হজরত ইছায় জন্মর আন্দারে ভালা করলা
 হজরত ইছা পথেদি আটিয়া যাওয়ার সময় এক আন্দা বেটারে পাইলা।
হে জন্ম থাকিউ আন্দা আছিল।
 এরে দেখিয়া তান সাহাবি অকলে তানরে জিকাইলা,
“হুজুর,
অউ মানুষগু কার গুনায় আন্দা অইয়া জন্মিছে?
তার নিজর গুনার লাগি,
না তার মা-বাফর?”
 তাইন জুয়াপ দিলা,
“তার নিজর লাগিও নায়,
আর তার মা-বাফর গুনার লাগিও নায়।
তার মাজদি আল্লার লিলা-খেলা জাইর অওয়ার লাগিউ ইলা অইছে।
 হুনো,
যেইন আমারে বেজিছইন,
সময় থাকতে থাকতে তান কাম করা আমরার জরুর।
রাইত ঘনাইয়া আর,
হি সময় কেউ কাম করার উপায় নাই।
 বুজরায় নি,
আমি যতদিন দুনিয়াত আছি,
অতদিন আমিউ দুনিয়ার নুর।”
 অখান কইয়াউ তাইন মাটিত ছেফ ফালাইয়া ফেক বানাইলা,
বাদে অউ ফেক আন্দা বেটার চখুত লাগাইয়া কইলা,
 “যাওবা,
ছীলোয়ার পুরকিত গিয়া ধইলাও।”
ছীলোয়া মানি পাঠানি।
হে গিয়া চউখ ধইলো আর ভালা অইয়া আইলো।
 ইখান দেখিয়া আরি-ফরি আর যতো মানষে তারে আগে ভিক করাত দেখছিলা এরা কইলা,
“অগু কিতা হউ বেটা নায় নি,
যেগিয়ে অনো বইয়া ভিক করতো?”
 কেউ কেউ কইলো,
“অয়,
হে তো অউ বেটাউ।”
আর কেউ কেউ কইলো,
“দেখতে যুদিও তার লাখান,
অইলে হে নায়।”
তেউ হে নিজে কইলো,
“জিঅয়,
আমিউ হউ জন।”
১০ অউ তারা এরে জিকাইলা,
“কওছাইন,
তুমার চউখ ভালা অইলো কিলা?”
১১ হে কইলো,
“ইছা নামর অউ মানষে ফেক বানাইয়া আমার চখুত লাগাইয়া কইলা,
যাওবা,
ছীলোয়ার পুকরির মাজে ধইয়া আওগি।
আমি গিয়া ধইলাম আর ভালা অইগেলাম।”
১২ তারা কইলা,
“অউ মানুষগু কুয়াই?”
হে কইলো,
“আমি জানি না।”
১৩ অউ যে বেটা আন্দা আছিল,
মানষে তারে ধরিয়া ফরিশি অকলর গেছে লইয়া গেলা।
১৪ কারন ইছায় যেদিন ফেক লাগাইয়া তার চউখ ভালা করছলা,
ই দিন আছিল তারার জুম্মাবার।
১৫ এরলাগি ফরিশি অকলে হিরবার তারে জিকাইলা,
“তুমার চউখ ভালা অইলো কিলা?”
হে কইলো,
“হউ জনে আমার চখুত ফেক লাগাইয়া দিলা,
আর আমি গিয়া ধইয়াউ চউখে দেখলাম।”
১৬ অউ সময় কয়জন ফরিশিয়ে কইলা,
“ই মানুষগু তো আল্লার গেছ থাকি আইছে না।
দেখরায় নি,
হে জুম্মাবারও মানে না।”
অইলে কেউ কেউ কইলা,
“গুনাগার মানষে ইলাখান কেরামতি কাম করবো কিলা?”
অতা লইয়া তারার মাজে দলাদলি লাগিগেল।
১৭ তারা হিরবার অউ মানষরে জিকাইলা,
“ঠিক আছে,
হে তো তুমার চউখ ভালা করছে,
এরলাগি তুমি তার বেয়াপারে কিতা কও।”
হে কইলো,
“তাইন একজন নবী।”
১৮ অইলে অউ বেটা যেন আগে আন্দা আছিল আর অখন চউখে দেখের,
ইহুদি নেতা অকলে তার মা-বাফরে না জিকানি পর্যন্ত ইতা একিন করলা না।
১৯ তারা তার মা-বাফরে জিকাইলা,
“দেখোছাইন,
অগু তুমরার হউ আন্দা পুয়া নি,
যেগুরে তুমরা জন্মর আন্দা কও?
তে হে অখন চউখে দেখের কিলা?”
২০ তার মা-বাফে কইলা,
“জিঅয়,
হে আমরারউ পুয়া আর হে আন্দা অইয়া জন্মিছিল।
২১ অইলে অখন কিলা চউখে দেখের,
ইখান আমরা জানি না।
আর কে তার চউখ ভালা করছইন,
তা-ও কইতাম পারি না।
হে তো বড় অইগেছে,
তারেউ জিকাউক্কা,
তার বেয়াপার হে কউক।”
২২ তার মা-বাফে ইহুদি নেতা অকলর ডরে অলা মাতিলা,
কারন ইহুদি নেতা অকলে আগ থাকিউ আইন করছিলা,
কেউ যুদি ইছারে আল-মসী কইয়া কবুল করে,
তে তারে সমাজ থাকি বার করি দেওয়া অইবো।
২৩ এরলাগিউ তার মা-বাফে কইলা,
“হে বড় অইগেছে,
তারেউ জিকাউক্কা।”
২৪ নেতা অকলে দুছরা বার তারে আনিয়া জিকাইলা,
“তুমি আল্লার নামে হাছা মাত মাতো।
আমরা তো জানি ই মানুষটা গুনাগার।”
২৫ হে জুয়াপ দিলো,
“তাইন গুনাগার না কিতা,
ইখান আমি জানি না।
খালি অখান জানি,
আমি আগে আন্দা আছলাম,
অখন চউখে দেখিয়ার।”
২৬ নেতা অকলে কইলা,
“কওছাইন,
হে তুমারে কিতা করছে?
তুমার চউখ কিলা ভালা করলো?”
২৭ অউ বেটায় জুয়াপ দিলো,
“আমি তো আগেউ কইলাম,
অইলে আপনারা হুনলা না।
তে অখন কেনে আর হুনতা চাইরা?
আপনারাও তান উম্মত অইতা চাইরা নি?”
২৮ ইখান হুনিয়া তারা বেটারে খুব গালা-গালি করিয়া কইলা,
“হই,
তুই গিয়া অগুর উম্মত অইছত,
অইলে আমরা অইলাম মুছা নবীর উম্মত।
২৯ আমরা জানি,
আল্লায় নিজে মুছা নবীর লগে বাতচিত করছইন,
অইলে ই বেটা কুয়াই থাকি আইছে,
ইতা তো আমরা জানিউ না।”
৩০ তেউ বেটায় কইলো,
“কি তাইজ্জুবি!
আপনারা জানইন না তাইন কুয়াই থাকি আইছইন,
অথচ তাইনউ আমার চউখ ভালা করলা।
৩১ আমরা জানি,
নাফরমান অকলর কথা আল্লায় হুনইন না।
অইলে কেউ যুদি আল্লার আশিক বনিয়া তান মর্জি যুগাইয়া চলে,
তে আল্লায় তার ফরিয়াদ হুনইন।
৩২ আর আইজ পর্যন্ত ইলা হুনা গেছে না যেন,
জন্ম থাকি আন্দা কুনু মানষর চউখ কেউ ভালা করছে।
৩৩ তাইন যুদি আল্লার গেছ থাকি না আইতা,
তে ইলা করতা পারলা না অনে।”
৩৪ নেতা অকলে তারে কইলা,
“তোর জনম অইছে নাফরমানির মাজে,
আর তুই আমরারে তালিম দিরে নি?”
অখান কইয়া তারা তারে সমাজ থাকি একঘরি করলা।
৩৫ ইছায় হুনলা,
নেতা অকলে অউ বেটারে একঘরি করছইন।
তাইন অউ বেটারে তুকাইয়া বার করিয়া কইলা,
“ওবা,
তুমি কিতা বিন-আদমর উপরে ইমান আনছো নি?”
৩৬ হে কইলো,
“হুজুর,
তাইন কে?
আমারে কউক্কা,
আমি যাতে তান উপরে ইমান আনতাম পারি।”
৩৭ ইছায় তারে কইলা,
“তুমি তানরে দেখছো,
আর তাইনউ তুমার লগে মাতিরা।”
৩৮ অউ বেটায় কইলো,
“হুজুর,
আমি ইমান আনলাম।”
অখান কইয়াউ হে হজরত ইছারে সইজদা করলো।
৩৯ ইছায় কইলা,
“হুনো,
আমি আইছি ই দুনিয়াত বিচার করার লাগি,
যেরা আন্দা আছইন তারা যানু ভালা অইন,
আর ভালা অকল আন্দা অইন।”
৪০ অউ সময় কয়জন ফরিশিও ইছার কান্দাত আছলা।
ইখান হুনিয়া তারা কইলা,
“তে আপনে কিতা কইতা চাইরা,
আমরা আন্দা নি?”
৪১ ইছায় কইলা,
“তুমরা যুদি আন্দা অইতায়,
তে তুমরা কুনু দুষি অইলায় না অনে।
অইলে তুমরাউ কইরায় আন্দা নায়,
এরলাগিউ তুমরার মাজে দুষ আছে।”