দোয়া-মুনাজাতর নিয়ম-কানুন
২
১ আমি পয়লাউ জানাইরাম,
পরতেক মানষর লাগি তুমরা আল্লার দরবারো কাকুতি-মিনতি,
দোয়া-মুনাজাত,
ফরিয়াদ জানাও আর শুকরিয়া আদায় করো।
২ অলাখান রাজা-বাদশা অকল আর উচা পদর হকল অফিসারর লাগি মুনাজাত করা জরুর,
যাতে আমরা আল্লার ডর-খফ মনো রাখিয়া,
হক-হালাল পথে রইয়া,
নিরাপদে শান্তিয়ে জিন্দেগি কাটাইতাম পারি।
৩ ইতা তো আমরার তরানেআলা আল্লার নজরো নেক কাম,
ইতায় তাইন খুশি অইন।
৪ আল্লা পাকর খিয়াল অইলো,
যাতে হকল মানষে নাজাত পাইন,
আর আল-মসীর তরিকার হক্কলতা ষোলআনা বুজইন।
৫ ই হকিকতি অইলো,
আল্লা খালি একজন,
আল্লা আর মানষর মাজে শাফায়াতকারি মাজর মানুষও খালি একজনউ আছইন,
এন নাম ইছা আল-মসী,
এইনও মানুষ।
৬ দুনিয়ার হকল মানষর জানর বদলা হিসাবে,
তাইন নিজর জান কুরবানি দিছইন।
অউ বেয়াপারে তো আল্লার ঠিক করা সময়ে সাক্ষি দেওয়া অইছে।
৭ আর অউ সাক্ষি দিবার লাগি আল্লায় আমারে তবলিগ কামো,
সাহাবি পদো বওয়াল করছইন,
তাইন আমারে দায়িত্ব দিছইন,
ভিন জাতির গেছে ইমান আর আল্লাই হকর উস্তাদ হিসাবে।
আমি ইতা হক মাত মাতিয়ার,
মিছা কুন্তা নায়।
৮ আমি চাইরাম,
হকল জাগার বেটাইন্তে খালিছ নিয়তে দুইও আত তুলিয়া মুনাজাত করউক।
তারার মনর মাজে কুনুজাত রাগ-গুছা বা কাইজ্জা-ফসাদর ভাব না রউক।
৯ আমি এওখানও চাইরাম,
বেটিন্তে তারার হায়া-শরম রাখিয়া সমাজর উপযুক্ত বেশে ভদ্র কাপড়-চুপড় ফিন্দউক।
তারা যানু নানান নমুনায় চুলর বেনী বলিয়া,
সোনা-রুপা আর মনি-মুক্তার গয়না লাগাইয়া আর দামি দামি কাপড় ফিন্দিয়া নিজরে না হাজাইন।
১০ বরং আল্লার পরেজগার বান্দিয়ে যেলা নেক কামর মাজে জিন্দেগি কাটানি উচিত,
তারাও অলা অইন।
১১ কর্তার পুরাপুর বাইধ্য রইয়া,
আর নিরাই-জিরাই রইয়া ইলিম কামাই করউক্কা।
১২ উস্তাদি করা আর বেটাইন্তর উপরে মুছদ্দরি করার অধিকার আমি কুনু বেটিরে দেই না।
তারা নিরাই-জিরাই রওয়া জরুর।
১৩ জানো তো,
হকল পয়লা আদমরে আর বাদে বিবি হাওয়ারে পয়দা করা অইছিল।
১৪ আদম তো ইবলিছ-শয়তানর ধুকাত পড়ছইন না,
অইলে হাওয়া ইবলিছর ধুকাত পড়িয়া আল্লার হুকুমর বরখেলাফ করছইন।
১৫ অখন যুদি বেটিন্তে তারার হায়া-শরম রাখিয়া ইমান,
মহব্বত আর পাক-পবিত্র অইয়া চলইন,
তে হুরুতা জনম দেওয়ার মাজদি তারা রেহাই পাইবা।