হকলরে এক নজরে দেখা
২
১ ও আমার ভাই অকল,
তুমরা যেবলা আমরার কুদরতি মালিক হজরত ইছা আল-মসীর উপরে ইমান আনছো,
তে হকলরে এক নজরে দেখিও।
২ ধরো,
একজন মানুষ তুমরার মজলিছ খানাত সুন্দর কাপড়-চুপড় ফিন্দিয়া আতো সোনার আংটি লাগাইয়া আইলো,
আর ময়লা কাপড় ফিন্দিয়া একজন গরিব মানুষও আইলো।
৩ তুমরা যুদি সুন্দর কাপড় আলা মানষর মুখেদি চাইয়া কও,
“আপনে অউ ভালা জাগাখানো বউক্কা,”
আর গরিব বেটারে কও,
“ওবা,
তুই হনো উবা,
আরনায় আমার পাওর কান্দাত বও,”
৪ তে তুমরা নিজর মাজে হার-পর কররায় না নি,
আর শয়তানি নিয়তে বিচার কররায় না নি?
৫ ও আমার মায়ার ভাই অকল,
হুনো।
ই দুনিয়ার গরিব মানষরে আল্লায় পছন্দ করছইন না নি ইমানে ধনি বানানির লাগি?
আল্লার আশিক মানষরে আল্লায় যে বাদশাই দেওয়ার ওয়াদা করছলা,
ই বাদশাইর মালিক অওয়ার লাগি তাইন গরিব অকলরে পছন্দ করছইন না নি?
৬ অইলে তুমরা তো ই গরিব অকলরে এলামি করছো।
ধনি অকলে কিতা তুমরারে জুলুম করে না নি?
তারাউ তো তুমরারে টানিয়া-ছেছরাইয়া বিচারো লইয়া যায়।
৭ যে মহান নামর খাতিরে তুমরারে ডাকা অয়,
তারা কিতা ই নামরে লইয়া কুফুরি করের না নি?
৮ পাক কিতাবো লেখা আছে,
“তুমার আরি-ফরিরে নিজর লাখান মায়া করিও,”
তুমরা যুদি হাছাউ আল্লার বাদশাইর অউ হুকুম আমল করো,
তে তো ভালাউ কররায়।
৯ অইলে তুমরা যুদি হকলরে এক নজরে না দেখো,
তে তো গুনা কররায়,
আর শরিয়তর বরখেলাফ করিয়া দুষি অইরায়।
১০ কেউ যুদি শরিয়তর হক্কল হুকুম আমল করিয়াও খালি এক হুকুম ভাংগে,
তে ধরা অইবো হে আস্তা শরিয়তউ অমাইন্য করছে।
১১ কারন যেইন কইছইন,
“জিনা করিও না,”
তাইনউ হিরবার কইছইন,
“খুন করিও না।”
তে তুমি যুদি জিনা না করিয়া খুন করো,
তেবউ তো শরিয়তর বরখেলাফ করছো।
১২ যে আইনে মানষরে আজাদ করে,
অউ আইন দিয়াউ তুমরার বিচার অইবো।
গতিকে বুজি-হুনি মাত মাতো আর কাম করো।
১৩ মনো রাখিও,
যে মানষে দয়া করছে না,
বিচারর সময় তারেও দয়া করা অইতো নায়।
হাশরর ময়দানো দয়াগির অকলেউ দয়া পাইব।
ইমান আর আমল
১৪ ও আমার ভাই অকল,
কেউ যুদি কয় আমার ইমান আছে,
অইলে আমল না করে,
তে ফায়দা কিতা অইবো?
ই ইমানে তারে বাচাইতো পারবো নি?
১৫ মনো করো,
তুমরার কুনু ভাই বা বইনর ঘরো খানি নাই,
ফিন্দার কাপড়ও নাই।
১৬ ই হালতে যুদি তারে কও,
“তুমার ভালাই অউক,
খাইয়া-ফিন্দিয়া সুখে রও,”
অইলে তার নিদান হরানির লাগি কুনু উপায় না করো,
তে তার কুনু ফায়দা অইলো নি?
১৭ অলাখান যে ইমানর লগে আমল নাই,
ই ইমান তো মুর্দা।
১৮ মনো করো কেউ কইলো,
“তুমার ইমান আছে আর আমার আমল আছে।”
ঠিক আছে,
তুমার আমল ছাড়া ইমান আমারে দেখাও,
আর আমি তুমারে আমার আমলর মাজ দিয়া ইমান দেখাইমু।
১৯ তুমি একিন করছো আল্লা এক,
খুব ভালা কথা।
ভুতেও তো অলা একিন করে,
আর আল্লার ডরে কাপে।
২০ ও বেআখল,
তুমারে আমি কিলা বুজাইতাম,
আমল ছাড়া ইমান তো কুনু কামর নায়?
২১ আমরার বাফ ইব্রাহিমে যেবলা তান পুয়া ইছহাকরে কুরবানি দেওয়ার লাগি কুরবানির জাগাত নিছলা,
ই সময় কিতা তান ই কামর লাগি তানরে পরেজগার হিসাবে কবুল করা অইছে না নি?
২২ তুমি তো দেখছো,
তান ইমান আর আমল একলগে কাম করছিল,
আর আমলর লাগিউ ইমান কামিয়াব অইলো।
২৩ অলাখান পাক কিতাবর আয়াত পুরা অইলো,
“ইব্রাহিমে আল্লার ওয়াদায় ইমান আনায়,
আল্লায় তানরে দীনদার কইয়া কবুল করলা।”
তান উপাধি দিলা আল্লার দুস্ত।
২৪ তুমরা তো দেখলায়,
আমলর লাগি মানষরে পরেজগার হিসাবে কবুল করা অয়,
খালি ইমানর লাগি নায়।
২৫ অউ লাখান হউ ছিনাল বেটি রাহবারেও তাইর আমলর লাগি পরেজগার হিসাবে কবুল করা অইছিল না নি?
তাই তো হউ দুইও গুইয়ারে লুকাইয়া রাখিয়া,
দুছরা পথেদি ছহি-ছালামতে বার করি দিছিল।
২৬ অউ হালতে আমরা বুজতাম পারি,
রুহ ছাড়া কায়া মুর্দা,
আমল ছাড়া ইমানও মুর্দা।