হজরত ইছাউ আসল আংগুর গাছ
১৫
 হজরত ইছায় কইলা,
“আমিউ আসল আংগুর গাছ আর আমার বাবা গিরস্ত।
 আমার যেতা ডালাইন্তো ফল ধরে না,
তাইন ইতারে কাটিয়া ফালাই দেইন।
আর যেতা ডালাইন্তো ফল ধরে,
তাইন ইতারে ছাটিয়া ছাফ-ছুতরা করি রাখইন,
যাতে আরো বেশি ফল ধরে।
 তে আমি তুমরারে যে কালাম তালিম দিছি,
এরলাগি তো তুমরা আগ থাকিউ ছাটা অইয়া ছাফ-ছুতরা অইছো।
 তুমরা আমার মাজে রও,
আমিও তুমরার দিলো রইমু।
আংগুর গাছর লগে ডাল যুদি লাগাইল না থাকে,
তে ডালে যেলা নিজে নিজে ফল ধরাইতো পারে না,
অউলা তুমরাও আমার মাজে না রইলে নিজে নিজে ফলআলা অইতায় পারো না।
 আমিউ আংগুর গাছ,
আর তুমরা অইলায় ডালপালা।
যে জন আমার লগে লাগাইল থাকে,
আমিও তার লগে লাগাইল রই,
তেউ তার জিন্দেগিত বউত ফল ধরে।
আর,
আমারে ছাড়া তো তুমরা কুন্তাউ করতায় পারো না।
 “আমার লগে কেউ লাগাইল না রইলে,
তারে কাটা ডালর লাখান ফালাই দেওয়া অয় আর রইদে হুকাই যায়।
বাদে হুকনা ডালাইন তুবাইয়া আগুইনো দেইন,
তেউ ইতা জলি-পুড়ি যায়।
 তুমরা যুদি আমার লগে লাগাইল থাকো আর আমার কালাম খানাইন তুমরার দিলো থাকে,
তে তুমরার যেতা ইচ্ছা অতাউ চাইও,
ইতা তুমরারে দেওয়া অইবো।
 তুমরার জিন্দেগিত যুদি বউত ফল ধরে,
আর অলাখান তুমরা নিজরে আমার উম্মত হিসাবে পরমান করিলাও,
তে আমার গাইবি বাফর তারিফ অইবো।
 বাফে আমারে যেলা মায়া করছইন,
আমিও অউলা তুমরারে মায়া করছি।
তুমরা আমার মায়ার মাজে রও।
১০ আমি আমার বাফর হকল হুকুম-আহকাম মানিয়া যেলা তান মায়ার মাজে রইছি,
তুমরাও অউলা আমার হুকুম-আহকাম মানলে আমার মায়ার মাজে রইবায়।
১১ “আমি তুমরারে ইতা কইলাম,
যাতে আমার খুশি তুমরার দিলো থাকে আর তুমরার খুশি পুরা অয়।
১২ আমার হুকুম অইলো,
আমি যেলা তুমরারে মায়া করছি,
তুমরাও অউলা একে-অইন্যরে মায়া করো।
১৩ কেউ যুদি নিজর দুস্তর লাগি জান বিলাই দেয়,
তে তার থাকি আর বেশি মায়া কার আছে?
১৪ আমার দেওয়া হুকুম যুদি তুমরা আমল করো,
তে তুমরা আমার দুস্ত।
১৫ আমি তুমরারে আর গুলাম কইরাম না,
কারন মুনিবে কিতা করইন গুলামে তো ইতা জানে না,
বরং আমি তুমরারে দুস্ত কইছি,
কারন গাইবি বাফর গেছ থাকি আমি যততা হুনছি,
হকলতাউ তুমরারে জানাইছি।
১৬ “আমারে তো তুমরা পছন্দ করছো না,
বরং আমিউ তুমরারে পছন্দ করছি আর কামো লাগাইছি,
যাতে তুমরার জিন্দেগি ফলআলা অয় আর অউ ফল টিকিয়া রয়।
তেউ আমার নামে গাইবি বাফর গেছে যেতা চাইবায়,
তাইন তুমরারে দিবা।
১৭ আমি তুমরারে অউ হুকুম দিয়ার,
তুমরা একে-অইন্যরে মায়া করো।
দুনিয়া মুমিন অকলর দুশমন
১৮ “দুনিয়ার মানষে তুমরারে ঘিন্নাইন,
অইলে মনো রাখিও,
এর আগে তারা আমারেউ ঘিন্নাইছে।
১৯ তুমরা যুদি অউ দুনিয়ার অইতায়,
তে তারা তুমরারে নিজর হিসাবে ভালা পাইলো অনে।
তুমরা তো ই দুনিয়ার নায়,
আমি তুমরারে দুনিয়ার মাজ থাকি পছন্দ করছি গতিকে তারা তুমরারে ঘিন্নায়।
২০ আমার কথা খান মনো রাখিও,
গুলাম তার মুনিব থাকি বড় নায়।
এরলাগি মানষে যুদি আমারে জুলুম করে,
তে তুমরারেও অলা করবো।
তারা আমার কথা মানলে তুমরার কথাও মানলো অনে।
২১ আমার কারনেউ তারা তুমরার লগে অলা করবো,
কারন আমারে যেইন বেজিছইন,
এনরে তারা চিনে না।
২২ “আমি যুদি না আইতাম আর তারার গেছে নছিয়ত না করতাম,
তে তারা গুনাগার অইলো না অনে,
অইলে অখন তো তারার কুনু অজুআত নাই।
২৩ যে জনে আমারে ঘিন্নায়,
হে আমার গাইবি বাফরেও ঘিন্নায়।
২৪ হুনো,
যেতা কেরামতি কেউ কুনুদিন দেখাইছে না,
অতা কেরামতি যুদি আমি না দেখাইতাম,
তে তারা গুনাগার অইলো না অনে।
অইলে তারা তো আমারে আর আমার গাইবি বাফরে দেখছে,
দেখিয়াও ঘিন্নাইছে।
২৫ ইতা অইলো,
যাতে তারার কিতাবর অউ কথা ফলে,
কিতাবো আছে,
তারা বিনা কারনে আমারে ঘিন্নাইছে।
২৬ “আমি আমার গাইবি বাফর গেছ থাকি যে সাইয্যগির রুহরে তুমরার গেছে পাঠাইমু,
তাইন আইয়া আমার বেয়াপারে সাক্ষি দিবা।
তাইন অইলা হক রুহ,
তাইন গাইবি বাফর গেছ থাকি আইবা।
২৭ আর তুমরাও আমার বেয়াপারে সাক্ষি দিবায়,
তুমরা তো পয়লা থাকিউ আমার লগে লগে আছো।”