খাটি উম্মতর জিহাদ
 ও আমার আওলাদ তিমথি,
ইছা আল-মসীর উছিলায় পাওয়া রহমতে তুমি বলবান অও।
 আর বউত সাক্ষির ছামনে আমার মুখর যেতা তালিম হুনছো,
অউ তালিমরে অলাখান হক-হালাল মানষর আতো দেও,
যেরা অইন্য মানষরেও তালিম দেওয়ার উপযুক্ত।
 তুমি ইছা আল-মসীর খাটি সিপাই অইয়া দুখ-কষ্টত শরিক অও।
 কামান্ডাররে খুশি রাখার লাগি যুদ্ধর কালো কুনু সিপাই সংসারর মায়া-জালো হামায় না।
 অউ লাখান খেলাত লাগিয়া কেউ যুদি নিয়ম মতো না খেলায়,
তে জয়র মালা হে পায় না।
 আর যে গিরস্তে মেনত করে,
ফসলর পয়লা বাট তো হে-উ পায়,
ইটাউ নিয়ম।
 তে আমি যেতা বুজাইতাম চাইরাম,
ইতা চিন্তা করি দেখো,
মালিক ইছায় তুমারে ইতা হকলতা বুজার আখল দিবা।
 ইছা আল-মসীর বেয়াপারে তুমি অখান মনো রাখিও,
তানরে মুর্দা থাকি জিন্দা করা অইছিল,
তাইন অইলা বাদশা দাউদ নবীর বংশধর,
আমার কওয়া খুশ-খবরির মাজেও ইখান আছে।
 আর অউ খুশ-খবরি তবলিগ করায়উ আমি দুখ-কষ্ট পাইয়ার।
দাগি আসামির লাখান আমারে বন্দি রাখা অইছে,
অইলে আল্লার কালাম তো বন্দি অইছে না।
১০ আল্লায় যেরারে পছন্দ করিয়া আলগ করছইন,
তারার লাগি আমি হক্কলতা সইয্য করিয়ার,
যাতে আল-মসীর উছিলায় তারা নাজাত পাইন,
লগে চিরকালিন গৌরব-মহিমাও পাইন।
১১ অউ কথা তো একিন করার যোইগ্য,
 
আল-মসীর লগে যেবলা আমরার মরন অইছে,
তে আমরা জিন্দাও অইমু তান লগে।
১২ আমরা ছবর করিয়া সইয্য করলে,
তান লগে বাদশাই করমু।
আর তানরে অস্বীকার করলে তো,
তাইনও আমরারে অস্বীকার করবা।
১৩ আমরা বেইমান অইগেলেও,
তাইন হামেশা হক-হালালি রইন।
তাইন কুনুমন্তেউ নিজরে অস্বীকার করতা পারইন না।
 
আজে-বাজে তর্ক থাকি হুশিয়ার
১৪ ও তিমথি,
তুমি মুমিন অকলরে আমার অউ তালিম খান মনো করাই দেও।
আল্লার ছামনে তারারে হুশিয়ার করো,
যাতে আজে-বাজে মাত লইয়া তর্কা-তর্কি না করইন,
ইতা মাতর তো কুনু দাম নাই,
ইতা যেরা হুনে,
তারার সর্বনাশ অয়।
১৫ তুমি আল্লার খুশি মাফিক নিজরে পরেজগার হালতে তান ছামনে আজির করো,
অউ লাখান কামলা বনো,
যে কামলায় আল্লার দরবারো শরম পাওয়ার কুনু কারন নাই।
যে কামলায় সঠিক ভাবে হক কালাম তালিম দেইন,
অউ লাখান অও।
১৬ আল্লার বিরুধি আজে-বাজে মাত থাকি দুরই রও।
ইলা মাতে আল্লার বায় মানষর ডর-খফ কমা ধরবো।
১৭ ইলা আজে-বাজে তালিম তো পচা-ঘার লাখান চাইরোবায় ছিতরে।
ই দলো আছে,
হুমিনাছ আর ফিলিতাছ।
১৮ ইগুইন তো আল্লাই হক থাকি কু-পথে গেছইনগি।
ইতায় কইন,
মুমিন অকল বুলে মুর্দা থাকি জিন্দা অইয়া হারছইন।
অলা আজে-বাজে মাতিয়া তারা কুনু কুনু জনর ইমান নষ্ট করিলিছে।
১৯ তেবউ আল্লার বানাইল মজবুত ভীত উবা রইছে,
এর উপরে সীল-চাপ্পড়র লাখান অউ কথা লেখা আছে,
“মালিকে জানইন,
কে কে তান,”
আর “যে জনে আল-মসীরে মালিক কইয়া স্বীকার করে,
হে হকল জাতর গুনা থাকি হরাইল রউক।”
২০ ও তিমথি,
জমিদার বাড়িত তো খালি সোনা-রুপার জিনিস থাকে না,
লাকড়ির জিনিস আর মাটির থাল-বাসনও থাকে।
এরমাজে কুনুটা সম্মানি কামো আর কুনুটা নীচা কামো বেবহার অয়।
২১ তে যেতা মানুষ অউ নীচা কামর আসবাবর লাখান,
ইতার গেছ থাকি হরিয়া আইয়া কেউ যুদি নিজরে পাক-ছাফ করিলায়,
তে হে সম্মানি জিনিস বনিযায়।
তারে পবিত্র হিসাবে আলাদা করি রাখা অইবো।
হে তার মালিকর কামো লাগবো আর হকল নমুনার নেক কামর লাগি জুইত অইবো।
২২ তিমথি হুশিয়ার অও,
যৌবনর বদ খাইশ থাকি তুমার জান বাচাও,
আর যেরা খাছ দিলে মালিকর নাম লয়,
তারার লগে শরিক অইয়া পরেজগারি,
ইমান,
মহব্বত আর শান্তির লাগি খিয়ালি অও।
২৩ আজে-বাজে বেআখলি তর্কা-তর্কিত সামিল অইও না,
তুমার জানা আছে,
ইতায় খালি কাইজ্জা-ফসাদ বাড়ায়।
২৪ মালিক ইছার গুলামে কাইজ্জা-ফসাদ করা ঠিক নায়,
এইন বরং হকলর বায় দয়াল অইতে অইবো,
এইন মানষরে তালিম দেওয়ার খেমতা আর ছবর-শক্তি থাকতে অইবো।
২৫ তাইন নিজর বিরুধি মানষরেও নরম মনে বুজ দিবা।
অউ আশায় তালিম দিবা,
হয়তোবা আল্লায় তারারে তৌবা করার সুযোগ দিবা,
যাতে তারা আল্লাই হকরে ভালামন্তে চিনইন।
২৬ তেউ তারা চেতন পাইয়া ইবলিছর ফান্দো থাকি জান বাচাইবা,
অউ ইবলিছে তার গুলাম বানানির লাগি এরারে ধরছিল।