শমরিয়ার বেটির ইমান
 ফরিশি অকলে হুনলা,
হজরত ইছায় এহিয়া নবী থাকি বেশি মানষরে তান উম্মত বানাইছইন,
আর তৌবার গোছল করাইরা।
 অইলে ইছায় নিজে তৌবার গোছল করাইরা না,
তান উম্মত অকলেউ করাইরা।
 হজরত ইছায় ই খবর পাইয়া,
এহুদিয়া জিলা ছাড়িয়া হিরবার গালিল জিলাত যাওয়ার লাগি রওয়ানা অইলা।
 যাওয়ার কালো তানরে শমরিয়ার মাজদি যাওয়া লাগছিল।
 পথো তাইন শমরিয়ার শুখার নামর এক গাউর ধারো আইলা।
হজরত ইয়াকুবে তান পুয়া ইউছুফরে যে জমিন দান করছলা,
অউ জমিন খান আছিল হউ গাউর ধারো।
 ই জমিনো হজরত ইয়াকুবর কুয়া আছিল।
ইছা আটতে আটতে হেরান অইয়া অউ কুয়ার কাছাত জিরাইলা।
অউ সময় অনুমান দুইফর অইগেছে।
৭-৮ এরমাজে শমরিয়া জাতির এক বেটিয়ে পানি তুলাত আইলো,
আর কুয়ার কাছাত ইছা একলা আছলা,
কারন তান সাহাবি অকল খানি-পানি লওয়ার লাগি বাজারো গেছলাগি।
ইছায় তাইরে কইলা,
“ও মাই,
আমারে থুড়া পানি খাওয়াউক্কা।”
 বেটিয়ে কইলো,
“আমি তো শমরিয়া জাতির মানুষ।
আপনে একজন ইহুদি অইয়া আমার গেছে পানি চাইরা কিলা?”
বেটিয়ে ইখান কইলো,
কারন শমরিয়া জাতির লগে ইহুদি মানষর কুনুজাত মিল-মিশ বা চলা-ফিরা আছিল না।
১০ ইছায় তাইরে কইলা,
“তুমি যুদি জানতায় আল্লার দান কিতা,
আর কে তুমার গেছে পানি চাইরা,
তে তুমি নিজেউ তান গেছে পানি চাইলায় অনে,
আর তাইন তুমারে জিন্দা পানি দিলা অনে।”
১১ বেটিয়ে কইলো,
“ছাব,
আপনার গেছে তো পানি তুলার কুন্তা নাই,
আর ই কুয়াও গইন।
তে জিন্দা পানি কুয়াই থাকি পাইলা?
১২ আপনে কুনু আমরার মুল-মুরব্বি ইয়াকুব নবী থাকি বড় নি?
তাইনউ আমরার লাগি ই কুয়া খুদিছলা।
তাইন আর তান পুয়াইন্তেও অউ কুয়ার পানি খাইতা,
আর তান পশুর পালরেও খাওয়াইতা।”
১৩ তেউ ইছায় কইলা,
“যে জনে ই কুয়ার পানি খাইবো,
তার হিরবার পিয়াছ লাগবো।
১৪ অইলে আমার দেওয়া পানি যে খাইবো,
তার কুনু সময়উ পিয়াছ লাগতো নায়।
বরং ই পানি তার দিলর মাজে ঝরনার লাখান উথলিয়া উঠবো আর আখেরি জিন্দেগি দান করবো।”
১৫ তেউ বেটিয়ে ইছারে কইলো,
“হুজুর,
তে আমারেও হউ পানি দেউক্কা,
যাতে আমার পিয়াছ না লাগে,
আর পানির লাগি ইনো আওয়া না লাগে।”
১৬ ইছায় বেটিরে কইলা,
“তে যাও,
তুমার জামাইরে অনো লইয়া আও।”
১৭ বেটিয়ে কইলো,
“ছাব,
আমার তো কুনু জামাই নাই।”
ইছায় কইলা,
“তুমি ঠিকউ কইছো,
তুমার জামাই নাই।
১৮ কারন এর আগে তো তুমার পাচ জন জামাই অইগেছইন,
আর অখন যে তুমার লগে আছে,
হে তুমার জামাই নায়।
তুমি হাছা কথাউ কইলায়।”
১৯ ইখান হুনিয়া বেটিয়ে ইছারে কইলো,
“হুজুর,
অখন আমি বুজলাম,
আপনে একজন নবী।
২০ আমরার বাফ-দাদাইন্তে অউ পাড়র উপরেউ এবাদত করতা,
অইলে আপনারা কইন,
জেরুজালেমোউ মানষর এবাদত করা উচিত।”
২১ ইছায় তানরে কইলা,
“হুনো,
আমার মাতখান একিন করো।
দেখিও,
অউলা সময় আইবো যেবলা তুমরা ই পাড়র উপরে,
বা জেরুজালেমর কুনুখানো,
গাইবি বাফ আল্লার এবাদত করতায় নায়।
২২ তুমরা যারে চিনো না,
তার এবাদত করো,
অইলে আমরা যান এবাদত করি,
তানরে আমরা চিনি।
জানো নি,
নাজাতর পথ তো ইহুদি অকলর মাজদিউ আইছে।
২৩ হুনো,
অলা সময় আইবো,
বরং অখনউ আইচ্ছে,
যেবলা আসল এবাদতকারি অকলে হক্কানি রুহে গাইবি বাফ আল্লার এবাদত করবা।
গাইবি বাফেও অলাখান এবাদতকারির তালাশ করইন।
২৪ আল্লাতালা অইলাগি রুহ,
এরলাগি যারা তান এবাদত করবা,
তারা হক্কানি রুহে তান এবাদত করা লাগবো।”
২৫ বাদে অউ বেটিয়ে কইলো,
“আমি জানি,
আল-মসী আইরা।
তাইন আইয়া হকলতা আমরারে জানাইবা।”
২৬ ইছায় অউ বেটিরে কইলা,
“আমিউ হেইন,
যেইন অখন তুমার লগে মাতিরা।”
২৭ অউ সময় সাহাবি অকলে আইয়া দেখলা,
ইছায় এক বেটির লগে মাতিরা,
দেখিয়া তারা তাইজ্জুব অইগেলা।
তা-ও তারা কেউ জিকাইলা না,
আপনে কিতা চাইরা বা এন লগে মাতিরা কেনে।
২৮ বাদে বেটিয়ে তাইর পানির খৈলা থইয়া গাউর মানষরে গিয়া কইলো,
২৯ “তুমরা আইয়া একজনরে দেখি যাও।
আমার জিন্দেগিত যেতা করছি,
ইতা হকলতাউ তাইন কইলিছইন।
তে তাইনউ কিতা হউ আল-মসী নি?”
৩০ ইতা হুনিয়া গাউর মানুষ বার অইয়া ইছার গেছে আওয়া ধরলা।
৩১ বাদে তান সাহাবি অকলে তানরে অনুরোধ করি কইলা,
“হুজুর,
কুন্তা খাউক্কা।”
৩২ তাইন কইলা,
“আমার গেছে ইলা খানি আছে,
যে খানির বেয়াপারে তুমরা জানো না।”
৩৩ ইখান হুনিয়া সাহাবি অকলে একে-অইন্যে জিকাইলা,
“তে তানরে কেউ কুনু খানি আনিয়া দিছে না কিতা?”
৩৪ তেউ ইছায় তারারে কইলা,
“যেইন আমারে বেজিছইন,
তান মর্জি মাফিক তান কাম পুরা করাউ আমার খানি।
৩৫ “তুমরা কও না নি,
‘আর চাইর মাস বাদেউ ফসল কাটার সময় আইবো’?
অইলে আমি তুমরারে কইরাম,
ভালা করি একবার খেতেদি চাইয়া দেখো,
ফসল পাকিয়া কাটার জুকা অইগেছে।
৩৬ ফসল কাটরায় অখনউ বেতন পাইরা আর আখেরর লাগি ফসল দলা কররা।
এরলাগি যেইন জালা বাইন দেইন আর যেইন ফসল কাটইন,
দুইও জনউ হমান খুশি অইন।
৩৭ এতে অউ ছিল্লেখর পরমান অয়,
‘একজনে বাইন দেইন,
আরক জনে কাটইন।’
৩৮ আমিও তুমরারে অলা ফসল কাটাত পাঠাইছি,
যে ফসলর লাগি তুমরা মেনত করছো না।
অইন্য মানষে মেনত করছে আর তুমরা অউ মেনতর ফসল কাটিছো।”
৩৯ যে বেটির জিন্দেগির হকলতা ইছায় কইলিছইন,
অউ বেটির সাক্ষি হুনিয়া হউ গাউর বউত শমরিয়া মানষে ইছার উপরে ইমান আনলা।
৪০ তারা ইছারে গিয়া মিনত করি কইলা,
তারার অখানো রইবার লাগি।
এরদায় তাইন দুই দিন হনো রইলা।
৪১ অউ সময় তান তালিম হুনিয়া আরো বউত মানষে ইমান আনলা।
৪২ আর গাউর মানষে অউ বেটিরে কইলা,
“তুমার কথায় আমরা ইমান আনছি না,
আমরা নিজেউ তান মাত হুনিয়া বুজতাম পারছি,
এইনউ জগতর আসল তরানেআলা।”
হজরত ইছার দুছরা কেরামতি
৪৩ শমরিয়াত দুইদিন রইয়া হারি হজরত ইছা নিজর বাড়ি গালিল জিলাত গেলাগি।
৪৪ যুদিও তাইন আগে কইছলা,
কুনু নবীরেউ নিজর দেশো দাম দেওয়া অয় না,
৪৫ তেবউ অউ সময় তারা তানরে কবুল করলা।
কারন ইদর সময় ইছায় জেরুজালেমো যেতা কেরামতি দেখাইছলা,
গালিলর মানুষ হনো থাকায় তারা ইতা দেখছলা করি তাইন গালিলো আইলে তারা কবুল করলা।
৪৬ বাদে ইছা হিরবার গালিলর কান্না গাউত গেলা।
অনোউ তাইন পানিরে আংগুরর শরবত বানাইছলা।
কফরনাউম টাউনো এক সরকারি অফিসারর পুয়া খুব বেমার আছিল।
৪৭ হজরত ইছা এহুদিয়া থাকি গালিল আইছইন হুনিয়া,
অউ অফিসার তান গেছে গিয়া মিনত করলা,
তাইন যানু কফরনাউম গিয়া এন পুয়াগুরে ভালা করইন।
অউ সময় তান পুয়া মরার পথি অইগেছিল।
৪৮ ইছায় অউ অফিসাররে কইলা,
“কুনু নিশানা বা কেরামতি কাম না দেখলে আপনারা কুনুমন্তেউ ইমান আনতা নায়।”
৪৯ তেউ অফিসারে কইলা,
“হুজুর,
দয়া করি জলদি আউক্কা,
পুয়াগুর জান থাকতে আউক্কা।”
৫০ ইছায় তানরে কইলা,
“আপনে যাউক্কাগি,
আপনার পুয়া ভালা অইগেছে।”
ইছার কথা একিন করিয়া এইন গেলাগি।
৫১ হাছাউ,
হউ অফিসার বাড়িত যাওয়ার পথে তান গুলাম অকলে আইয়া খবর কইলো,
“ছাব,
আপনার পুয়ার বেমার কমিগেছে।”
৫২ তাইন এরারে জিকাইলা,
“হে কুন সময় ভালা অইছে?”
তারা কইলা,
“কাইল দুইফর থাকি তান তাপ ছাড়ি দিছে।”
৫৩ তেউ অফিসারর মনো অইলো,
ঠিক দুইফরি বালা ইছায় তানরে কইছলা,
“আপনে যাউক্কাগি,
আপনার পুয়া ভালা অইগেছে।”
এরলাগি অউ অফিসার আর তান পরিবারর হকলে ইছার উপরে ইমান আনলা।
৫৪ হজরত ইছা এহুদিয়া থনে গালিলো আওয়ার বাদে অউ দুছরা কেরামতি নিশানা দেখাইলা।