আল্লার নুরে নয়া জিন্দেগি কাটাও
 তুমরা তো আল্লার মায়ার আওলাদ,
তে পুত যেলা বাফর লাখান অয়,
তুমরাও অলা অও।
 আল-মসীয়ে যেলা আমরারে মহব্বত করছইন,
তুমরাও অলা মায়া-মহব্বতর পথে চলো।
তাইন আমরারে বাচাইতা করি নিজর জানরে খুশবয়দার কুরবানি হিসাবে আল্লার নামে বিলাই দিছইন।
 কুনু নমুনার জিনা,
নাপাকি আর লোভ-লালছর কথা তুমরার মাজে যানু না হুনা যায়,
কারন ইতা কাম আল্লার পাক বন্দার লাগি ঠিক নায়।
 আর বেহায়া-বেইজ্জতির যেকুনু মাত-কথা,
আচার-বেবহার বা খবিছি ঠাট্টা-মশকরা যানু তুমরার মাজে না অয়,
ইতায় তুমরারে মানায় না।
ইতার বদলা আল্লার শুকুর-গুজার করো।
 তুমরা তো জানোউ,
জিনাকুর,
নাপাক আর লালছি মানষে,
আল্লা পাক আর আল-মসীর বাদশাইর মাজে কুনু জাগা পাইতো নায়।
ইতায় তো এক লাখান মুর্তিপুজা কররা।
 হুশিয়ার রইও,
মিছা মাত মাতিয়া কেউ যানু তুমরারে বে-পথে না নেয়,
আল্লার নাফরমান বনিয়া যেরা ইতা বদ কাম করে,
তারার উপরে আল্লার গজব লামে।
 তুমরা ইলাখান মানষর লগে মিশিও না,
 কারন তুমরা আগে আন্দারির মাজে থাকলেও অখন তো আল-মসীর উম্মত বনিয়া নুরর পথো আইছো।
এরলাগি আল্লার নুরে কামিল জনে যেলা জিন্দেগি কাটানি উচিত,
তুমরা অউলা চলো।
 আর নুরে চলার ফল অইলো,
পরেজগারি,
সততা,
হকল নমুনার নেক কাম।
১০ এরলাগি যে কামে মালিক খুশি অইন,
তুমরা যাচাই করিয়া অউ কাম করো।
১১ আন্দাইর জগতর বেফায়দা কামর লগে কুনু নমুনার সম্পর্ক রাখিও না,
বরং তুমরা অতার দুষ দেখাই দেও।
১২ মানষে লুকাইয়া যেতা কাম করইন,
ইতা বেয়াপারে কুন্তা মাতাও শরম।
১৩ নুরর মাজদি দুষ দেখাইয়া দিলাইলে ইতা জাইরা অইযায়,
১৪ কারন অউ নুরেউ হকলতা জাইর করে।
এরলাগি ছিল্লেখ আছে,
 
ও ঘুমর মানুষ,
হজাগ অও,
মরা থাকি জিতা অও,
তেউ আল-মসীর নুরে,
নুরানি করিবা তুমারে।
 
১৫ তুমরা চিন্তা-ভাবনা করি দেখো,
তুমরার চাল-চলন কিলাখান।
বেআখলর লাখান না চলিয়া,
আখলদারর লাখান চলো।
১৬ নেক কাম করার যে সুযোগ তুমরার আতো আছে,
ইতা ষোলআনা কামো লাগাও,
জানো তো অখনকুর জমানা খারাপ।
১৭ এরলাগিউ কইরাম,
তুমরা বেআখল বনিও না,
বরং মালিকর মর্জিরে বুজো।
১৮ মদর নিশায় টাল অইও না,
ইতায় জিন্দেগি নষ্ট করিলায়।
বরং পুরাপুর পাক রুহর বশে রও,
১৯ তুমরা হামদ,
কাওয়ালি আর পবিত্র জবুর শরিফর গজল গাইয়া একে-অইন্যে বাতচিত করো;
তুমরার দিলর ভিতরে মালিকর নামে গজল গাও।
২০ হামেশা হকল বেয়াপারে আমরার মালিক ইছা আল-মসীর নামে বেহেস্তি বাফ আল্লার শুকরিয়া আদায় করো।
জামাই-বউর বেয়াপারে তালিম
২১ আল-মসীর ইজ্জত আর ডরে তুমরা একে-অইন্যরে দিল থাকি মাইন্য করো।
২২ তুমরা যেরা বউ অইছো,
তুমরা যেলা মালিক ইছারে মাইন্য করো,
অউ লাখান যারযির জামাইরে মাইন্য করো।
২৩ কারন আল-মসী যেলা জমাতর,
মানি তান শরিলর মাথা,
জামাইও অলা বউর মাথা।
আসলে আল-মসীউ অউ আস্তা শরিলর তরানেআলা।
২৪ আর জমাত যেলা আল-মসীর জিম্মায় আছে,
অউলা বউ অকলও হকল বেয়াপারে জামাইর জিম্মায় রওয়া উচিত।
২৫ তুমরা যেরা জামাই অইছো,
হুনো,
আল-মসীয়ে যেলা জমাতরে মহব্বত করছইন,
ঠিক অলাখান তুমরাও যারযির বউরে মহব্বত করিও।
তাইন তো জমাতর লাগি তান নিজর জান কুরবানি দিছইন।
২৬ তান খিয়াল অইলো,
তাইন জমাতরে পবিত্র করার লাগি,
তান কালামর মাজদি মানষরে তরিকার গোছল করাইয়া,
২৭ নুরর মহিমায় নিজর ছামনে আজির করা।
অউ সময় জমাতর মাজে কুনু কলংকর দাগ,
খুত বা ইলা কুন্তাউ রইতো নায়,
ইতা পাক-পবিত্র আর নিখুত অইবো।
২৮ এরলাগি জামাইয়ে তার নিজর শরিলরে যেলা মায়া করে,
ঠিক তার বউরেও অউলা মায়া করা ফরজ।
নিজর বউরে মায়া করার মানি অইলো,
নিজর শরিলরে মায়া করা।
২৯ কেউ তো কুনু সময় তার নিজর শরিলরে ঘিন্নায় না,
হকলেউ যারযির শরিলর ভরন-পোষন করে।
এক্কেরে অউ লাখান,
আল-মসীয়েও তান জমাতর ভরন-পোষন যুগাইন।
৩০ কারন আমরা তান শরিলর অংগ।
৩১ আল্লার কালামো লেখা আছে,
“এরলাগিউ বেটাইন্তে মা-বাফরে ছাড়িয়া বউর লগে থাকবা,
তারা দুইওজন এক শরিল অইবা।”
৩২ ইখান অইলো বউত বড় বাতুনি বেয়াপার,
আসলে আমি তো আল-মসী আর তান জমাতর বেয়াপারে কইরাম।
৩৩ যাই অউক,
তুমরা হকলেউ যারযির বউরে নিজর লাখান মায়া করিও,
আর বউ অকলেও যারযির জামাইরে ইজ্জত করা জরুর।