শরিয়ত না রহমত?
৩
১ ও বেআখল গালাতি অকল,
তুমরারে খেগিয়ে যাদু করছে?
তুমরার গেছে তো খুলা-মেলা আর ছাফ-ছফা তবলিগ করা অইছে,
ইছা আল-মসীরে গাছো লটকাইয়া কাতল করা অইছিল।
২ তে অখন আমি খালি অউ কথাখান জানতাম চাইরাম,
তুমরা যে পাক রুহ পাইছো,
ইটা কিতা মুছার শরিয়ত আমল করিয়া পাইছো নি?
না খুশ-খবরি হুনিয়া ইমান আনায় পাইছো?
৩ তুমরা কুনু অলা বেআখল নি?
পাক রুহর বলে নয়া জিন্দেগি শুরু করিয়া,
অখন নিজর বলে কামিয়াব অইতায় চাইরায়?
৪ তে খামোখা অতো দুখ-কষ্ট করলায় নি?
আমি আশা করি তুমরার ই কষ্ট মোটেউ বেহুদা গেছে না।
৫ আইচ্ছা,
আল্লায় তো তুমরারে পাক রুহ দান করছইন,
আর তুমরার মাজে বউত কেরামতি কামও করছইন।
তে কওছাইন,
তান শরিয়ত মানায় তাইন ইতা করলা নি?
না খুশ-খবরি হুনিয়া তুমরা ইমান আনায় ইতা করছইন?
৬ ইব্রাহিম নবীর বেয়াপার খান দেখো,
আল্লার কালামো আছে,
“ইব্রাহিমে আল্লার ওয়াদায় ইমান আনায়,
আল্লায় তানরে দীনদার কইয়া কবুল করলা।”
৭ এরদায় তুমরাও সমজিলাও,
যেরা ইমান আনে,
তারাউ ইব্রাহিমর আসল আওলাদ।
৮ আছমানি কিতাবো আগেউ বাতাইল অইছে,
আল্লার উপরে ইমান আনলেউ তো তাইন অইন্যান্য জাতিরে দীনদার কইয়া কবুল করইন।
ইব্রাহিমর গেছে অউ আয়াতর খুশ-খবরি আগেউ জানাইল অইছিল,
“তুমার উছিলায় দুনিয়ার তামাম জাতিয়ে বরকত পাইবা।”
৯ তে বুজা যায়,
আল্লার ওয়াদায় ইমান আনায় ইব্রাহিমে যেলা বরকত পাইছইন,
তান বাদে যেরা ইমান আনবা তারাও অলা বরকত পাইবা।
১০ আছমানি কিতাবে কয়,
“যে মানষে শরিয়তর কিতাবো লেখা তামাম হুকুম-আহকাম আমল না করে,
হে লান্নতি।”
অন থাকি বুজা যায়,
যেরা শরিয়ত মানার উপরে ভরসা করে,
তারা হকলর উপরেউ ই লান্নত আছে।
১১ আল্লার কালামে বাতায়,
“দীনদার কইয়া যারে কবুল করা অয়,
হে তার ইমানর জরিয়ায় জিন্দেগি পাইবো।”
এরদায় বুজা যায়,
শরিয়তর হুকুম-আহকাম মানলেও আল্লায় কেউররে দীনদার কইয়া কবুল করইন না।
১২ অইলে শরিয়তে কয়,
“শরিয়তর হুকুম-আহকাম মাফিক যে মানুষ চলে,
হে শরিয়তর মাজদিউ জিন্দেগি কাটাইবো।”
তে তো বুজা যায়,
শরিয়তে ইমানর উপরে ভরসা করে না।
১৩ শরিয়তর বরখেলাফ করায় আমরার উপরে যে লান্নত আছিল,
অউ লান্নত আল-মসীয়ে তান নিজর কান্দো নিয়া আমরারে আজাদ করছইন।
আল্লার কালামো তো আছে,
“গাছো লটকাইয়া যারে কাতল করা অয়,
হে লান্নতি।”
১৪ আল্লায় ইব্রাহিম নবীরে যে বরকত দান করছইন,
ইছা আল-মসীর জরিয়ায় অউ বরকত যাতে অইন্য জাতি অকলেও পাইন,
আর আমরাও যাতে ইমানর মাজদি ওয়াদা করা হউ পাক রুহ পাই,
অতার দায়উ আল-মসীয়ে ই লান্নত নিজর কান্দো নিছইন।
শরিয়ত আর ওয়াদা
১৫ ও ভাই অকল,
আমি দুনিয়াবি কথাদি বুজাই দিরাম।
দুই পক্ষ মানষর মাজে যেবলা কুনু চুক্তি পাকা-পুক্ত অইযায়,
অউ চুক্তি এক পক্ষয় আর বাতিল করতো পারে না,
বা এর মাজে নয়া কুন্তা লাগাইতোও পারে না।
১৬ তে ইব্রাহিম নবী আর তান আওলাদর লগে আল্লায় যে ওয়াদা করছলা,
আল্লার কালামো তো কওয়া অইছে না,
“আওলাদ অকলর লগে” মানি বউত আওলাদর লগে।
বরং কওয়া অইছে খালি “তুমার আওলাদর লগে” মানি এক আওলাদর লগে,
আর অউ আওলাদউ অইলা আল-মসী।
১৭ আমি কইতাম চাইরাম,
আল্লায় ইব্রাহিমর আমলো ওয়াদার মাজদি যে নিয়ম বওয়াল করছলা,
এর চাইরশো তিশ বরছ বাদে শরিয়ত দেওয়া অইছিল।
অউ শরিয়ত আওয়ায় আগর হউ ওয়াদার নিয়ম তো বাতিল করতো পারে না।
তে তো তান ওয়াদা জারি রইলো।
১৮ আর আল্লার বরকত পাওয়া যুদি শরিয়ত আমলর উপরে নির্ভর করতো,
তে ওয়াদার উপরে নির্ভর রইলো না অনে।
অইলে আল্লায় ওয়াদার মাজদিউ ইব্রাহিমরে বরকত দান করছলা।
১৯ তে কইবা,
শরিয়ত কেনে দেওয়া অইছিল?
মানষে গুনার কাম না ছাড়ায়,
আল্লার তরফ থাকি ওয়াদার লগে শরিয়তও সামিল করছলা।
আর ইব্রাহিমর যে আওলাদর বেয়াপারে আল্লায় ওয়াদা করছলা,
অউ জনে তশরিফ না আনা পর্যন্ত ই শরিয়ত বওয়াল আছিল।
আল্লার ফিরিস্তার জরিয়ায় মুছা নবীর গেছে ই শরিয়ত নাজিল অইছিল।
অউ মুছাউ আছলা আল্লা আর মানষর মাজে শাফায়াতকারি,
মানি মাজর মানুষ।
২০ অইলে খালি একপক্ষ থাকলে তো মাজর মানষর জরুর আছিল না;
আর আল্লা তো একজনউ।
তাইন ইব্রাহিমর লগে ওয়াদার কালো কুনু মাজর জন লাগছে না।
২১ তে শরিয়ত কুনু আল্লার ওয়াদা অকলর উল্টা নি?
নিচয় না।
আল্লায় যুদি অউ লাখান শরিয়ত দান করতা,
যেতায় আখেরি জিন্দেগি মিলে,
তে শরিয়ত মানিয়াউ মানুষ আল্লার দরবারো কবুল অইগেলোনে।
২২ অইলে আছমানি কিতাবে বাতায়,
তামাম মানুষউ গুনার কবজায় বন্দি,
তারা যানু ইছা আল-মসীর উপরে ইমান আনিয়া,
ইমানর জরিয়ায় ওয়াদা করা হউ বরকত পাইন।
২৩ ইমান আওয়ার আগে শরিয়তে আমরারে পারা দিছিল।
ইমান জাইর না অওয়া পর্যন্ত অউ শরিয়তেউ আমরারে বান্দিয়া রাখছিল।
২৪ এরদায় বুজা যায়,
আল-মসীর গেছে পৌছানির আগে অউ শরিয়তেউ অতদিন আমরারে চালাইছে,
যাতে ইমানর জরিয়ায় আমরারে দীনদার কইয়া কবুল করা অয়।
২৫ অইলে অখন ইমান কাইম অওয়ায়,
আমরা আর চালকদার শরিয়তর তলুয়া নায়।
আল্লার নুরর আওলাদ
২৬ ইছা আল-মসীর উপরে ইমান আনায় তুমরা হক্কল অখন আল্লার আওলাদ বনিগেছো।
২৭ তুমরা যারা আল-মসীর তরিকা কবুল করছো,
তুমরা তো ফিন্নর নয়া কাপড়র লাখান আল-মসীর ভিতরে হামাইগেছো।
২৮ ইহুদি আর অ-ইহুদি,
গুলাম আর আজাদ,
বেটিন আর বেটাইন্তর মাজে অখন কুনু তফাত নাই।
ইছা আল-মসীর লগে মিশি যাওয়ায় তুমরা হকলউ তো এক অইগেছো।
২৯ তুমরা যেবলা আল-মসীর জন অইগেছো,
তে তো ইব্রাহিমর আওলাদও অইছো,
আর আল্লায় ইব্রাহিমরে যেতা দিবা করি ওয়াদা করছলা,
তুমরাও অতার ভাগি বনিগেছো।