মরা জিন্দেগি থাকি জিতা অওয়া
 তুমরা তো গুনা আর নাফরমানির মাজে মরা আছলায়।
 জগতর ভাবর মাজে পড়িয়া তুমরাও এক সময় হউ নাফরমানি আর গুনার পথে চলা-ফিরা করতায়।
যে বদ রুহ আছমানর হকল থাকি শক্তিআলা রাজা,
হউ বদ রুহে নাফরমান অকলর ভিতরে কাম করে,
আর তুমরাও হউ বদ রুহর মুরিদ আছলায়।
 আমরা হকলেউ এক সময় গুনার স্বভাবর গুলাম বনিয়া,
অতা নাফরমান মানষর লাখান জিন্দেগি কাটাইতাম।
অউ বদ স্বভাব থাকি যে বদ খাইশ আমরার দিলো আইতো,
আমরা অলা কাম করতাম।
আর অউ কাম-কাজর লাগি হতা মানষর লাখান আমরাও আল্লার গজবর লাখ আছলাম।
 অইলে আল্লা পাক তো রহমতর ভান্ডার;
তাইন আমরারে খুব বেশি মায়া-মহব্বত করইন।
 এরলাগিউ নাফরমানি করিয়া আমরা যেবলা মরা জিন্দেগির মাজে হাবু-ডুবু খাইছলাম,
হউ সময় আল-মসীর লগে তাইন আমরারে জিন্দা করলা।
আল্লার রহমতে তুমরা রেহাই পাইছো।
 আমরা আল-মসীর লগে আছি,
এরলাগি আল্লায় আমরারে আল-মসীর লগে জিন্দা করিয়া,
তান লগে করি বেহেস্তর ভিতরে বওয়াইছইন।
 তাইন ইতা করছইন,
যাতে তান মহা-মুল্যবান রহমত অকল যুগে যুগে চিরকাল দেখাইতা পারইন।
আল-মসীর উছিলায় তাইন আমরারে যে দয়া করছইন,
অউ দয়ার মাজদি তান ই রহমতর কথা জাইর অইছে।
 আল্লার রহমতে ইমান আনায় তুমরা নাজাত পাইছো।
ইতা তুমরার নিজর কুনু আমলর ফল নায়,
খালি আল্লার দেওয়া দান।
 ইতা তো কুনু নেক কামর বদলা নায়,
যাতে কেউ কুনু লাখান বড়াই করতো না পারে।
১০ আমরা তো আল্লা পাকর আতর পয়দা।
তাইন আল-মসীর উম্মত হিসাবে আমরারে হিরবার নয়া করি পয়দা করছইন,
যাতে আমরা নেক কাম করি।
অউ নেক কাম তাইন আগে থাকিউ ঠিক করিয়া রাখছিলা যাতে আমরা অলা জিন্দেগি কাটাই।
হজরত ইছার হকল উম্মত এক
১১ জন্মগত ভাবে তুমরা অইলায় বিধর্মী জাতির মানুষ।
মানষর আত দিয়া যারারে শরিলো মছলমানি করাইল অইছে,
এরা কইরা,
তুমরা বুলে মছলমানি করাইছো না।
১২ তে মনো রাখিও,
আগে তো তুমরা আল-মসীর গেছ থাকি হরাইল আছলায়;
তুমরা আছলায় আল্লার পছন্দ করা বনি ইছরাইলর বাইরর মানুষ।
আল্লায় বনি ইছরাইলর লগে মিলনর যতো লাখান উছিলার ওয়াদা করছইন,
ইতার লগে তুমরার তো কুনু সম্পর্ক আছিল না।
তুমরার কুনু আশাও আছিল না;
তুমরা আছলায় ই দুনিয়াত আল্লা ছাড়া জাতি।
১৩ এক কথায়,
তুমরা আল্লা থাকি দুরই আছলায়।
অইলে অখন ইছা আল-মসীর উম্মত অওয়ায়,
তান কুরবানির লউর উছিলায় তুমরারে আল্লার ধারো আনা অইছে।
১৪ তাইনউ আমরার শান্তি।
ইছরাইল জাতি আর ভিন জাতি,
হক্কলরে তাইন এক করছইন।
ই দুইও জাতির মাজে দুশমনির যে ওয়াল আছিল,
ই ওয়ালরে তাইন ভাংগিয়া চুরমার করছইন।
১৫ আর সলিবর উপরে নিজর কায়ারে কুরবানি দিয়া,
তাইন মুছা নবীর শরিয়তর হকল হুকুম-আহকাম আর আইন-কানুনর খেমতারে বাতিল করছইন।
তান ইলা করার কারন অইলো,
তাইন চাইলা,
অউ দুইওতা দিয়া তান নিজর নয়া এক জাতি পয়দা করতা,
যাতে অউ জাতির মাজদি ই দুইও দলর মাজে শান্তি অয়।
১৬ আর তাইন চাইলা,
সলিবর উপরে তান নিজর জান কুরবানির উছিলায়,
অউ দুইও দলরে তাইন একখানো করিয়া আল্লার লগে মিলন ঘটাইতা।
এরলাগি অউ দুইও দলর মাজে দুশমনির যে ভাব আছিল,
ই দুশমনিরে তাইন এক্কেবারে মিটাই দিছইন।
১৭ তুমরা এক সময় আল্লা থাকি দুরই আছলায়,
আর বনি ইছরাইল অকল কাছাত আছলা,
অখন তাইন আইয়া অউ দুইও দলর গেছেউ শান্তির খুশ-খবরি তবলিগ করছইন।
১৮ এরফলে তান উছিলায় আমরা দুইও দল পাক রুহর মাজদি,
আমরার বেহেস্তি বাফ আল্লা পাকর দরবারো আজির অইতাম পারি।
১৯ এরলাগিউ তুমরা অখন বাইরর মানুষ নায়,
ভিন জাতিও নায়।
বরং আল্লার খাছ বন্দা অকলর লগে তুমরাও আল্লার বাদশাই আর তান পরিবারর সদইস্য বনিগেছো।
২০ সাহাবি আর নবী অকল অইলা তান ঘরর খুটি,
আর হজরত ইছা আল-মসী অইলা মুল ইয়ান খুটি।
অউ খুটির উপরেউ তুমরারে গড়া অইছে।
২১ আল-মসীর লগে জুড়া লাগায়,
আস্তা ঘরর হকল অংশ একলগে মিলিয়া একখান পবিত্র ঘর তিয়ার অইছে।
২২ তুমরাও আইয়া তান লগে জুড়া লাগছো,
মানি তান উম্মত অইছো,
এরলাগি তুমরারেও একলগে গড়িয়া তুলা অর,
যাতে পাক রুহর মাজদি ই ঘরর মাজে আল্লার বসত খানা অয়।