বাদে পাচ নম্বর ফিরিস্তায় শিংগা ফুকিলা,
তেউ আমি দেখলাম,
আছমানর একটা তেরা বেহেস্ত থাকি দুনিয়াত পড়লো।
অউ তেরারে হাবিয়া দোজখর চাবি দেওয়া অইলো।
 তেউ হে হাবিয়া দোজখর দুয়ার খুললো,
বউত বড় ডমকা থাকি যেলা ধুমা বারয়,
ই দোজখ থাকি অলা ধুমা বার অইলো।
অউ দোজখি ধুমায় আছমান আর সুরুজ আন্দাইর অইগেল।
 হউ ধুমা থাকি বউত পংগপাল বার অইয়া দুনিয়াত আইলা।
ইতারে দুনিয়ার কাকড়া-বিছার লাখান খেমতা দেওয়া অইলো।
 তারারে হুকুম দেয়া অইলো,
তারা যানু দুনিয়ার কুনু ঘাস-পাতা,
গাছ-পালা বা হাগ-তরকারির খেতি না করে।
খালি যেতা মানষর কপালো আল্লার সীল-চাপ্পড় মারা নাই,
অতার খেতি করইন।
 ইতা মানষরে জানে মারার কুনু খেমতা তারারে দেওয়া অইলো না,
অইলে পাচ মাস পর্যন্ত জালা-যন্ত্রনা দিবার খেমতা দেওয়া অইলো।
কাকড়া-বিছায় কুনু মানষরে কামড় দিলে যেলা বিষ-বেদনা অয়,
অউ পংগপালে কামড়াইলেও অলা অইবো।
 হউ সময় মানষে মউত মাংগিবা,
তা-ও মউত অইতো নায়।
তারা মরতা চাইবা অইলে মরন তারার গেছ থাকি বাগিবো।
 ই পংগপাল অকল দেখতে যুদ্ধর লাগি জুইত করা ঘোড়ার লাখান।
তারার মাথাত সোনার তাজর লাখান চিজ আছিল,
আর মুখর গঠন অইলো মানষর লাখান।
 তারার চুল অইলো বেটিন্তর চুলর লাখান আর দাত অইলো সিংহর দাতর লাখান।
 তারার বুকুর মাজে আছিল লুয়ার পাতর লাখান খসখসা ছাল।
যুদ্ধর ঘোড়ার গাড়ি টানিয়া ঘোড়ার পাল একলগে গেলে যেলা আওয়াজ অয়,
তারার ডাখনার আওয়াজও আছিল অউ লাখান।
১০ তারার লেইনজ আর লেইনজর মুখর বিষ-দাত আছিল কাকড়া-বিছার লাখান।
পাচ মাস ধরি মানষরে কষ্ট দিবার খেমতা ই লেইনজো আছে।
১১ হাবিয়া দোজখর ফিরিস্তা আছলা অউ পংগপালর রাজা।
ইবরানি ভাষায় ই ফিরিস্তার নাম অইলো আবাদ্দন,
আর ইউনানি বা গ্রীক ভাষায় এর নাম অইলো আপল্লিয়ন,
মানি গজবি ফিরিস্তা।
১২ পয়লা গজব হরলো,
অইলে হুনো,
আরো দুইটা গজব আইয়া আজের।
১৩ বাদে ছয় নম্বর ফিরিস্তায় তান শিংগা ফুকিলা।
তেউ আল্লার ছামনর আগর জালানির সোনার টেবুলর চাইরটা হিংগর গেছ থাকি আমি একজনরে অখান কইতে হুনলাম,
১৪ এইন হউ শিংগা আলা ছয় নম্বর ফিরিস্তারে কইলা,
“মহা গাং ফোরাতর মাজে যে চাইর জন ফিরিস্তা আটক আছইন,
তারারে খুলিয়া দেও।”
১৫ এরলাগি হউ চাইরো ফিরিস্তারে ছাড়ি দেওয়া অইলো।
দুনিয়ার তিন বাটর এক বাট মানষরে মারার লাগি অউ ফিরিস্তা অকলরে সঠিক সময়,
সঠিক দিন,
মাস আর বছরর লাগি জুইত করি রাখা অইছিল।
১৬ বাদে আমি হুনলাম,
ঘোড়াত চড়িয়া যাওয়া অউ সিপাইর পরিমান আছিল বিশ কোটি।
১৭ অউ দরশনো আমি যতো ঘোড়াইন আর ঘোড়-ছওয়ার অকল দেখলাম,
ই ছওয়াররে দেখতে অলা লাগলো,
এরার বুকুর উপরর ফৌজি লেবাছ আগুনির লাখান লাল,
আকাশর লাখান লীল আর গন্ধকর লাখান অলদিয়া।
ঘোড়াইন্তর কল্লা আছিল সিংহর কল্লার লাখান,
ইতার মুখো থাকি আগুইন,
ধুমা আর গন্ধক বারর।
১৮ এরার মুখর অউ আগুইন,
ধুমা আর গন্ধকর গজবদি তিন বাটর এক বাট মানুষ মারা অইলো।
১৯ ই ঘোড়াইন্তর লেইনজ আর মুখর মাজেউ আছিল তারার বল,
ই লেইনজ আছিল দু-মুখি হাফর লাখান।
অউ লেইনজদি তারা মানষর খেতি করে।
২০ অইলে অউ গজবর বাদেও যেতা মানুষ জিতা রইলা,
তারা নিজর আতর বানাইল মুর্তিপুজা থাকি তৌবা করলো না।
তারা নানান নমুনার ভুতর পুজা,
আর যেতায় দেখইন না,
হুনইন না বা আটা-চলা করতা পারইন না অতা মুর্তির পুজা করাত রইলা।
সোনা,
রুপা,
পিতল,
পাথর আর লাকড়িদি বানাইল মুর্তিপুজাত রইলা।
২১ এরলগে খুন-খারাপি,
যাদু-টুনা,
জিনা আর চুরি থাকিও তৌবা করলো না।