আল-মসীর জরিয়ায়উ আল্লার দেওয়া আরাম (৩:১-৪:১২)
মুছা নবী থাকি হজরত ইছা ইজ্জতি
৩
১ এরলাগি ও আমার পাক-পরেজগার ভাই অকল,
তুমরা যেরা বেহেস্তি দাওতো শরিক অইছো,
তুমরা পরতেকেউ ইছার বায় চউখ রাখো।
আল্লা পাকে তান ই খাছ খলিফারে বেজিছইন,
তাইনউ তো হউ পরধান ইমাম,
ইখান আমরা মানছি।
২ হজরত মুছা যেলা আল্লার ঘর-সংসারো নির্ভর করার জুকা আছলা,
অউ লাখান ইছারেও যেইন বেজিছইন,
অউ আল্লার দরবারো তাইন আছলা নির্ভর করার জুকা।
৩ তে ঘর বানাওরা মালিকে যেলা ঘর থাকিও বেশি ইজ্জত পাইন,
অউ লাখান আল্লার ঘর-সংসারো হজরত ইছায়ও মুছা নবী থাকি বেশি ইজ্জত হাছিল করছইন।
৪ হক্কল ঘরাইনউ তো কুনু না কুনু মানষে বানাইছইন,
অইলে যেইন হক্কলতা বানাইছইন তাইনউ আল্লা।
৫ আসলে ছামনর জমানার লাগি যেতা বাতাইল অইবো,
অতা বেয়াপার জানানির লাগি,
মুছা আছলা আল্লার ঘর-সংসারর কাম-কাজো নির্ভর করার জুকা কামলার লাখান।
৬ অইলে আল-মসী তো আল্লার ঘর-সংসারর জিম্মাদার হিসাবে নির্ভর করার জুকা পুতর লাখান আছলা।
অখন আমরাও যুদি যারযির দিলর আশা আর হিম্মত রাখিয়া মউত পর্যন্ত কাইম রই,
তে দেখা যাইবো যেন,
আমরাও আল্লার ঘর-সংসারর ভাগি অইছি।
বেইমানির লাগি হুশিয়ারি
৭ এরলাগিউ আল্লার পাক রুহে বাতাইছইন,
আইজ যুদি তুমরা তান আওয়াজ হুনো,
৮ তে তুমরার ময়-মুরব্বির লাখান,
তুমরার নিজর দিলরে পাষান বানাইও না।
আল্লায় কইরা,
তারা যেলা মরুভুমির মাজে,
আমার বিরুদ্ধে গিয়া আমারে পরিক্ষা করছলা,
তুমরা ইলা করিও না।
৯ তুমরার বাফ-দাদাইন্তে চাল্লিশ বছর ধরি
আমার কুদরতি কাম দেখার বাদেও,
হনো আমারে পরিক্ষা করছইন।
১০ এরলাগি আমি তারার উপরে খুব বেজার অইয়া কইলাম,
এরার দিল তো হামেশা বে-পথে চক্কর দের,
তারা তো আমার পথ চিনলো না।
১১ তেউ আমি গুছা করিয়া কছম খাইয়া কইছলাম,
আমার দেওয়া হউ আরামর জাগাত,
এরা হামাইতো পারতো নায়।
১২ ভাইয়াইন অকল,
হুশিয়ার অও!
তুমরার দিলর মাজে যানু নাফরমানি আর বেইমানি না হামায়,
ইতা হামাই গেলে জিন্দা আল্লার গেছ থাকি নিজরে দুরই হরাইলায়।
১৩ ইতার বদলা যতদিনরে আইজ কইয়া ডাকা অয়,
অতদিন তুমরা একে-অইন্যরে সাওস দেও,
যাতে কেউ গুনার ফান্দো পড়িয়া নিজর দিলরে পাষান না বানায়।
১৪ কারন আমরা যুদি পয়লাকুর লাখান হেশ পর্যন্ত ইমানে মজবুত রইয়া চলি,
তে বুজা যাইবো আমরা আল-মসীর লগে শরিক অইছি।
১৫ থুড়া আগে বাতাইল অইছে,
আইজ যুদি তুমরা তান আওয়াজ হুনো,
তে তুমরার ময়-মুরব্বির লাখান,
তুমরার নিজর দিলরে পাষান বানাইও না।
১৬ আইচ্ছা কওছাইন,
আল্লার নিজর জবানর বুলি হুনার বাদেও খেগিয়ে তান বিরুধিতা করছিল?
এরাউ নায় নি,
যেরারে মুছা নবীয়ে মিসর থাকি বার করি আনছিলা?
১৭ কওছাইন,
আল্লায় চাল্লিশ বছর ধরি কার উপরে বেজার আছলা?
এরার উপরেউ নায় নি,
যেরা গুনা করছলা আর মরুভুমির মাজে লাশ অইয়া পড়ছলা?
১৮ আল্লায় কার উপরে বেজার অইয়া কছম খাইয়া কইছলা,
“আমার দেওয়া হউ আরামর জাগাত এরা হামাইতো পারতো নায়”?
অউ এরার উপরেউ নায় নি,
যেরা তান জবানর বুলি হুনিয়াও নাফরমানি করছিল?
১৯ অতা থাকিউ তো আমরা বুজরাম,
ইমান না আনায় তারা আল্লার দেওয়া হউ আরামর জাগাত হামাইতো পারছে না।