পবিত্র ইঞ্জিল শরিফ
কিতাব সুত্র
পবিত্র ইঞ্জিল শরিফ কেনে লেখা অইছে?
অউ বিষয়ে ইঞ্জিল শরিফর চাইর নম্বর ছিপারার ২০ রুকুর ৩০-৩১ আয়াতো আছে,
“হজরত ইছায় সাহাবি অকলর ছামনে আরো বউত কেরামতি নিশানা দেখাইছইন,
ইতা হকলতা তো অউ কিতাবো লেখা অইছে না।
খালি অউ ঘটনা অকল লেখা অইছে,
যাতে অতা তিলাওত করিয়া তুমরা ইমান আনো,
হজরত ইছাউ আল্লা পাকর ওয়াদা করা হউ আল-মসী,
তাইনউ ইবনুল্লা,
আল্লার খাছ মায়ার জন,
আর ইমান আনিয়া যাতে তান উছিলায় তুমরা আখেরি জিন্দেগি হাছিল করো।”
হজরত ইছার জমানার হাল-হকিকত
হজরত ইছা যেবলা ই দুনিয়াত আছলা,
অউ সময় তাইন বর্তমান দুনিয়ার ফিলিস্তিন,
ইছরাইল,
জর্দান আর লেবানন দেশর নানান জাগাত আটি আটি গিয়া তবলিগ করতা।
তাইন ইছরাইল দেশর উত্তর এলাকার গালিল আওরর কান্দাত এক গাউত বসত করতা।
হজরত ইব্রাহিম (আঃ) আর হজরত মুছা (আঃ) অর বউত জমানা বাদে তাইন ই দুনিয়াত আইছইন।
বনি ইছরাইলর বাদশা হজরত দাউদ (আঃ) অইলা তান পুর্ব-পুরুষ।
বনি ইছরাইলর দুছরা নাম আছিল,
ইহুদি জাতি।
ইহুদি মানি,
আল্লার তারিফ কররা জন।
হজরত ইছা অউ ইহুদি জাতির মাজে জনম লইছইন।
হউ সময় বনি ইছরাইল ছাড়া আর কুনু জাতিয়ে এক আল্লা মানতা না,
তারা নানান নমুনার দেব-দেবীর পুজা করতা।
অইলে অইন্য জাতি থাকিও কুনু কুনু মানষে এক আল্লার উপরে ইমান আনছিলা।
 
হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) অর অনুমান ৬০০ বছর আগে হজরত ইছা আল-মসী অউ দুনিয়াত আছলা।
অউ জমানাত আস্তা দুনিয়ার মানষর এবাদত খানা,
মানি কাবা শরিফ আছিল পবিত্র বায়তুল-মুকাদ্দছ,
ইটা অইলো ইছরাইল-ফিলিস্তিন দেশর জেরুজালেম টাউনো।
বর্তমান মদিনা শরিফ থাকি ৫০০ মাইল উতরে।
অউ এবাদত খানার সীমানার ভিতরে মুল কাবা ঘর বা হেরেম শরিফ আছিল,
ইখান খুব পাক-পবিত্র ঘর।
ই ঘরর মাপ অইলো,
লাম্বায় বিশ আত,
পাশে বিশ আত,
আর উচাও বিশ আত।
বনি ইছরাইল জাতি আর দুনিয়ার মাজর অইন্য যতো মানষে এক আল্লার এবাদত করতা,
তারা হকলে অউ ঘররে কাবা শরিফ মানতা,
অউ ঘরর মুখি অইয়া এবাদত-বন্দেগি করতা,
অখানউ আছিল এরার কিবলা।
হউ জমানাত বছরো তিন বার ইদ অইতো।
এরমাজর এক ইদর নাম আছিল ইদুল ফেছাখ বা আজাদির ইদ,
বনি ইছরাইল জাতি জালিম ফেরাউনর গুলামি থাকি আজাদ অইছলা করি,
অউ ইদর নাম আজাদির ইদ।
তে দুনিয়ার যতো মানষে এক আল্লা মানতা,
তারা হকলেউ এবাদত-বন্দেগি করার লাগি হজ করার নিয়তে অউ জেরুজালেমো আইতা।
হজর সময় তারা কাবা শরিফর কান্দাত আল্লার নামে পশু কুরবানি দিতা।
হজরত ইছা আল-মসী আর তান সাহাবি অকলও অউ ইদর সময় কাবা শরিফো আইতা।
 
অউ বায়তুল-মুকাদ্দছ কাবা শরিফর হকলতা চলতো ইমাম ছাবর হুকুমে।
ই ইমাম ছাব অকল আছলা হজরত হারুন (আঃ) অর বংশধর,
আর খাদিম অকল আছলা হজরত হারুন (আঃ) অর বাফ-দাদার বংশর মাজর লেবি খান্দানর মানুষ।
বউত ইমাম ছাব আছলা সিদ্দেকিয়া মজহবর।
সিদ্দেকিয়া মজহবর মানষে মনে করতা,
বায়তুল-মুকাদ্দছর ভিতরে আইয়া এবাদত-বন্দেগি,
জিকির-আজকার আর কুরবানি আদায় করলেউ জরুরি ফরজ আদায় অইযায়।
তারা খালি তৌরাত শরিফ ছাড়া আর কুনু কিতাব মানতা না।
অইলে আরক মজহবর মানুষও আছলা,
এরা অইলা ফরিশি মজহব,
তারা আছমানি হকল কিতাব মানতা।
এরা একিন করতা শরিয়তর পরতেক হুকুম-আহকাম মানা জরুর,
আর মানষর মনগড়া বানাইল রীতি-রেওয়াজও মানা খুব জরুর,
ইতাও ফরজ।
অউ সময় হজরত ইছা আল-মসী দুনিয়াত আইয়া যেবলা কইলা,
অউ ফরিশি আর সিদ্দেকিয়া মজহবর মানষে আল্লার দরবারো নাফরমানি কররা,
তারা লান্নতি।
ইখান হুনিয়া তারা খুব গুছা অইলা।
এরলাগিউ তারা হকলে চাইলা,
তানরে কাতল করিলতা।
 
অউ সময় মিডিল-ইষ্ট এলাকার বউত দেশ,
আফ্রিকা মহা-দেশর উত্তর এলাকার বউত দেশ,
আর ইউরোপর বউত দেশও আছিল রোমান বাদশা কৈছরর দখলে।
এরমাজে কুনু কুনু দেশো নিজর রাজা আছলা,
অইলে এরাও বাদশার হুকুমে চলতা।
অউলা ফিলিস্তিন দেশর মাজেও দুই লাখান শাসন আছিল।
উত্তর এলাকা আছিল গালিল জিলা,
আর দক্ষিন এলাকা এহুদিয়া জিলা।
অউ এহুদিয়ার ভিতরে আছিল জেরুজালেম টাউন।
অইলে এহুদিয়া জিলার রাজায় খারাপ কাম আর দুর্নীতি করায় বাদশা কৈছরে অউ রাজারে হরাইয়া,
তাইন নিজে সরাসরি অউ জিলাও চালাইতা।
অউ এলাকা পিলাত নামর এক রোমান হাকিমর জিম্মায় চলতো।
রোমান অকলে এক আল্লা মানতা না,
তারা নানান দেব-দেবীর পুজা করতা।
 
এহুদিয়া জিলার উত্তর গালাত আছিল শমরিয়া এলাকা।
শমরিয়ার মানষেও আল্লার এবাদত-বন্দেগি করতা।
অইলে তারা বায়তুল-মুকাদ্দছো আইতা না।
তারার নিজর আলাদা এবাদত খানা আছিল,
হউ এবাদত খানারে তারার কাবা শরিফ মানতা।
এরদায় ইহুদি আর শমরিয়া মানষর মাজে খুব দুশমনি আছিল।
ইঞ্জিল মানি কিতা?
ইঞ্জিল অইলোগি আরবি ভাষায় চালু অওয়া একটা গ্রীক শব্দ,
‘এউ-আঞ্জেল’,
মুল শব্দর মানি অইলো,
খুশ-খবরি বা খুশির খবর।
আল্লাতালায় মানষরে খুশির খবর জানাইছইন হজরত ইছার বেয়াপারে।
 
হজরত ইছায় তান পছন্দ মাফিক বারো জন সাহাবি বাছিলা। অউ সাহাবি অকলে নিজর কানে তান তালিম হুনলা। নিজর চউখে তান জিন্দেগি, কেরামতি কাম, তান মউত আর মউতর বাদে জিন্দা অইয়া উঠা দেখলা। তাইন এরারে ইতার আসল ভেদ বুজাইলা, অউ ভেদ অইলোগি আল্লা পাকে তো তানরে বেজিছইন, দুনিয়ার হক্কল জাতির মাজ থাকি একদল মানষরে গুনা-নাফরমানি থাকি বাচাইয়া আল্লার খাছ বন্দা হিসাবে আলগ করতা, এরাউ আল্লা পাকর দিদার হাছিল করবা। এরাউ অইলা বেহেস্তি বাদশাই বা আল্লার বাদশাইর প্রজা। আর যতো মানুষ অউ বাদশাইত হামাইতো নায়, তারা অইলা আন্দাইরর বাদশাইর প্রজা মানি ইবলিছর প্রজা।
 
অউ বয়ানি লেখার লাগি আল্লা পাকে চাইর জন খাছ মানষরে পছন্দ করিয়া,
এরার দিলর মাজে তান নিজর পবিত্র রুহ দিয়া এরারে কামিল বানাইছইন।
হজরত ইছা আল-মসীর লগে যে বারো জন সাহাবি আছলা,
অউ চাইরো জনে এরার গেছ থাকি হকলতা হুনিয়া তারার জবানবন্দি মাফিক আল্লার রুহর বলে লেখছইন,
হজরত ইছার তালিম-নছিয়ত আর তান কেরামতি কাম-কাজ,
তান মউত আর মউতর বাদে জিন্দা অইয়া উঠা।
 
এছাড়া সাহাবি নামা নামর ছিপারাত,
পয়লা জমানার ইছায়ী জমাতর ইতিহাস জানা যায়।
বাদে হজরত পাউলুছ (রাঃ) আর অইন্য সাহাবি অকলর লেখা আরো একুইশ খান ছিপারা,
চিঠির নমুনায় হউ আমলর মুমিন অকল আর জমাতর লাগি জরুরি তালিম লেখা অয়।
হকল হেশে সাহাবি হজরত হান্নানর (রাঃ) দরশন হিসাবে জাইরা কালাম নামর ছিপারা আছে,
তাইন হজরত ইছার মারফতে দরশন পাইলা,
দুনিয়ার আখেরি জমানা আর কিয়ামতর নানান নমুনার আগাম খবর।
তে হকলতায় মোট সাতাইশ ছিপারা আছে।
 
ইতা হুনলে মানষে বুজবা,
কুন পথে চললে জান বাচিবো।
আল্লা পাকে অউ খবর বাতাইছইন,
ইবলিছর গুলামি থাকি বাচার লাগি কুন পথে চলা জরুর।
ইবলিছর ফান্দো থাকি,
মানি গুনার গুলামি থাকি বাচিবার অউ যে খবর আল্লা পাকে জানাইছইন,
এর নামউ অইলো খুশ-খবরি বা ইঞ্জিল শরিফ।
অউ খুশির খবর অইলো,
আল্লাতালায় মানুষ জাতিরে বাচানির লাগি হজরত ইছা আল-মসীরে অউ দুনিয়াত বেজিছইন।
তাইনউ অইলা দুনিয়ার মানষর নাজাতর কান্ডারি।
হজরত ইছা আল-মসীর নাম-উপাধি
হজরত ইছা আল-মসীর বউত নাম-উপাধি আছিল,
অউ নাম অকল আল্লা রাব্বুল আলামিনে তানরে দিছলা।
এরমাজর কিছু নাম আর এর মানি অইলো,
১ আল-মসী
 
ই নামর মানি অইলো,
খুব মুল্যবান খুশবয় আলা পবিত্র আতর দিয়া খেলাফতি পাওয়া জন।
ইতা কিলা অয়?
আল্লা পাকে হজরত শামুয়েল (আঃ) নবীরে হুকুম দিলা,
অউ হুকুম পাইয়া তাইন অউ লাখান পবিত্র আতর নিয়া হজরত দাউদ (আঃ) নবীর মাথাত মাখাইয়া খেলাফতি দিছলা,
তেউ দাউদ নবী বনি ইছরাইল জাতির বাদশা অইছলা।
অউ নমুনায় আল্লা পাকে তান পবিত্র রুহ মুবারক দিয়া হজরত ইছা আল-মসীরে খেলাফতি দিলা,
যাতে তাইন অউ দুনিয়াত এক নয়া জাতি কাইম করইন।
অউ নয়া জাতিউ অইলো আল্লার বাদশাই।
আর হজরত ইছা আল-মসীউ অইলা অউ বাদশাইর মালিক।
২ ইবনুল্লা,
আল্লার খাছ মায়ার জন
 
পবিত্র ইঞ্জিল শরিফর মুল গ্রীক ভাষায় লেখা আছে খোদার পুত,
ই পুত শব্দ অইলো পাক কিতাবর ভাষায় একটা রুপক শব্দ।
আমরা তো জানি আল্লা এক, তাইন জনম লইনও না, জনম দেইনও না। অইলে ই পুত শব্দ যে একটা রুপক শব্দ ইটা আমরার সমাজর বউতে জানইন না গতিকে, ই তরজমার মাজে হজরত ইছারে পুত না কইয়া, আল্লার খাছ মায়ার জন কইছি। আসলে ইকটা পুরাপুর গাইবি একটা উপাধি, এর সঠিক অর্থ আস্তা ইঞ্জিল কিতাব মন দিয়া না পড়িলে বুজা খুব কঠিন। তবুও থুড়া বুজাইতাম চাইরাম।
 
আল্লার কাম-কাজ আর খেমতা যারার মাজ দিয়া ই দুনিয়াত জারি অয় বা বওয়াল করা অয়,
এরারে তো তান পুত কইয়া ডাকা অয়।
তে হজরত আদম (আঃ) রে আল্লায় এখতিয়ার দিছলা আল্লার পয়দা করা সব জানদারর উপরে রাজত্ব করার লাগি,
গতিকে এনরে তান পুত কওয়া অইছে;
আর ফিরিস্তা অকলে আল্লার নামে হয়তো কুনু নাফরমান জাতির উপরে আল্লাই গজব ঢালইন,
নায় তো আরক জাতিরে হেফাজত করইন,
এরদায় পাক কিতাবর রুপক ভাষায় এরারেও খোদার পুত কইয়া ডাকা অইতো।
এরা অইলাগি আল্লার মায়ার খলিফা অকল,
আল্লার নামে আল্লাই এখতিয়ার চালাইন।
 
পবিত্র ইঞ্জিল শরিফর আল-মথি ছিপারার ২৮ রুকুর ১৮ আয়াতো হজরত ইছায় কইরা,
“বেহেস্ত আর দুনিয়ার হক্কল খেমতা আমারে দেওয়া অইছে।”
আর আল-হান্নান ছিপারার ১৪ রুকুর ১০ আয়াতো কইছইন,
“তুমি একিন করো না নি,
আমি গাইবি বাফর মাজে আছি,
আর গাইবি বাফও আমার মাজে আছইন?
আমি তুমরারে যেতা কই,
ইতা আমার নিজর মুখর বুলি নায়,
যে গাইবি বাফ আমার ভিতরে আছইন,
তাইনউ তান নিজর কাম চালাইরা।”
 
তে হজরত ইছা আল-মসী অইলা আল্লা পাকর খুব ঘনিষ্ট মায়ার জন,
আল্লায় তানরে ইজ্জত,
খেমতা আর অধিকার দিছইন হকল থাকি বেশি।
তাইন অইলা হকল থাকি আলাদা,
তাইন তশরিফ আনছইন আল্লার আরশ থাকি আর অখনও আল্লা পাকর ধারো আছইন,
তান স্বভাব-চরিত্র অইলো পুরাপুর আল্লাই ভাব।
আল্লাই কুদরতি খেমতা খাটাইছইন হায়াত-মউত,
রিজেক-দৌলত আর গুনা মাফির বেয়াপারে।
এরলাগিউ আল্লায় তানরে ইজ্জত করিয়া গ্রীক ভাষার রুপক বুলিয়ে খোদার পুত কইয়া উপাধি দিছইন,
আরবি ভাষায় কওয়া অয় ইবনুল্লা।
৩ বিন-আদম
 
হজরত ইছায় নিজে নিজর নাম কইতা বিন-আদম।
অইন্য কেউ তানরে ই নামে ডাকিতো না।
তাইন দুনিয়াত তশরিফ আনার বউত আগে হজরত দানিয়াল (আঃ) নামে একজন নবী আছলা।
অউ দানিয়াল নবীর ছহিফার মাজে লেখা আছে,
বেহেস্তি এক পবিত্র জন অউ দুনিয়াত তশরিফ আনবা,
এইন মানষর লাখান ছুরত ধরিয়া আইবা,
এইনউ বিন-আদম।
পবিত্র কিতাবুল মুকাদ্দছ,
দানিয়াল ছিপারার ৭ রুকু ১৪ আয়াতো আছে,
“অউ বিন-আদমর আতো খেমতা,
ইজ্জত আর রাজত্ব করার এখতিয়ার দেওয়া অইলো,
যাতে দুনিয়ার তামাম জাতি,
দেশ আর নানান ভাষায় মাতরা মানষে তান খেজমত করইন।
তান বাদশাই চিরস্থায়ী,
কুনুদিন ফুড়াইতো নায় বা বিনাশও অইতো নায়।”
হজরত ইছাউ অইলা হউ খেমতাআলা বিন-আদম।
৪ আল্লাই মেড়ার বাইচ্চা
 
আল-হান্নান ছিপারার ১ রুকু ২৯ আয়াতো আছে,
এহিয়া (আঃ) এ হজরত ইছার বায় ইশারা করি কইছলা,
“অউ দেখরায়নি আল্লাই মেড়ার বাইচ্চা,
যেন উছিলায় হক্কল মানষর গুনার মাফি অয়।”
আসলে মেড়া তো মেড়াউ,
কুনু মানুষ নায়।
তে ইছারে কেনে মেড়া কইয়া ডাকা অয়?
কারন অইলো,
বউত জমানা আগে,
বনি ইছরাইল জাতি যেবলা মিসর দেশো গুলাম আছলা,
এক দিন আল্লায় মুছা নবীর মারফতে তারারে হুকুম দিলা,
পরতেক ঘরো এক এক মেড়া কুরবানি করিয়া এর লউ ঘরর দুয়ারর চৌকাঠো লাগানির লাগি,
যাতে তারা না মরইন।
যতো ঘরর চৌকাঠো লউ আছিল না,
মানি জালিম ফেরাউন আর মিসরী অকলর ঘরাইন্তো,
ই হক্কল ঘরর বড় পুয়াইন হউ দিনউ আধা রাইতকুর সময় মরিগেল।
তেউ ফেরাউন জলদি করি উঠিয়া বনি ইছরাইলরে ছাড়ি দিলো আর এরা মিসর দেশ থাকি আজাদ অইয়া বার অইয়া গেলা।
হজরত এহিয়ায় তো জানতা,
বনি ইছরাইলে যেলা মেড়া কুরবানি দিয়া মউত থাকি আর ফেরাউনর গুলামি থাকি রেহাই পাইছলা,
ঠিক অউলা ইছা আল-মসীর জান কুরবানির উছিলায় দুনিয়ার হকল জাতির মানষে ইবলিছর আত থাকি আর গুনার গুলামি থাকি রেহাই পাইবা।
 
কুনু কুনু মানষর ধারনা,
হজরত ইছার মউত অইছে না,
তাইন সরাসরি জিন্দা হালতে বেহেস্তো গেছইন।
অইলে হাছাউ তান মউত অইছে,
মউতর তিন দিন বাদে হিরবার জিন্দা অইয়া উঠছইন।
পবিত্র কুরআন শরিফর সুরা নিছার ১৫৭ আয়াতো আছে,
“তারা (মানি ইহুদি নেতা অকলে) বড়াই করি কইলো,
আমরা মরিয়মর পুত ইছা আল-মসীরে জানে মারিলিছি;
কিন্তু আসলে তারা তানরে কাতল করলো না।”
কুরআন শরিফর অউ আয়াত তো এক্কেরে হাছা,
কারন হজরত ইছায় নিজে কইছলা,
ইঞ্জিল শরিফর আল-হান্নান ছিপারার ১০ রুকু ১৮ আয়াতো,
“আমার জান কেউ আমার গেছ থাকি কাড়িয়া নিতো নায়,
অইলে আমি নিজেউ জান বিলাইমু।
মনো রাখিও,
জান দেওয়ার খেমতা যেলা আমার আছে,
অউলা ফিরত নেওয়ার খেমতাও আছে।”
আর আল-মার্কুছ ছিপারার ১০ রুকু ৪৫ আয়াতো তাইন কইছলা,
“আমি বিন-আদমে বউত মানষর জান বাচানির লাগি নিজর জান বিলাই দেওয়াত আইছি।”
তে এরলাগিউ হজরত ইছারে কুরবানির মেড়ার লগে তুলনা করা অইছে।
আখেরি কথা
তে অউ কিতাব তিলাওত কররা,
হকল ভাই-বিরাদররে কইরাম,
আমরা যেরা এক আল্লা মানি,
এক আল্লার এবাদত-বন্দেগি করি।
আল্লার খুশিয়ে নিজর খুশি আর আল্লার বেজারে নিজর বেজারি মনো করি,
আল্লার উপরেউ আমরার জিন্দেগির গতি,
ইখান দিলে-জানে একিন করি।
আউক্কা আমরা দিলর খালিছ-ছহি নিয়তে ইজ্জত আর তাজিম করিয়া মহান আল্লা রাব্বুল আলামিনর অউ পবিত্র আছমানি কিতাব অকল তিলাওত করি।
এর বাতাইল হুকুম-আহকাম আমল করি।
তেউ দুনিয়া আর আখেরাতো আমরা শরমিন্দা অইতাম নায়।
 
আমরা আশা করি,
আপনারা আল্লা পাকর কালামরে ইজ্জত দিবা।
মহান মাবুদ আল্লায় আমরা হকলর দিলর দুয়ার খুলিয়া দেউক্কা,
তান কালাম জানিয়া-বুজিয়া আমল করার তৌফিক দেউক্কা।
তান আশিক অকলর উপরে তান খাছ রহমত আর বরকত নাজিল করউক্কা।
আমিন॥