১৭। হজরত ইছা আর একজন বিধর্মি বেটি
(ইঞ্জিল শরিফ, আল-হান্নান ৪:১-২৬)
 ফরিশি অকলে হুনলা, হজরত ইছায় এহিয়া নবী থাকি বেশি মানষরে তান উম্মত বানাইছইন, আর তৌবার গোছল করাইরা।  অইলে ইছায় নিজে তৌবার গোছল করাইরা না, তান উম্মত অকলেউ করাইরা।  হজরত ইছায় ই খবর পাইয়া, এহুদিয়া জিলা ছাড়িয়া হিরবার গালিল জিলাত যাওয়ার লাগি রওয়ানা অইলা।  যাওয়ার কালো তানরে শমরিয়ার মাজদি যাওয়া লাগছিল।  পথো তাইন শমরিয়ার শুখার নামর এক গাউর ধারো আইলা। হজরত ইয়াকুবে তান পুয়া ইউছুফরে যে জমিন দান করছলা, অউ জমিন খান আছিল হউ গাউর ধারো।  ই জমিনো হজরত ইয়াকুবর কুয়া আছিল। ইছা আটতে আটতে হেরান অইয়া অউ কুয়ার কাছাত জিরাইলা। অউ সময় অনুমান দুইফর অইগেছে।
৭-৮ এরমাজে শমরিয়া জাতির এক বেটিয়ে পানি তুলাত আইলো, আর কুয়ার কাছাত ইছা একলা আছলা, কারন তান সাহাবি অকল খানি-পানি লওয়ার লাগি বাজারো গেছলাগি। ইছায় তাইরে কইলা, “ও মাই, আমারে থুড়া পানি খাওয়াউক্কা।”  বেটিয়ে কইলো, “আমি তো শমরিয়া জাতির মানুষ। আপনে একজন ইহুদি অইয়া আমার গেছে পানি চাইরা কিলা?” বেটিয়ে ইখান কইলো, কারন শমরিয়া জাতির লগে ইহুদি মানষর কুনুজাত মিল-মিশ বা চলা-ফিরা আছিল না। ১০ ইছায় তাইরে কইলা, “তুমি যুদি জানতায় আল্লার দান কিতা, আর কে তুমার গেছে পানি চাইরা, তে তুমি নিজেউ তান গেছে পানি চাইলায় অনে, আর তাইন তুমারে জিন্দা পানি দিলা অনে।” ১১ বেটিয়ে কইলো, “ছাব, আপনার গেছে তো পানি তুলার কুন্তা নাই, আর ই কুয়াও গইন। তে জিন্দা পানি কুয়াই থাকি পাইলা? ১২ আপনে কুনু আমরার মুল-মুরব্বি ইয়াকুব নবী থাকি বড় নি? তাইনউ আমরার লাগি ই কুয়া খুদিছলা। তাইন আর তান পুয়াইন্তেও অউ কুয়ার পানি খাইতা, আর তান পশুর পালরেও খাওয়াইতা।”
১৩ তেউ ইছায় কইলা, “যে জনে ই কুয়ার পানি খাইবো, তার হিরবার পিয়াছ লাগবো। ১৪ অইলে আমার দেওয়া পানি যে খাইবো, তার কুনু সময়উ পিয়াছ লাগতো নায়। বরং ই পানি তার দিলর মাজে ঝরনার লাখান উথলিয়া উঠবো আর আখেরি জিন্দেগি দান করবো।” ১৫ তেউ বেটিয়ে ইছারে কইলো, “হুজুর, তে আমারেও হউ পানি দেউক্কা, যাতে আমার পিয়াছ না লাগে, আর পানির লাগি ইনো আওয়া না লাগে।”
১৬ ইছায় বেটিরে কইলা, “তে যাও, তুমার জামাইরে অনো লইয়া আও।” ১৭ বেটিয়ে কইলো, “ছাব, আমার তো কুনু জামাই নাই।” ইছায় কইলা, “তুমি ঠিকউ কইছো, তুমার জামাই নাই। ১৮ কারন এর আগে তো তুমার পাচ জন জামাই অইগেছইন, আর অখন যে তুমার লগে আছে, হে তুমার জামাই নায়। তুমি হাছা কথাউ কইলায়।” ১৯ ইখান হুনিয়া বেটিয়ে ইছারে কইলো, “হুজুর, অখন আমি বুজলাম, আপনে একজন নবী। ২০ আমরার বাফ-দাদাইন্তে অউ পাড়র উপরেউ এবাদত করতা, অইলে আপনারা কইন, জেরুজালেমোউ মানষর এবাদত করা উচিত।”
২১ ইছায় তানরে কইলা, “হুনো, আমার মাতখান একিন করো। দেখিও, অউলা সময় আইবো যেবলা তুমরা ই পাড়র উপরে, বা জেরুজালেমর কুনুখানো, গাইবি বাফ আল্লার এবাদত করতায় নায়। ২২ তুমরা যারে চিনো না, তার এবাদত করো, অইলে আমরা যান এবাদত করি, তানরে আমরা চিনি। জানো নি, নাজাতর পথ তো ইহুদি অকলর মাজদিউ আইছে। ২৩ হুনো, অলা সময় আইবো, বরং অখনউ আইচ্ছে, যেবলা আসল এবাদতকারি অকলে হক্কানি রুহে গাইবি বাফ আল্লার এবাদত করবা। গাইবি বাফেও অলাখান এবাদতকারির তালাশ করইন। ২৪ আল্লাতালা অইলাগি রুহ, এরলাগি যারা তান এবাদত করবা, তারা হক্কানি রুহে তান এবাদত করা লাগবো।”
২৫ বাদে অউ বেটিয়ে কইলো, “আমি জানি, আল-মসী আইরা। তাইন আইয়া হকলতা আমরারে জানাইবা।” ২৬ ইছায় অউ বেটিরে কইলা, “আমিউ হেইন, যেইন অখন তুমার লগে মাতিরা।”
 
(ইঞ্জিল শরিফ, আল-হান্নান ৪:৩৯-৪২)
৩৯ যে বেটির জিন্দেগির হকলতা ইছায় কইলিছইন, অউ বেটির সাক্ষি হুনিয়া হউ গাউর বউত শমরিয়া মানষে ইছার উপরে ইমান আনলা। ৪০ তারা ইছারে গিয়া মিনত করি কইলা, তারার অখানো রইবার লাগি। এরদায় তাইন দুই দিন হনো রইলা। ৪১ অউ সময় তান তালিম হুনিয়া আরো বউত মানষে ইমান আনলা। ৪২ আর গাউর মানষে অউ বেটিরে কইলা, “তুমার কথায় আমরা ইমান আনছি না, আমরা নিজেউ তান মাত হুনিয়া বুজতাম পারছি, এইনউ জগতর আসল তরানেআলা।”
 

১। অউ বয়ানর মাজে কিতা-কিতি পছন্দ অর?
২। বুজার লাগি কিতা-কিতি কঠিন মনো অর?
৩। অউ বয়ানর মাজে মানষর বেয়াপারে আমরারে কিতা-কিতি হিকায়?
৪। অউ বয়ানর মাজে আল্লা পাকর বেয়াপারে আমরারে কিতা হিকায়?
৫। অউ বয়ান কি লাখান মানার লাগি আল্লায় চাইন?