ইছার বেয়াপারে আমরা পয়লা যেতা তালিম পাইছি,
আউক্কা ইতারে পার অইয়া আমরা আরো আগেদি আগুয়াইয়া কামিল অই।
হউ পয়লাকুর তালিম হিরবার হিকার আর গরজ নাই,
যেমন নাফরমানি কাম থাকি দিলরে বদলানি,
আল্লার উপরে ইমান আনা,
 নানান নমুনার গোছল,
দোয়া নিবার সময় আতাই দেওয়া,
মউতর বাদে জিন্দা অইয়া উঠা,
আর আখেরাতর বিচার।
 ইনশাল্লা,
আমরা অলাউ করমু।
 অইলে যেরা একবার আল্লার পথ দেখিলাইছে,
বেহেস্তি দানর মজা পাইছে,
পাক রুহে শরিক অইছে,
 আল্লার রহমতর কালামর মজা বুজছে,
আর ছামনর জমানার নানান কুদরতি কাম দেখছে,
 দেখার বাদেও কাফিরি কাম করছে,
এরার দিলরে আর বদলাইল যাইতো নায়,
কারন তারা নিজে আল্লার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লারে হিরবার দুখ-কষ্টর সলিবো কাতল করের,
আর হকলর ছামনে খুলা-মেলা তান গিবত গার।
 যে মাটিয়ে বারে বারে মেঘর পানি অজম করিয়া গিরস্ত অকলরে হাগ-তরকারি যুগাইয়া দেয়,
ই মাটিত আল্লার রহমত নাজিল অয়।
 অইলে যে মাটিত খালি বন-জংগল আর কাটা-গছা ফলে,
ইতা বেকামা মাটি,
ই মাটিত লান্নত পড়ে।
মানষে ইতারে আগুইনদি জালাইন।
 ও মায়ার দুস্ত অকল,
যুদিও আমরা ইলাখান কইরাম,
অইলে আসলে আমরা খাছ দিলে মনো করি,
তুমরার হালত এ থাকি বউত ভালা আছে,
আর তুমরার জিন্দেগিত নাজাতর ফলও দেখা যার।
১০ আল্লা তো হক-ইনছাফকারি,
তুমরা তান লাগি যে মহব্বত দেখাইরায়,
তান লাগি যেতা কাম-কাজ কররায়,
তান পাক বন্দা অকলর খেজমত করিয়া আইরায়,
ইতা তো তাইন ফাউরিতা নায়।
১১ আমরার খুব ইচ্ছা অইলো,
তুমরা পরতেক জনেউ হেশ পর্যন্ত একই লাখান কাম করাত আগুয়াই আইবায়,
যাতে তুমরার আশা পুরা অয়।
১২ অউ লাখান কামো আগুয়াইতে তুমরার আলসি না আয়;
বরং ইমানে আর ছবরে যেরা আল্লার ওয়াদা করা বরকত হাছিল করছইন,
তুমরাও তারার লাখান অইযাও।
আল্লার ওয়াদার নিচ্চয়তা
১৩ হজরত ইব্রাহিমর লগে আল্লায় যেবলা ওয়াদা করছলা,
ই সময় দুছরা কুন্তার নামে তাইন কছম খাইছইন না,
কারন তান থাকি বড় দুছরা কুন্তাউ নাই,
এরলাগি তাইন নিজর নামে কছম করিয়া কইছলা,
 
১৪ আমি নিচয় তুমারে বরকত নাজিল করমু,
তুমার আওলাদ বউত পরিমানে বাড়াই দিমু।
 
১৫ ইব্রাহিমে অউলা বউত লাম্বা সময় ছবর করিয়া আল্লার ওয়াদার ফল পাইলা।
১৬ মানষে যেবলা কুনু কছম খায়,
হে তার চাইতে দামি কেউরর নামে কছম খায়,
তেউ বুজা যায় তার কছম হাছা,
আর অউ কছমর লাগি হকলতা মিট-মাট অইযায়।
১৭ অউলা আল্লায়ও যেরার লগে ওয়াদা করছইন,
তান ওয়াদার নিচ্চয়তার লাগিয়া তাইনও কছম খাইছইন,
যাতে তান ওয়াদা রদ-বদল অওয়ার সন্দয় না থাকে।
১৮ আর আল্লায় কুনু মিছা মাতা তো বউত দুরর কথা।
তে তাইন যেবলা ওয়াদার লগে কছমও করছইন,
অখন আমরা আরো কত বেশি ভরসা রাখতাম পারি।
এরলাগি আও,
আমরা যেরা তান দরবারো গিয়া আশ্রয় পাইছি,
পাইয়া যে আশা পয়দা আছে,
আমরার ছামনর হউ আশারে মজবুত করি ধরিয়া রই।
১৯ অউ আশা আমরার জানর লংগরর লাখান,
কাইম আর মজবুত।
ইটায় আল্লার বেহেস্তি এবাদত খানার পর্দা পার অইয়া খাছ পাক জাগার ভিতরে আমরারে নিয়া পৌছায়।
২০ আর আমরার পক্ষ অইয়া ইছা গিয়া আমরার আগে হি জাগাত পৌছি গেছইন।
তাইন তো মালকী-সিদ্দিকর ছিলছিলার রেওয়াজ মাফিক হর-হামেশাকুর লাগি পরধান ইমাম অইছইন,
তে অউ বেয়াপারে অখন কইরাম।