ও ভাই অকল,
হেশ-মেশ কইরাম,
আমরার লাগি দোয়া করিও,
হজরত ইছার খুশ-খবরি তুমরার মাজে যেলা জলদি জলদি ছিতরিছিল,
অউলা যানু দিন দিন ছিতরাত রয় আর গৌরব পাওয়াত রয়।
 আর অউ দোয়া খানও করিও,
আমরা যানু বিবেক ছাড়া নাফরমান অকলর আত থাকি রেহাই পাই।
সব মানুষ তো আর ইমানদার নায়।
 অইলে মালিক ইছা তো হক আর খাটি,
তাইনউ তুমরারে ইমানে থির রাখবা আর শয়তানর আত থাকি হামেশা হেফাজত করবা।
 মালিকর উপরে ইমান আনছো করি তুমরার উপরে আমরার ই একিন আছে,
আমরা যেলা হুকুম দিছি,
তুমরা ঠিক অউ লাখান কাম কররায় আর করাত রইবায়ও।
 মালিক ইছায় যানু তুমরার দিলরে আল্লার মহব্বতর পথে আর আল-মসীর ছবরর পথে চালু রাখইন।
অলস-কুড়িয়ারে হুশিয়ার করো
 ভাই অকল,
আমরার হজরত ইছা আল-মসীর নামে অউ হুকুম দিরাম,
তুমরার জমাতর কুনু ইমানদার ভাইয়ে যুদি কুড়িয়ামি করে আর আমরা যেতা তালিম দিছি,
ইতা না মানে,
তে তার লগে চলা-ফিরা বাদ দিলাও।
 হুনো,
আমরার লাখান কেমনে চলতায়,
ইতা তো তুমরা জানোউ।
আমরা যেবলা তুমরার লগে রইতাম,
অউ সময় তো কুনুজাত কুড়িয়ামি করছি না,
 মাগনা কুনু খানি খাইছি না।
আমরা দিনে-রাইতে মেনত করিয়া রুজি-রুজগার করছি,
যাতে তুমরা কেউরর বোঝা না অই।
 অইলে আমরা যেন তুমরার গেছ থাকি সাইয্য নিবার অধিকার নাই,
ইলা তো নায়,
তা-ও আমরা অলা করিয়া দেখাইছি,
যাতে তুমরাও আমরার লাখান চলো।
১০ তুমরার গেছে থাকার কালো তালিম দিছলাম,
কুনু জনে যুদি কাম করতো না চায়,
তে হে খানিও বাদ দিলাউক।
১১ আমরা অখনও হুনরাম,
তুমরার মাজে কেউ কেউ কুড়িয়ামি করের আর কুনুজাত কাম-কাজ করের না,
বরং হামেশা পরর কিচ্ছা গাইয়া দিন কাটায়।
১২ তে আমরার মালিক ইছা আল-মসীর অইয়া ইতা মানষরে নছিয়ত আর হুকুম দিয়ার,
তারা যানু শান্তি অইয়া রুজি-রুজগার করিয়া খায়,
আর নিজর খানি নিজে যুগায়।
১৩ ভাইয়াইনরে,
নেক কামো হেরান অইও না।
১৪ অউ চিঠির ভাষায় লেখা আমরার পরামিশ যুদি কেউ না মানে,
তে তারে চিনিয়া রাখো,
তার লগে চলা-ফিরা বাদ দিলাও,
তেউ হে শরমিন্দা অইবো।
১৫ অইলে খিয়াল রাখিও,
তারে দুশমন মনো করিও না,
বরং ভাই হিসাবে হুশিয়ার করো।
বিদায়ি ছালাম
১৬ শান্তি দেওরা মালিকে তুমরারে হামেশা হকল নমুনার শান্তি দান করউক্কা।
মালিক ইছা তুমরা হকলর লগে লগে রউক্কা।
১৭ হুনো,
ই ছালামর কথা আমি পাউলুছে নিজর আতে লেখছি।
অকটাউ আমার পরতেক চিঠির আলামত,
আমি অউ নমুনায় চিঠি লেখি।
১৮ তুমরা হকলর উপরে আমরার মালিক ইছা আল-মসীর রহমত জারি রউক।
আমিন॥