতোউ আছে, ইখান দিয়া তাইন ধান উয়াইয়া উগারো তুলবা, আর ছুছারে অউ আগুনিত ফালাইয়া জালাইবা, যে আগুইন কুনু সময় নিভতো নায়।”

১৩ অউ সময় গালিল জিলা থাকি হজরত ইছাও পাক গোছল করার লাগি, জর্দান গাংগো এহিয়া নবীর গেছে আইলা। ১৪ অইলে এহিয়ায় তানরে অখান কইয়া না করলা, “আপনে আইছইন নি আমার গেছে, আমারউ জরুর আছিল আপনার গেছে গিয়া গোছল করা!” ১৫ ইছায় জুয়াপ দিলা, “আইচ্ছা, অখন অলাউ অউক, কারন আমরার উচিত অইলো আল্লার মর্জি পুরন করা।” ইখান হুনিয়া এহিয়া রাজি অইগেলা।

১৬ পাক গোছল করিয়া পানি থাকি উঠতেউ ইছায় দেখলা, আছমান দুই ভাগ অইগেছে, আর আল্লার রুহ পারোর ছুরত ধরিয়া তান উপরে লামিয়া আইরা। ১৭ অউ সময় আছমান থনে গাইবি আওয়াজ অইলো, “এইনউ আমার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা, এন উপরে আমি খুব খুশি।”

২৯ বাদর দিন এহিয়া নবীয়ে দেখলা হুজুর ইছা তান গেছে আইরা, দেখিয়া কইলা, “অউ দেখরায় নি আল্লাই মেড়ার বাইচ্চা, যেন উছিলায় হক্কল মানষর গুনার মাফি অয়। ৩০ এইন অইলা হউ জন, যেন বেয়াপারে আমি আগে কইছলাম, আমার বাদে একজনে তশরিফ আনরা, আসলে তাইন আমার আগ থাকিউ আছইন, আর তাইন আমা থাকিও ইজ্জতি জন। ৩১ আগে তো আমি তানরে চিনতাম না, অইলে বনি ইছরাইলর মাজে তাইন যাতে পরিচিতি পাইন, অতার লাগি আমি আগে আইয়া মানষরে পানিদি তৌবার গোছল করাইরাম।”

৩২ বাদে এহিয়া নবীয়ে অউ সাক্ষি দিলা, কইলা, “আমি দেখলাম কইতরর ছুরতে পাক রুহ আছমান থাকি লামিয়া আইলা, আইয়া এন উপরে আজিলা। ৩৩ আমি তো তানরে চিনতাম না, অইলে তৌবার গোছল করানির লাগি যেইন আমারে বেজিছইন, তাইন আমারে বাতাই দিছইন যেন, আল্লাই পাক রুহরে যার উপরে লামিয়া আইতে দেখবায়, এইনউ হউ জন, যেইন মানষরে পাক রুহদি তরিকাবন্দি দিবা। ৩৪ তে আমি ইতা দেখলাম, দেখিয়া হারি সাক্ষি দিরাম, এইনউ ইবনুল্লা, আল্লার খাছ মায়ার জন।”