গাইবি কিতাব আর মেড়ার বাইচ্চা
 অউ তখতর মাজে যেইন বওয়াত আছলা,
তান ডাইনর আতো আমি একখান কিতাব দেখলাম।
কিতাবর বারে-ভিতরে কুন্তা লেখা আছে,
ইখান সাতটা সীল দিয়া সীল-চাপ্পড় মারা।
 বাদে আমি দেখলাম,
খুব শক্তিআলা একজন ফিরিস্তায় জুরে জুরে কইরা,
“ইলা যোইগ্য কেউ আছইন নি,
যেইন অউ সীল-চাপ্পড় ভাংগিয়া কিতাব খান খুলতা পারবা?”
 অইলে আছমান-জমিন বা পাতালর মাজে ইলা কেউ মিললো না,
যেইন ইখান খুলা বা এর ভিতর দেখার যোইগ্য।
 তেউ আমি হান্নানর খুব কান্দন আইলো,
কারন ই কিতাব খান খুলার বা এর ভিতর দেখার যোইগ্য একজনও পাওয়া গেল না।
 বাদে হউ মুরব্বি নেতা অকলর মাজর একজনে আমারে কইলা,
“ওবা,
কান্দিও না।
হুনো,
যেইন এহুদা খান্দানর সিংহ,
দাউদ নবীর বংশধর,
তাইন জিতিছইন।
তাইন অউ সাতো সীল-চাপ্পড় ভাংগিয়া কিতাব খান খুলতা পারবা।”
 আমি আরো দেখলাম,
মুরব্বি নেতা অকলর,
চাইরো জানদারর,
আর অউ তখতর মাজখানো এক মেড়ার বাইচ্চা উবাই রইছে।
দেখতে মনো অইলো,
ই বাইচ্চারে জবো করা অইছে।
ই মেড়া-বাইচ্চার সাতটা হিং আর সাতটা চউখ।
আল্লার যে সাত নমুনার রুহরে দুনিয়ার মাজে পাঠাইল অয়,
অউ সাতো চউখ অইলো হউ সাতো রুহ।
 বাদে অউ মেড়ার বাইচ্চা আইয়া,
তখতো যেইন বওয়াত আছলা,
এন ডাইন আত থাকি অউ কিতাব খান নিলা।
 কিতাব নেওয়ার বাদে হউ চাইরো জানদারে আর চব্বিশ জন মুরব্বি নেতায় অউ মেড়ার বাইচ্চারে সইজদা করলা।
এরা পরতেকর আতো এগু করি সারিন্দা,
আর আগর-খুশবয়ে ভরা এগু সোনার বাটি আছিল।
ই আগর-খুশবয় অইলো আল্লার পাক বন্দা অকলর দোয়া-মুনাজাত।
 আর তারা নয়া অউ গজল গাইলা,
 
“খালি তুমিউ সঠিক জন অউ কিতাব খান নিবার,
নিয়া এর সীল-চাপ্পড় খুলবার।
তুমারে তো কাতল করা অইছিল।
তুমি তুমার লউ দিয়া হক্কল খান্দান থাকি,
আল্লার লাগি মানুষ খরিদ করছো।
হক্কল জাতর বুলিয়ে মাতরা মানুষ,
হকল দেশ আর জাতি থাকিও খালাছ করছো।
১০ এরারে লইয়া তুমি এক বাদশাই কাইম করছো,
আমরার আল্লার এবাদতির লাগি ইমাম বানাইছো,
এরাউ আস্তা জগতো বাদশাই করবা।”
 
১১ বাদে আমি চাইলাম,
আর হউ তখত,
চাইরো জানদার আর মুরব্বি নেতা অকলর চাইরোবায় বউত ফিরিস্তা অকলর আওয়াজ হুনলাম।
ইনো হাজারে-হাজার,
কোটি কোটি ফিরিস্তা আছলা।
১২ এরা জুরে জুরে অউ গজল কইলা,
 
“যে মেড়া-বাইচ্চারে জবো করা অইছিল,
এইনউ খেমতা,
ধন-দৌলত,
আখল,
বল-শক্তি,
ইজ্জত,
গৌরব আর তারিফ পাওয়ার যোইগ্য।”
 
১৩ এরবাদে আমি হুনলাম,
আছমানো,
জমিনো,
পাতালো আর দরিয়ার মাজে যতো জানদার আছে,
বা ইতার ভিতরে আরো যততা আছে,
এরা হক্কলে অখান কইরা,
 
“তখতর মাজে যেইন বওয়াত আছইন,
তাইন আর অউ মেড়া-বাইচ্চার,
তারিফ,
ইজ্জত,
গৌরব আর খেমতা হর-হামেশা জারি রউক।”
 
১৪ তেউ হউ চাইরো জানদারে কইলা,
“আমিন।”
আর হউ মুরব্বি নেতা অকল নতো অইয়া সইজদা করলা।