শয়তান দানবর লগে আল্লার খাছ বন্দার যুদ্ধ (১২:১-১৪:৫)
হউ বেটি আর দৈত্য-দানব
১২
১ বাদে আছমানর মাজে এক কুদরতি কারবার দেখা গেল,
একজন বেটি মানুষ আছইন,
তান ফিন্নো আছিল সুরুজ আর পাওর তলে চান্দ,
এন মাথাত আছে বারোটা তেরা দিয়া গাথা একটা তাজ।
২ বেটির ঘরো হুরুতা অইতা,
এরলাগি হুরুতা অওয়ার বেদনায় বেটিয়ে খালি চিল্লাইরা।
৩ এরবাদে আছমানো আরক কারবার দেখা গেল,
আগুনির লাখান লাল এক বিরাট দানব।
তার সাতটা মাথা আর দশটা হিং,
সাতো মাথাত সাতটা তাজ লাগাইল।
৪ তার লেইনজুড়দি বাড়িয়াইয়া আছমানর তিন বাটর এক বাট তেরারে দুনিয়াত ফালাই দিলো।
আর যে বেটির ঘরো হুরুতা অইতা,
অউ দানব আইয়া বেটির ছামনে অউ নমুনায় উবাত আছিল যেন,
বেটির ঘরো হুরুতা অইতেউ হে খাইলিতো।
৫ বেটির ঘরো এক পুয়া পয়দা অইলো,
অউ পুয়ায় হক্কল জাতিরে লুয়ার লাঠি দিয়া শাসন করবা।
অউ হুরুতারে আল্লা আর তান তখতর গেছে ছু মারি তুলিয়া নেওয়া অইলো।
৬ আর অউ বেটি মানুষ মরুভুমির বায় বাগিয়া গেলাগি।
আল্লায় হি মরুভুমির মাজে বেটির লাগি একখান জাগা জুইত করছিলা,
এইন হনো এক আজার দুইশো ষাইট দিন লালন-পালন পাইবা।
৭ বাদে বেহেস্তো যুদ্ধ লাগিগেল।
ফিরিস্তা মিকাইল আর তান অধীনর ফিরিস্তা অকলে হউ দানবর লগে লাড়াই করলা,
আর হউ দানবেও তার চেলা-চামছারে লইয়া এরার লগে লাড়াই করলো।
৮ লাড়াইত হি দানব আরিগেল,
আর তারারে বেহেস্ত থাকি বার করি দেওয়া অইলো।
৯ হউ দানবরে আর তার চেলা-চামছা অকলরে দুনিয়াত ফালাই দেওয়া অইলো।
অউ দানব অইলো হউ পুরানা হাফ,
যেগুর নাম ইবলিছ-শয়তান,
হে দুনিয়ার হকল মানষরে বে-পথি বানায়।
১০ বাদে আমি হুনলাম,
বেহেস্ত থাকি একজনে জুরে জুরে কইরা,
“অখন তো আমরার আল্লার নাজাত,
তান বল-শক্তি,
তান বাদশাই আর তান মসীর খেমতা আজির অইগেছে।
কারন যেগিয়ে আমরার ভাইয়াইন্তরে দুষি বানাইতো,
তারে তো বেহেস্ত থাকি ফালাই দেওয়া অইছে।
হে দিন-রাইত হামেশা আমরার আল্লার গেছে তারার নামে নালিশ দিতো।
১১ মেড়ার বাইচ্চার লউ আর যারযির তবলিগি জবানবন্দির বলে তারা ইবলিছরে আরাইছইন।
তারা নিজর কায়ারে বেশি মায়া না করিয়া,
জান দিতেও জুইত আছলা।
১২ “এরলাগিউ ও বেহেস্ত,
তুমি খুশি করো।
তুমরা যেরা বেহেস্ত বাসি,
তুমরাও ফুর্তি করো।
অইলে আফছুছ দুনিয়া আর দরিয়ার লাগি,
ইবলিছ তো তারার গেছে লামিগেছে।
হে গুছায় ফুস-ফাস করের,
হে তো জানেউ,
তার সময় আর বেশি নাই।”
১৩ হউ দানবে যেবলা দেখলো তারে দুনিয়াত ফালাই দেওয়া অইছে,
দেখিয়া হউ যে বেটির ঘরো পুয়া পয়দা অইছিল,
হে অউ বেটির খরে লাগলো।
১৪ এরলাগি অউ বেটিরে খুব বড় এক চিল পাখির দুখান ডাখনা দেওয়া অইলো,
বেটিয়ে অউ ডাখনাদি উড়াল দিয়া মরুভুমিত নিজর জাগাত যাইতা পারবা।
হনো হউ দানব-হাফর চউখর আওড়ে সাড়ে তিন বছর তানরে লালন-পালন করা অইবো।
১৫ তেউ হি হাফে তার মুখ থাকি পানি বার করিয়া এক গাং বানাইলিলো,
গাংগর ফুতে বেটিরে ভাসাই নিতোগি করি।
১৬ অইলে দুনিয়ায় বেটিরে সাইয্য করলো,
ই হাফে যে পানি বার করলো,
দুনিয়ার মাটিয়ে আ করিয়া ই পানিরে খাইলিলো।
১৭ এরলাগি ই দানব-হাফে বেটির বায় আরো বেশি গুছা করলো,
হে বেটির অইন্য আওলাদ অকলরে,
মানি যেরা আল্লার হুকুমে চলে আর হজরত ইছার পক্ষে জবানবন্দি দেয়,
তারার লগে যুদ্ধ করাত গেল।
১৮ গিয়া হে দরিয়ার চরর বালুর উপরে উবাই রইলো।