আল-মসীর উম্মতর নয়া জিন্দেগি
 হুনো,
তুমরা তো আল-মসীর লগে মরা থাকি জিন্দা অইছো,
আর আল-মসী তো বেহেস্তো আল্লার ডাইনর তখতো বওয়াত আছইন,
এরলাগি তুমরাও অউলা বেহেস্তি বেয়াপার লইয়া আশিক অও।
 দুনিয়াবি বেয়াপারে আশিক না বনিয়া,
বেহেস্তি বেয়াপারে আশিক অও।
 তুমরা তো মারা গেছো,
তুমরার জিন্দেগি আল-মসীর লগে আল্লার দরবারো লুকাইল আছে।
 যেইন তুমরার জিন্দেগি,
হউ আল-মসী যেবলা হকলর ছামনে জাইর অইবা,
অউ সময় তুমরাও তান মহিমার ভাগি অইয়া তান লগে জাইর অইবায়।
 এরলাগি গুনার যেতা রিপু অকল তুমরার জিন্দেগিত আছে,
ইতারে একদম বিনাশ করিলাও।
ইতা অইলো হক্কল নমুনার জিনা,
নাপাকি,
বদ খাইশ,
কু-চিন্তা,
আর লোভ-লালছ,
ই লোভ-লালছ অইলো এক লাখান মুর্তিপুজা।
 যারা আল্লার নাফরমানি করে,
অতার কারনেউ তারার উপরে আল্লার গজব লামিয়া আয়।
 তুমরাও আগে অউ লাখান নাফরমানির মাজে জিন্দেগি কাটাইতায়।
 অইলে অখন রাগ-গুছা,
ভিতরি দুশমনি,
ইংসা-নিন্দা,
গালা-গালি আর খবিছি মাত-কথা তুমরার গেছ থাকি হরাইলাও।
 একে-অইন্যে মিছা মাতিও না,
কারন তুমরার জিন্দেগির পুরান “আমি”রে তার হকল আমল সুদ্দা পুরান কাপড়র লাখান ফালাই দিছো,
১০ আর আল্লার দেওয়া নয়া “আমি”রে নয়া কাপড়র লাখান ফিন্দিছো।
অউ নয়া “আমি” আরো নয়া অইয়া তার পয়দা কররা মালিকর লাখান বনের,
যাতে অউ পয়দা কররারে তুমরা পুরাপুর চিনো।
১১ অউ হালতে ইহুদি কিবা ভিন জাতি,
মছলমানি কাম করাইল বা না করাইল,
অশিক্ষিত বর্বর,
নিচা জাতি,
গুলাম বা আজাদ মানষর মাজে কুনু তফাত নাই।
ইতা হকলতার মাজে আল-মসীউ পরধান,
হকলর মাজেউ তাইন আছইন।
১২ তে আল্লায় যারারে পছন্দ করিয়া তান নিজর লাগি আলগ করছইন,
তান হউ মায়ার বন্দা হিসাবে তুমরার দিলর মায়া-মমতা,
দয়া,
নরম বেবহার,
নরম স্বভাব আর ছবর দিয়া নিজরে হাজাও।
১৩ একে-অইন্যরে সইয্য করো,
কেউরর বিরুদ্ধে তুমরার কুনু নালিশ থাকলে তারে মাফ করি দেও।
মালিকে যেলা তুমরারে মাফ করছইন,
তুমরাও অউলা একে-অইন্যে মাফ করা জরুর।
১৪ আর ইতা হক্কলতার লগে মায়া-মহব্বতদি নিজরে হাজাও।
মহব্বতে তো হকলরে পুরাপুর একলগে বান্দিয়া রাখে।
১৫ আল-মসীয়ে যে শান্তি দান করইন,
অউ শান্তি তুমরার দিলো রইয়া তুমরারে চালাউক।
এক শরিল অইয়া শান্তির মাজে রইতায় করিউ তো তুমরারে দাওত দেওয়া অইছে।
তুমরা শুকুর-গুজার করাত রও।
১৬ আল-মসীর কালামরে তুমরার দিলর মাজে পুরাপুর বসত করতে দেও।
আল্লার দেওয়া আখল খাটাইয়া একে-অইন্যরে তালিম আর পরামিশ দেও।
আল্লার শুকরিয়া আদায় করার মাজদি তান নামে হামদ,
কাওয়ালি আর জবুর শরিফর গজল গাও।
১৭ তুমরা মুখদি যেতা মাতো আর শরিল দিয়া যততা করো,
ইতা হজরত ইছার নামে করো,
তান উছিলা লইয়া গাইবি বাফ আল্লা পাকর শুকরিয়া জানাও।
পরিবারর লাগি পরামিশ
১৮ তুমরা যেরা বউ অইছো,
তুমরা পরতেকে যারযির জামাইর হুকুম মানিয়া চলো,
মালিকর বন্দা হিসাবে তো অলা চলা জরুর।
১৯ তুমরা যেরা জামাই অইছো,
তুমরাও যারযির বউরে মহব্বত করিও,
বউর লগে কটু বেবহার করিও না।
২০ তুমরা যেরা পুয়া-পুড়ি,
তুমরা হকল বেয়াপারে মা-বাফর বাইধ্য রইও,
ইলা চললে মালিক খুশি অইন।
২১ আর তুমরা যেরা বাফ অইছো,
তুমরা নিজর পুয়া-পুড়িন্তর মনরে তিত্বা করিও না,
যাতে তারার মন না ভাংগে।
২২ তুমরা যেরা গুলাম,
তুমরা হকল বেয়াপারে তুমরার জগতর মুনিব অকলর বাইধ্য রইও।
তারা ছামনে রইয়া যেবলা তুমরার কাম-কাজ দেখইন,
খালি অউ সময় তারারে খুশি রাখার চেষ্টা না করিয়া,
বরং মালিকর ডর-খফ ভিতরে রাখিয়া খাটি দিলে তারার বাইধ্য রইও।
২৩ তুমরা যেতাউ করো না কেনে,
ইতা মানষর লাগি নায়,
বরং মালিকরে খুশি করার নিয়তে দিলে-জানে করিও।
২৪ মনো রাখিও,
মালিকে তান বন্দা অকলর লাগি যেতা রাখছইন,
ইতা তো পুরুস্কার হিসাবে তান গেছ থাকিউ তুমরা পাইবায়।
তুমরা তো খালি হজরত ইছা আল-মসীর খেজমত কররায়।
২৫ আর যে জনে নাফরমানি করে,
হে তো তার কামর ফল পাইবো।
মনো রাখিও,
মালিকে কেউরর মুখ চাইয়া বিচার করইন না।