বে-কছুর খালাছ বনিয়া খুশি করা
৫
১ ইমানর মাজদি আমরারে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করা অইছে,
গতিকে মালিক ইছা আল-মসীর উছিলায় আল্লা পাক আর আমরার মাজে সু-সম্পর্ক বওয়াল অইছে।
২ অউ যে রহমতর তলে আমরা আছি,
আল-মসীয়ে আমরারে ই জাগাত আনিয়া পৌছাইছইন।
এরলাগি আল্লার মহিমা পাওয়ার আশায় আমরার মন অখন নিচ্চিত খুশিয়ে ভরি গেছে।
৩ খালি ইখান নায়,
আমরা দুখ-কষ্টর মাজেও খুশি-বাসি কররাম।
কারন দুখ-কষ্টয় ছবর আনে,
৪ ছবরে মেওয়া ফলে,
অউ মেওয়ায় আশা-ভরসা আনে,
৫ আর অউ আশা-ভরসা বেকামা যায় না।
কারন আল্লায় আমরারে যে পাক রুহ দিছইন,
ই পাক রুহে আমরার দিলর মাজে আল্লাই মহব্বত জন্মায়।
৬ আমরা তো কমজুর-লাছার আছলাম,
সঠিক সময়ে আমরার লাখান গুনাগাররে বাচানির লাগি,
আল-মসীয়ে নিজর জান কুরবানি দিলা।
৭ কুনু পরেজগার মানষর লাগি সাধারনত কেউ জান দিলাইতো চায় না,
তা-ও খুব ভালা জনর লাগি আখতা কেউ দিলেও দিলাইতো পারে।
৮ অইলে আমরা গুনাগার হালতেউ আল-মসীয়ে আমরার লাগি নিজর জান কুরবানি দিছইন।
অখান থাকি পরমান মিলে,
আল্লায় আমরারে কতো মায়া করইন।
৯ আর আল-মসীর কুরবানির উছিলায় যেবলা বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য অইছি,
তে অখন আল-মসীর মাজদি আমরা আল্লার সাজা থাকিও রেহাই পাইমু,
ইটা তো ষোলআনা নিচ্চিত।
১০ আমরা আগে আল্লার দুশমন আছলাম,
হউ সময় তান খাছ মায়ার জন ইবনুল্লার মউতর উছিলায়,
তান লগে আমরার মিলন অইছে।
তে তো আল-মসীর জিন্দা অইয়া উঠার মাজদি অখন আরো বেশি নিচ্চিত,
আমরা নাজাত পাইমু।
১১ খালি ইখান নায়,
যার উছিলায় অউ মিলন অইছে,
আমরার মালিক অউ ইছা আল-মসীর মাজদি অখন আল্লার নামে খুশি-বাসিও কররাম।
হজরত আদম (আঃ) আর আল-মসীর তুলনা
১২ একজন মানষর মাজদি দুনিয়াইত গুনা আইয়া হামাইছিল,
আর অউ গুনার মাজদি মউতও আইছিল।
বাদে হকল মানষেউ গুনা করছে,
এরলাগি হকলর লাগিউ মউত আইয়া আজিছে।
১৩ হজরত মুছার শরিয়ত নাজিলর আগেও দুনিয়াইত গুনা আছিল।
অইলে শরিয়ত আছিল না গতিকে গুনারে হিসাবো ধরা অইতো না।
১৪ তা-ও বাবা আদম থাকি মুছা নবীর আমল পর্যন্ত যেরা আদমর লাখান সরাসরি আল্লার হুকুমরে ভাংগিছে না,
তারার উপরেও মউতে বেটাগিরি করছে।
তে কুনু কুনু কারনে বাবা আদমর লগে,
বাদে তশরিফ আনা অউ আল-মসীরও মিল আছিল।
১৫ অইলে বাবা আদমর নাফরমানি আর আল্লার রহমতর দানর মাজে বউত তফাত আছে।
হউ একজনর নাফরমানির দায় বউতর লাগি মউত আইলো আর আরক জন,
মানি ইছা আল-মসীর মেহেরবানির মাজদি যে রহমতি দান আইলো,
আল্লার ই রহমত আরো বউত বেশি বাড়ি গেল।
১৬ আর একজন মানষর গুনায় যেলা ফল দেখা গেল,
আল্লার রহমতর দান তো ইলাখান নায়।
খালি একজন মানষর গুনার লাগি বউত মানষরে দুষি সাইবস্তো করা অইছে।
অইলে বউত বেশি পরিমানে গুনা করার বাদেও আল্লার অউ রহমতে বউত জনরে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করা অইছে।
১৭ একজন মানষর গুনার লাগি যেবলা মউতে আমরার উপরে বেটাগিরি করছে,
তে দুছরা আরক জন,
মানি ইছা আল-মসীর মাজদি আমরা যেরা আল্লার রহমতে বে-কছুর খালাছ হিসাবে গইন্য অইছি,
আমরাও অলা কতো বেশি নিচ্চিত অইয়া আল্লাই জিন্দেগি পাইয়া হকলতার উপরে রাজত্ব করমু।
১৮ আসল কথা অইলো,
একজন মানষর গুনার লাগি যেলা হকল মানষরে দুষি সাইবস্তো করা অইছে,
অউলা একটা নেক কামর মাজদি হকল মানষরে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য অওয়ার সুযোগ দেওয়া অইছে।
অউ সুযোগর ফল অইলো আখেরি জিন্দেগি।
১৯ যেমন ধরো,
একজন মানষর অবাইধ্যতার লাগি বউত মানুষ গুনাগার অইছইন।
অউলা একজন মানষর বাইধ্যতার লাগি বউত মানষরে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করা অইছে।
২০ এরমাজে শরিয়তর হুকুম-আহকামও নাজিল অইগেল,
যাতে ই নাফরমানির হিসাবর পরিমান আরো বাড়ি যায়।
অইলে নাফরমানি যেনো বাড়িলো,
ইনো আল্লার রহমত আরো বউত বাড়িগেল।
২১ ই রহমত বাড়িলো,
যাতে মউতর মাজদি আগে গুনায় যেলা বেটাগিরি করছিল,
অখন বে-কছুর খালাছ অওয়ার মাজদি আল্লার রহমতে অউলা রাজত্ব করে।
আর অতার ফল হিসাবে আমরার মালিক ইছা আল-মসীর উছিলায় আখেরি জিন্দেগি পাই।