শরিয়তে অপারগ অইলেও বনি ইছরাইলর হেশ রক্ষা ইমানে (৯:১-১১:৩৬)
আল্লার পছন্দ আর অপছন্দ
৯
১ আমি আল-মসীরে সাক্ষি রাখিয়া,
এক্কেরে হাছা কথা কইরাম,
আমার বিবেকেও পাক রুহর লগে অইয়া অউ সাক্ষি দের।
২ বনি ইছরাইলর লাগি আমার বড় আফছুছ আর সীমাহীন কষ্ট লাগের।
৩ হায়রে হায়,
আমি লান্নতির কাতারো গিয়া আল-মসীর গেছ থাকি হরাইল অইয়াও যুদি,
আমার জাতির ভাইয়াইন বনি ইছরাইলরে বাচাইতাম পারতাম।
৪ আল্লায় তো বনি ইছরাইলরে তান নিজর আওলাদর এখতিয়ার দিছইন,
তান শান-তজল্লি দেখাইছইন,
তান লগে মিলনর উছিলা অকল কাইম করছইন,
শরিয়ত নাজিল করছইন,
তান এবাদত-বন্দেগির সুযোগ করি দিছইন আর বউত লাখান ওয়াদাও করছইন।
৫ হজরত ইব্রাহিম,
ইছহাক আর ইয়াকুব নবী আছলা বনি ইছরাইলর মুল মুরব্বি।
বাদে ইছা আল-মসীও তো রক্ত-মাংসর বায় থাকি এরার খান্দানোউ জনম লইছইন,
এইন হকলতার উপরআলা,
যুগে যুগে চিরকাল তান তারিফ অউক।
আমিন।
৬ হুনো,
আল্লার ওয়াদা অকল অখন যেন বেকামা অইগেছে,
ইলা কুন্তা নায়।
কারন বনি ইছরাইলর মাজে জনম অইলো করিউ,
এরা হকল তো আসল বনি ইছরাইল নায়।
৭ হজরত ইব্রাহিমর খান্দান করিউ তারা যেন তান আসল আওলাদ,
ইলা কুন্তা নায়।
বরং কিতাবো লেখা আছে,
“তুমার পুয়া ইছহাকর খান্দানরেউ তুমার খান্দান কইয়া গনা অইবো।”
৮ মানি ইছরাইল জাতির মাজে জনম অইছে গতিকেউ মনো করিও না,
তুমরা আল্লার আওলাদ বনিগেছো।
খালি আল্লার ওয়াদা মাফিক যেরা আওলাদ বনছে,
তারারেউ ইব্রাহিমর খান্দান হিসাবে গইন্য করা অইবো।
৯ বুজরায় নি,
আল্লায় তো হজরত ইব্রাহিমর গেছে অউ ওয়াদা করছলা,
“ছামনর বছর অউ চান্দো আমি ফিরিয়া আইমু,
অউ সময় তুমার বিবি ছায়রার কুলো এক পুয়া থাকবো।”
১০ আর অউ পুয়া অইলা,
আমরার পুর্ব-পুরুষ হজরত ইছহাক।
খালি ইখান নায়,
অউ ইছহাকর বিবি রেবেকার পেটর জুড়র পুয়াইন একই বাফর আওলাদ অইলেও,
১১-১২ এরা মাʼর পেটো থাকা হালতে যেবলা ভালা-বুরা কিচ্ছু করছইন না,
হউ সময় আল্লায় রেবেকারে কইছলা,
“তুমার বড় পুয়া তো হুরু পুয়ার গুলাম অইবো।”
অন থাকি বুজা যায়,
আল্লায় তান মুনশা পুরা করার খিয়ালে মানষরে পছন্দ করইন,
কেউরর আমলর বায় না চাইয়া,
তান নিজর পছন্দ মাফিক বাছিয়া নেইন।
১৩ এরলাগিউ পাক কিতাবো লেখা আছে,
“আমি তো ইয়াকুবরে মহব্বত করছি,
অইলে তার ভাই ঈষʼরে হরাইয়া রাখছি।”
১৪ তে অখন আমরা কইতাম নি,
আল্লায়ও অবিচার করইন?
নাউজুবিল্লা,
মোটেউ না!
১৫ আল্লায় হজরত মুছারে কইছলা,
“আমি যারে খুশি দয়া করমু,
আর যারে খুশি রহম করমু।”
১৬ অন থাকি বুজা যায়,
রহমত তো কেউরর চেষ্টায় বা ইচ্ছায় মিলে না,
খালি আল্লার মেহেরবানি থাকিউ মিলে।
১৭ আছমানি কিতাবর আয়াতো আছে,
আল্লায় ফেরাউনরে কইছলা,
“আমি তুমারে বাদশা বানাইছি,
যাতে তুমার মাজদি হকলে আমার লিলা-খেলা দেখিয়া,
হারা দুনিয়াইত আমার নাম জাইর অয়।”
১৮ তে দেখা যায়,
আল্লায় তান নিজর খুশি মাফিক কেউররে দয়া করইন,
আর কেউরর দিলরে পাষান বানাইন।
আল্লার গজব আর রহমত
১৯ অখন তুমরা আমারে জিকাইতায় পারো,
“আল্লার মর্জির বাইরা যেবলা কেউ কুন্তা করতো পারে না,
তে আল্লায় কেনে মানষর দুষ-তিরুটি গনইন?”
২০ ই ছওয়ালর সুজা জুয়াপ অইলো,
আল্লার উপরে মাতার তুমি কে?
কেউ যুদি কুনু জিনিস বানায়,
তে তার বানাইল জিনিসে জিকাইতো পারবো নি,
আমারে কেনে ইলা বানাইলায়?
২১ এক মাটি থাকি কুমারে নানান জাতর জিনিস বানাইতো পারে না নি?
ইতার কুনুটা ইজ্জতি কামো আর কুনুটা সাধারন কামো লাগে।
২২ ঠিক অলাখান,
আল্লায় তান লান্নত আর কুদরতি খেমতা দেখাইতা চাইছলা,
আর যেরার উপরে ই লান্নত ঢালিতা চাইছলা,
এরার পাওনা আছিল খালি বিনাশি গজব,
তা-ও তাইন বউত বড় ছবর করিয়া তারার ইতা সইয্য করলা।
২৩ তাইন ইতা সইয্য করলা,
কারন আরকবার নিজর কুদরতি শান-তজল্লির কথা জানাইতা চাইলা।
আর যেরারে দয়া করছইন,
এরারে তাইন আগে থাকিউ জুইত করিয়া রাখছিলা,
তান শান-তজল্লি দেখানির খিয়ালে।
২৪ আসলে আমরাউ অইলাম হউ দয়ার জন।
আমরারে তাইন খালি বনি ইছরাইলর মাজ থাকিউ দাওত দিয়া আনছইন না,
অইন্য জাতির মাজ থাকিও তো আনছইন।
২৫ হজরত হোছিয়া নবীর ছহিফাত আল্লায় কইছইন,
যেতা মানুষ আমার প্রজা নায়,
তারারেও আমার নিজর প্রজা বানাইমু।
আর যেরা আমার মায়ার মানুষ আছিল না,
তারারেও মায়ার মানুষ কইয়া ডাকমু।
২৬ যে জমিনো কওয়া অইছিল,
তুমরা আমার প্রজা নায়,
হউ জমিনোউ তারারে
জিন্দা আল্লার আওলাদ কওয়া অইবো।
২৭ অইলে বনি ইছরাইলর বেয়াপারে হজরত ইশায়া নবীয়ে কইছলা,
গনার বালা যুদিও তারা দরিয়ার চরর বালুর লাখান বেহিসাব,
তেবউ তারার মাজর খুব হুরু এক অংশয় খালাছ পাইবা।
২৮ মাবুদ মউলায় জগতর পাওনা যে সাজা জুইত করছইন,
অউ ষোলআনা সাজা খুব জলদিউ দিবা।
২৯ হজরত ইশায়া নবীয়ে আরো বাতাইছইন,
“আল্লা রাব্বুল আলামিনে যুদি আমরার লাগি কিছু মানষরে জিন্দা না রাখতা,
তে আমরার দশা তো লান্নতি ছাদুম আর আমুরা টাউনর লাখান অইলো অনে।”
বনি ইছরাইল বে-পথি অওয়ার কারন
৩০ তে আমরা অউ কথাউ কইমু,
ভিন জাতি অকলে যুদিও আল্লার পরেজগার বন্দা অওয়ার চেষ্টা করছে না,
তেবউ ইমান আনার মাজদি তারা আল্লার দরবারো পরেজগার বনিগেছে।
৩১ আর বনি ইছরাইলে খালি শরিয়ত মানিয়া পরেজগার বনতো চাইছিল,
অইলে শরিয়ত মানতো পারছে না।
৩২ আইচ্ছা,
তারা কেনে পারছে না?
তারা ইমানর উপরে ভরসা না করিয়া,
খালি কাম-কাজর আমলর উপরে ভরসা করছে,
এরলাগি পারছে না।
মানষে যে পাথরো উষ্টা খাইন,
তারাও অউ পাথরো উষ্টা খাইছইন।
৩৩ ই বেয়াপারে আছমানি কিতাবো লেখা আছে,
হুনো,
আমি জেরুজালেমো অলা এক পাথর বওয়াইছি,
যে পাথরো মানষে উষ্টা খাইয়া পড়বো।
অইলে যে জনে তান উপরে ইমান আনবো,
হে কুনুমন্তেউ শরমিন্দা অইতো নায়।