পবিত্র ইঞ্জিল শরিফ ২১ নম্বর ছিপারা
পয়লা পিতর
১
১ আল্লার পছন্দ করা যতো বন্দা অকল পন্ত,
গালাতিয়া,
কাপ্পাদকিয়া,
আছিয়া আর বিথুনিয়া দেশো ছিতরিয়া ভিন-দেশি হিসাবে বসত কররা,
তারার গেছে আমি আল-মসীর সাহাবি পিতরে অউ ছহিফা খান লেখরাম।
২ গাইবি বাফ আল্লায় তান মুনশায় তুমরারে পছন্দ করছইন আর পাক রুহে পবিত্র করছইন।
এর উদ্দেশ্য অইলো,
তুমরা যাতে ইছা আল-মসীর বাইধ্য অও আর তান লউ ছিটাইয়া তুমরারে পাক-ছাফ করা অয়।
আল্লায় তুমরারে বেশ করি রহমত আর শান্তি দান করউক্কা।
ইমানদার অকলর নাজাতর আশা
৩ হউ আল্লা পাকর তারিফ অউক,
যেইন আমরার মালিক ইছা আল-মসীর মাবুদ আর গাইবি বাফ।
তাইন ইছা আল-মসীরে মরা থাকি জিন্দা করিয়া,
তান মহা দয়ায় আমরারে নয়া জনম দান করছইন,
এতে আমরা এক জিন্দা আশা পাইছি।
৪ মানি আমরা অলা এক ধনর আশা পাইছি,
যে ধন কুনুদিন নষ্ট অইতো নায়,
হারা জীবন নয়া থাকব,
এর মাজে খারাপ কুন্তা থাকতো নায়।
নাজাতর ই ধন তুমরার লাগি বেহেস্তো রাখা অইছে।
৫ তুমরা পুরাপুর নাজাত না পাওয়া পর্যন্ত,
আল্লাই শক্তিয়ে ইমানর মাজদি তুমরারে হেফাজতে রাখা অইছে।
অউ নাজাত ঠিক করা অইছে,
আখেরাতর সময় জাইর অওয়ার লাগি।
৬ যুদিও কয় দিনর লাগি নানান জাত পরিক্ষার মাজদি তুমরা অখন দুখ-কষ্ট কররায়,
তা-ও অউ নাজাতর আশায় তো তুমরার মন খুশিয়ে ভরা।
৭ অউ পরিক্ষা অকল চলের,
তুমরা যেন ইমানে খাটি অখান পরমান করার লাগি।
আর ইছা আল-মসীর জাইর অওয়ার সময়,
তুমরা যানু তারিফ,
গৌরব আর সম্মান পাও।
যে সোনা ক্ষয় অইযায়,
অউ সোনারেও আগুনিত পুড়িয়া যাচাই করা অয়।
আর তুমরার ইমানর দাম তো অউ সোনার চাইতেও বউত বেশি,
এরলাগি অউ পরিক্ষা চলের।
৮ যুদিও আল-মসীরে তুমরা দেখছো না,
তেবউ তুমরা তানরে মহব্বত কররায়।
আর অখনও তানরে চউখে না দেখলেও,
খুশি অইয়া তানরে একিন কররায়,
ই খুশি তো ভাষায় কওয়া যায় না,
ইতা খালি বেহেস্তি খুশি।
৯ কারন তুমরার ইমানর আখেরি ফল পাইরায়,
ইকটা অইলো তুমরার জানর পুরাপুর নাজাত।
১০ যে দোয়া তুমরার পাওয়ার কথা,
ই বেয়াপারে বউত আগে নবী অকলে বাতাইছইন।
তারা অউ নাজাতর বেয়াপার জানার লাগি বউত খুজ-খবর করছইন।
১১ তারার দিলো আল-মসীর রুহে আগেউ সাক্ষি দিয়া কইছইন,
তানরে কষ্ট করতে অইবো আর বাদে তাইন মহিমা পাইবা।
নবী অকলে জানতা চাইছলা,
আল-মসীর অউ রুহে কুন সময়কুর আর কুন হালতর কথা তারারে জানাইরা।
১২ অইলে আল্লায় তারারে দেখাইয়া দিছইন,
তারা যেতা বাতাইরা ইতা দিয়া তারার নিজর খেজমত না করিয়া,
তুমরার খেজমত কররা।
আছমান থাকি পাঠাইল পাক রুহ দিয়া,
যেরা তুমরার গেছে আল-মসীর বেয়াপারে খুশ-খবরি তবলিগ করছইন,
তারা তুমরারে নবী অকলর কথাউ জানাইছইন।
ফিরিস্তা অকলেও ইতা বেয়াপার জানার লাগি খিয়ালি।
পাক-পবিত্র অওয়ার দাওত
১৩ এরলাগি তুমরার মনরে হজাগ করো আর নিজরে সামলাইয়া রাখো।
আল-মসী জাইর অওয়ার বাদে যে রহমত তুমরা পাইবায়,
অউ রহমতি নাজাত পাওয়ার লাগি পুরাপুর আশা লইয়া তুমরা বার চাও।
১৪ তুমরার আগর অবুজ হালতর খারাপ কাম-কাজ মাফিক জিন্দেগি কাটাইও না,
বরং আল্লার হুকুম মানরা আওলাদ হিসাবে দিন কাটাও।
১৫ যেইন তুমরারে দাওত দিছইন,
তাইন যেলা পবিত্র,
তুমরাও অউলা হকল চলা-ফিরাত পবিত্র অও।
১৬ পাক কিতাবো আল্লায় কইছইন,
“আমি পবিত্র,
এরলাগি তুমরাও পবিত্র অও।”
১৭ আল্লায় পরতেক মানষর আমল-নমা দেখিয়া বিচার করইন,
কেউর মুখর বায় চাইয়া বিচার করইন না।
এরলাগি তানরে যুদি তুমরা গাইবি বাফ ডাকো,
তে যতদিন তুমরা অউ দুনিয়াত মুছাফির হালতে থাকবায়,
অতদিন তুমরা তানরে ডরাইয়া জিন্দেগি কাটাও।
১৮ তুমরা জানো,
তুমরার বাফ-দাদা থাকি পাওয়া বেকামা চাল-চলনর পথ থাকি,
ক্ষয় অওয়ার জুকা সোনা-রুপার লাখান কুনুতা দিয়া তুমরারে আজাদ করা অইছে না।
১৯ বরং তুমরারে আজাদ করা অইছে,
আল-মসীর মহা দামি লউ দিয়া,
নিখুত-নিষ্কলংক মেড়ার বাইচ্চার লউ দিয়া।
২০ দুনিয়া পয়দা অওয়ার আগেউ আল্লায় তানরে ঠিক করি রাখছইন,
অইলে অউ হেশ-মেশ সময় তাইন তুমরার লাগিউ জাইর অইছইন।
২১ আল্লায় এনরে মরা থাকি জিন্দা করি তুলিয়া মহিমা দান করছইন আর তান মাজদি তুমরা আল্লার উপরে ইমান আনছো।
এরলাগিউ তুমরার ইমান আর আশা আল্লার উপরেউ আছে।
২২ অখন হক-হালালি মানিয়া,
তুমরার দিলরে পাক-ছাফ করছো আর ইমানদার ভাই অকল যেবলা তুমরার গেছে মায়ার মানুষ অইছইন,
তে আমি কইরাম,
তুমরা একে-অইন্যরে দিলে-জানে মায়া করো।
২৩ যে বিচ নষ্ট অইযায়,
তুমরার জনম তো ইলা বিচর নায়।
বরং যেতা নষ্ট অয় না,
অতা থাকিউ তুমরার নয়া জনম অইছে।
অউ বিচ অইলো আল্লার চিরকালিন জিন্দা কালাম।
২৪ আল্লার কালামো লেখা আছে,
হকল মানুষউ ঘাসর লাখান,
ঘাস ফুলর লাখান তারা সুন্দর;
ঘাস হুকাই যায়,
ফুলও জরি যায়,
২৫ খালি আল্লার কালাম রয় চিরকাল।
আর অউ কালামউ অইলো খুশ-খবরি,
যেতা তুমরার গেছে তবলিগ করা অইছে।