আল্লাই ইমাম মালকী-সিদ্দিকর পরিচয়
 ই মালকী-সিদ্দিক অইলা আল্লাতালার ইমাম,
শালেমর বাদশা।
ইব্রাহিমে বাদশা অকলরে যুদ্ধত আরাইয়া হারি ফিরিয়া আওয়ার বালা অউ মালকী-সিদ্দিকর লগে তান মুলাকাত অইলে,
মালকী-সিদ্দিকে ইব্রাহিমরে দোয়া করছলা।
 ইব্রাহিমে তান হক্কলতার দশ বাটর এক বাট এনরে দিলাইলা।
মালকী-সিদ্দিক নামর মানি অইলো,
পরেজগারর বাদশা।
তাইন শালেম টাউনরও বাদশা,
মানি শান্তির বাদশা।
 মালকী-সিদ্দিকর মা নাই,
বাফও নাই,
তান কুনু খান্দান-নামাও নাই,
তান হায়াতির শুরু বা শেষ নাই।
তে বুজা যায়,
তাইন আল্লার খাছ মায়ার পুতর লাখান,
হর-হামেশাকুর ইমাম।
 তে চিন্তা করি দেখউক্কা,
এইন কত মহান,
যেনরে আমরার খান্দানর মুল বাবা ইব্রাহিমেও তান গনিমতর মালর দশ বাটর এক বাট দান করি দিছইন।
 আর লেবি গুষ্টির মাজে যেরা ইমামতি কাম করইন,
তারা শরিয়তর হুকুম মাফিক তারার ভাইয়াইন,
মানি বনি ইছরাইলর গেছ থাকি দশ বাটর এক বাট আদায় করার এখতিয়ার পাইছইন।
অউ বনি ইছরাইলও তো ইব্রাহিমর খান্দানর মাজে জন্মিছইন।
 অইলে হউ যে মালকী-সিদ্দিক ইব্রাহিমর খান্দানর না অইলেও,
ইব্রাহিমর গেছ থাকি দশ বাটর এক বাট নিছলা,
আর ইব্রাহিমরে দোয়াও দিছলা,
যেন লগে আল্লায় নিজে ওয়াদা করছইন।
 হুরু অকলে বড় অকলর গেছ থাকি দোয়া পাইয়া থাকইন,
এর মাজে তো সন্দয় নাই।
 একবায়দি যে ইমামর মউত অয়,
অউ লেবি গুষ্টির ইমাম অকলে দশ বাটর এক বাট আদায় করইন,
আর আরকবায় মালকী-সিদ্দিক,
কিতাবে কয় তাইন হর-হামেশা জিন্দা আছইন,
তাইনও দশ বাটর এক বাট আদায় করছইন।
 হিরবার ইখানও কওয়া যায়,
লেবি গুষ্টির যে ইমামে দশ বাটর এক বাট আদায় করছইন,
তাইনও ইব্রাহিমর মাজদি মালকী-সিদ্দিকরে দশ বাটর এক বাট দিছইন,
১০ কারন মালকী-সিদ্দিকে যেবলা ইব্রাহিমর লগে মুলাকাত করলা,
লেবি তো অউ সময় ইব্রাহিমর নাড়র ভিতরে আছলা।
হজরত ইছা মালকী-সিদ্দিকর ছিলছিলার ইমাম
১১ লেবি গুষ্টির ইমাম ছাব অকলর কাম-কাজর উপরে নির্ভর করিয়া আল্লায় বনি ইছরাইলরে শরিয়ত দিছলা,
ই ইমামর মাজদি যুদি কামিল অওয়া যাইতো,
তে লেবি গুষ্টির পয়লা ইমাম হারুনর বদলা মালকী-সিদ্দিকর নমুনার আরক ইমাম আওয়ার কুনু গরজ আছিল নি?
১২ ইমামর ছিলছিলা বদলাইল অইলে তো শরিয়তরেও বদলানি লাগে।
১৩ ই হকল বয়ান যান নিয়তে কররাম,
এইন তো লেবি গুষ্টির নায়,
আরক গুষ্টির,
হি গুষ্টির কেউ কুরবানি খানার খাদিম আছলা না।
১৪ আমরার মুনিব তো এহুদা গুষ্টির মাজে পয়দা অইছইন,
ই গুষ্টির কেউ ইমাম অইবা করিয়া মুছায় কুন্তা কইছইন না।
১৫ মালকী-সিদ্দিকর নমুনায় যেবলা আরক জন ইমামে তশরিফ আনইন,
ই সময় তো আমরার বয়ান আরো ছাফ অইগেছে।
১৬ ইছা তো রক্ত-মাংসর কুনু নিয়মে ইমাম অইছইন না,
খালি তান হর-হামেশাকুর কুদরতি জিন্দেগির বলেউ অইছইন।
১৭ তান বেয়াপারে পাক কালামে কয়,
 
মালকী-সিদ্দিকর নমুনায়,
তুমিউ হর-হামেশাকুর ইমাম।
 
১৮ তে দেখউক্কা,
একবায় আগর ইমামতির হুকুম-আহকাম অকল কমজুর আর বেকামা অইযাওয়ায় ইতারে হরাই দেওয়া অইছে,
১৯ মুছার শরিয়তে তো কুন্তারেউ কামিল বানাইতো পারছে না।
আর আরকবায় অউলা এক মহান নয়া ওয়াদা জারি করা অইছে,
ই ওয়াদার জরিয়ায় আমরা আল্লার আরো কাছাত আইতাম পারমু।
২০ আর আগর ইমাম অকলর বেয়াপারে তো কুনু কছম করা অইছে না,
অইলে ইছার ইমামতির বেয়াপারে আল্লায় কছম করছইন।
২১ তাইন কছম করিয়া এনরে বওয়াল করছইন,
আর কইছইন,
 
মাবুদে কছম খাইয়া কইরা,
তুমিউ হর-হামেশাকুর ইমাম,
তুমার বেয়াপারে তান মুনশা বদলাইতা নায়।
 
২২ তে আমরা বুজরাম যেন,
ইছা আল্লার লগে মানষর মিলনর আরো মহান এক উছিলার জামিনদার অইছইন।
২৩ আর লেবির গুষ্টি থাকি বউত মানষে ইমামতি করছইন,
মউত অইযায় করি এরা কুনু জনউ হামেশা ইমামতি করতা পারছইন না।
২৪ অইলে ইছা তো হর-হামেশা জিন্দা আছইন,
এরলাগি তান ইমামতি কুনুদিনও ফুড়াইতো নায়।
২৫ এরলাগিউ যেরা তান উছিলা লইয়া আল্লার কাছাত আয়,
আল্লায় তারারে পুরাপুর নাজাত দান করইন,
কারন তারার পক্ষে সুপারিশ করার লাগি তাইন হামেশা জিন্দা আছইন।
২৬ আসলে আমরার লাগি অউলা একজন পরধান ইমামর জরুরও আছিল,
যেইন পাক-পরেজগার,
বে-গুনা,
গুনাগার অকল থনে আলগ,
আর আল্লায় যেনরে আছমান অকলর উপরে তুলছইন।
২৭ বাকি হক্কল পরধান ইমামে পয়লা তান নিজর লাগি,
বাদে তান কউমর গুনার লাগি পরতেক দিন কুরবানি আদায় করা লাগতো।
অইলে অউ ইমামর লাগি ইতার জরুর আছিল না,
কারন তাইন তান নিজরে কুরবানি দিয়া একই বারে ই কাম আদায় করিলিছইন।
২৮ শরিয়তে যতো পরধান ইমাম অকলরে বওয়াল করছে এরা হকলউ কমজুর,
অইলে শরিয়তর বাদে আল্লার কছম মাফিক যেনরে বওয়াল করা অইছে,
এইনউ খাছ মায়ার পুত,
হর-হামেশাকুর ইমামতির লাগি এনরে কামিল বানাইল অইছে।