আখেরি সাত গজব
১৫
 বাদে আমি বেহেস্তর মাজে আরকটা লিলা-খেলা দেখলাম,
ইটা বড় মহান তাইজ্জুবি।
আমি দেখলাম,
সাতজন ফিরিস্তা আছইন,
এরার আতো আখেরি সাতটা গজব।
ইতারে আখেরি গজব কওয়ার কারন অইলো,
অগুইন দিয়া আল্লা পাকর গুছার শেষ ফয়ছালা অইবো।
 বাদে আমি দেখলাম,
আগুইন আলা এক কাচর দরিয়া,
আর যতো মানষে হউ জানুয়ার,
তার মুর্তি বা তার নামর নম্বরর উপরে জিতছইন,
তারারেও দেখলাম।
দেখলাম,
তারা আল্লার দেওয়া সারিন্দা আতো লইয়া কাচর দরিয়ার পারো উবাই রইছইন।
 তারা আল্লার বন্দা মুছা নবীর আর হউ মেড়ার বাইচ্চার অউ কাওয়ালি গাইরা,
 
“ও সর্ব-শক্তিমান মাবুদ আল্লা,
তুমার লিলা-খেলা কত মহান আর আচানক!
ও তামাম জাতির বাদশা,
কত হক আর সঠিক তুমার পথ!
 ও মাবুদ,
তুমারে ডরাইতো নায় কুন জনে?
কুন জনে তুমার নামর তারিফ করতো নায়?
খালি তুমিউ তো পাক-পবিত্র,
তামাম জাতিউ আইবো তুমার দরবারো,
হক্কলেউ তুমার এবাদত করবো,
তুমার হক বিচার তো জাইর অইগেছে।”
 
 এরবাদে আমি দেখলাম,
বেহেস্তর হউ শাহাদত তাম্বুর ভিতরর পবিত্র কাবা ঘর খান খুলা অইলো।
 অউ সময় হউ সাতজন ফিরিস্তায় সাতটা গজব লইয়া কাবা ঘর থাকি বার অইয়া আইলা।
তারার ফিন্নর লেবাছ আছিল চকচকা পরিস্কার আর বুকুত আছিল সোনালী পট্টি।
 হউ চাইর জন জানদারর একজনে অউ সাতো ফিরিস্তারে সাতটা সোনার বাটি দিলা।
ই সাতো বাটি ভরা আছিল খালি আল্লা পাকর গুছা,
যেইন যুগে যুগে হর-হামেশা জিন্দা আছইন।
 আল্লার কুদরতি মহিমা থাকি যে ধুমা বারনিত আছিল,
অউ ধুমায় আস্তা ঘর ভরি গেল।
আর অউ সাতজন ফিরিস্তার সাতটা গজব না ফুড়ানি পর্যন্ত কেউ গিয়া কাবা ঘরো হামাইতো পারলো না।