শরিয়তর গুলামি থাকি খালাছ
 তে ও ভাই অকল,
হজরত মুছার শরিয়তর বিষয় তো তুমরার জানাউ আছে।
তা-ও তুমরা বুজো না নি,
শরিয়তর দাবি-দাওয়া মানষর উপরে বওয়াল থাকে,
খালি জিন্দা থাকা পর্যন্ত।
 যেলা,
জামাই যতদিন জিতা আছে,
অতদিন তার বউ তার আওতায় বান্দা রয়,
আর জামাইর মউতর বাদে তার বউ ই বান্দন থাকি খালাছ পায়।
 আর জামাই জিতা থাকতে বউ যুদি দুছরা বেটার গেছে হাংগা বয়,
তাইরে তো জিনাকুর হিসাবে গনা অয়।
অইলে জামাইর মউতর বাদে তাই জামাইর বান্দন থাকি আইন মাফিক খালাছ পায়,
এরবাদে তাই অইন্য জনর গেছে বিয়া বইলে জিনাকুর নায়।
 ভাইয়াইনরে,
ঠিক অউ লাখানউ,
আল-মসীর শরিলর মউতর মাজদি শরিয়তর বান্দন থাকি তুমরার মউত অইগেছে করি,
অখন তুমরা অইন্য জনর বান্দনো যাইতায় পারো,
আর অউ অইন্য জন অইলা,
মুর্দা থাকি জিন্দা অওয়া হউ ইছা আল-মসী,
যাতে আমরার জিন্দেগিত আল্লার নামে নেক পথর ফল ধরে।
 আগে যেবলা আমরা শরিলর মর্জিয়ে চলতাম,
অউ সময় শরিয়তে আমরার মাজর গুনার বদ খাইশরে খুচাইয়া হজাগ করতো,
অউ কারনে আমরার শরিলর অংগ অকলে মউতর পথি গুনার ফল ধরতো।
 তে আগে আমরা যে শরিয়তর বান্দনো আছলাম,
ইতা থাকি আমরার মউত অইগেছে,
অখন আমরা ই শরিয়তর বান্দন থাকি খালাছ পাইছি।
এরলাগি আমরা আর হি লিখিত শরিয়তর গুলাম নায়,
খালি আল্লাই পাক রুহে নয়া জিন্দেগির গুলামি করি।
শরিয়তে গুনারে হজাগ করে
 অখন আমরা অলা কইতাম পারি নি,
শরিয়তেউ গুনা করায়?
নাউজুবিল্লা,
মোটেউ না!
আসল কথা অইলো,
শরিয়ত না থাকলে তো আমি বুজতাম পারলাম না অনে,
গুনা কি জিনিস।
শরিয়তে যুদি না কইতো,
লোভ-লালছ করিও না,
তে লালছ করলে কিতা অয়,
ইতা আমরা বুজলাম না অনে।
 আর অউ হুকুমর সুযোগ বুজিয়া আমার ভিতরে গুনা হামাইয়া,
হকল নমুনার লোভ-লালছ জনম দিছে।
শরিয়ত না থাকলে তো গুনাও মরার লাখান চুপচাপ রয়।
 আমার জিন্দেগিত শরিয়তরে ভালামন্তে চিনার আগে আমি তো জিতা আছলাম,
অইলে অউ হুকুম জানার লগে লগেউ গুনা হজাগ অইলো,
আর আমার মউত অইলো।
১০ বুজরায় নি,
যে শরিয়তে আমি জিন্দেগি পাওয়ার কথা,
হউ শরিয়তে আমার লাগি মরন লইয়া আইলো।
১১ শরিয়তর অউ হুকুমর সুযোগ পাইয়া গুনায় আমারে টগিলো,
অউ হুকুমর বলেউ গুনায় আমার জান কাড়িয়া নিলো।
১২ অইলে ইখান তো হাছা,
মুছা নবীর দেওয়া শরিয়ত পবিত্র,
এর হুকুম-আহকামও পবিত্র,
ইতা সঠিক আর ভালা জিনিস।
১৩ তে অউ ভালা জিনিসেউ কিতা আমার মরন আনলো নি?
নাউজুবিল্লা,
মোটেউ নায়!
বরং গুনায়উ ইতা করছে,
হে ভালা জিনিস দিয়া আমারে মারিয়া হারি পরমান দেখাইলো,
গুনা তো গুনা।
আর অউ হুকুম-আহকামেউ বুজা যায়,
গুনা অইলো মস্ত বড় জঘইন্য।
দিলর লগে শরিলর লাড়াই
১৪ আমরা তো জানি,
শরিয়ত অইলোগি রুহানি জগতর,
অইলে আমি অইলাম রক্ত-মাংসর জগতর,
আমি শরিলর মর্জির বান্দনো থাকায় গুনার গুলাম অইছি।
১৫ আমি নিজেউ তো বুজি না,
আমি কিতা কাম করি।
আসলে আমি যেতা করতাম চাই,
ইতা না করিয়া,
যেতারে ঘিন্নাই অতাউ করি।
১৬ আর যেতা করতাম চাই না,
অলা গুনার কাম যেবলা করি,
তে আমি এমনেউ স্বীকার করিয়ার,
শরিয়ত আসলেও ভালা জিনিস।
১৭ ইতা থাকি বুজা যায়,
আমি নিজে ইলা করিয়ার না,
অইলে আমার মাজে যে গুনায় বসত করে,
হে-উ আমারে দিয়া ইতা করায়।
১৮ আর আমি তো বুজিয়ার,
আমার লউর মাজে,
মানি শরিলর খাইশর মাজে ভালা কুনু জিনিসউ নাই।
আমি নেক কাম করার খিয়াল থাকলেও,
আমার সামর্থয় কুলায় না।
১৯ কারন আমি যেতা নেক কাম করতাম চাই,
ইতা করতাম পারি না,
অইলে যে বদ কাম করতাম চাই না,
অতাউ করি।
২০ তে যেতা করতাম চাই না,
অতাউ যেবলা করি,
এর মানি অইলো ইতা আমি করি না,
বরং যে গুনায় আমার মাজে বসত করে,
হে-উ ইতা করায়।
২১ অখন আমার নিজর ভিতরেউ দেখিয়ার,
একটা বদ রিপুয়ে কাম করের,
আমি নেক কাম করাত লাগলে,
বদ কাম এমনেউ আইয়া আজি যায়।
২২ আসলে আমার দিলর খাইছলত মাফিক আমি আল্লাই হুকুম-আহকামে খুশি অই।
২৩ অইলে আমার শরিলর অংগর মাজে দুছরা আরক খাইছলতে কাম করের,
আমার দিলে নেক কামরে পছন্দ করলেও,
অউ বদ খাইছলতে আমার দিলর লগে যুদ্ধ করিয়া,
আমারে তার গুলামিত বান্দিয়া রাখে।
২৪ আমার বড় বদ নছিব!
আমার শরিলর অউ বদ খাইছলত,
যেগিয়ে আমারে মউতর পথে টানে,
তার আত থাকি কে আমারে বাচাইবো?
২৫ আল্লার শুকুর,
আমরার মালিক ইছা আল-মসীয়ে তার আত থাকি আমারে বাচাইছইন!
অখন নিচ্চিত বুজা যায়,
দিলর দিক থাকি আমি আল্লাই শরিয়তর গুলামি করি,
অইলে শরিলর মর্জির দিক থাকি আমি গুনার খাইছলতর গুলামি করি।