এক আজার বছরর বয়ান
২০
 এরবাদে আমি দেখলাম,
বেহেস্ত থাকি একজন ফিরিস্তা লামিয়া আইরা।
তান আতো আছিল হাবিয়া দোজখর চাবি,
আর খুব বড় একছা লংগর।
 তাইন হউ দানবরে ধরলা,
ইগু অইলো হউ পুরানা হাফ,
এর নাম অইলো ইবলিছ বা শয়তান।
তারে ধরিয়া এক আজার বছরর লাগি বান্দিলা,
 বান্দিয়া হাবিয়া দোজখো ফালাইলা।
বাদে অউ দোজখর দুয়ারো তালা লাগাইয়া এর উপরে সীল-চাপ্পড় মারলা,
যাতে হে অউ এক আজার বরছর মাজে বার অইয়া,
দুনিয়ার কুনু জাতিরে বে-পথি বানাইতো না পারে।
হেশে তারে থুড়া কয়দিনর লাগি ছাড়া অইবো।
 বাদে আমি দেখলাম,
বউত তখত আছে।
যেরা অউ তখতর উপরে বইছইন,
এরারে বিচার করার খেমতা দেওয়া অইছে।
আল্লার কালাম আর হজরত ইছার বেয়াপারে জবানবন্দি দেয়ায় যেরারে গর্দান মারা অইছিল,
এরার রুহ অকলরেও আমি দেখলাম।
এরা হউ জানুয়াররে বা তার মুর্তিরে পুজা করছে না,
আর আতো বা কপালর উপরে তার সীলও লাগাইছে না।
এরা জিন্দা অইয়া উঠলা,
উঠিয়া এক আজার বছর ধরি আল-মসীর লগে বাদশাই করলা।
৫-৬ ইটা অইলো পয়লা বার মুর্দা থাকি জিন্দা অইয়া উঠা,
আর অউ যেরা জিন্দা অইলা তারাউ ধইন্য আর পবিত্র।
পয়লা বার যেরা জিন্দা অইয়া উঠলা,
এরার উপরে তো মউতর দুছরা বার কুনু বল খাটানি চলতো নায়।
তারা অইবা আল্লা পাক আর আল-মসীর ইমাম।
তারা হউ এক আজার বছর ধরি আল-মসীর লগে বাদশাই করবা।
অইলে অউ আজার বছর ফুড়ানির আগ পর্যন্ত বাদ-বাকি কুনু মুর্দা জিন্দা অইলা না।
ইবলিছ-শয়তানর শেষ দশা
 অউ এক আজার বছর গিয়া হারলে শয়তানরে তার জেল খানা থাকি খালাছ দেওয়া অইবো।
 তেউ হে গিয়া আস্তা জগতর হকল জাতিরে,
মানি ইয়াজুজ-মাজুজরে বে-পথি বানাইবো,
আর যুদ্ধ করার লাগি তারারে একখানো দলা করবো।
তার মানুষ অইবা,
দরিয়ার চরর বালুর লাখান,
ইতা গনিয়া ফুড়ানি যাইতো নায়।
 অউ সময় আমি দেখলাম,
তারা আস্তা দুনিয়া থাকি বার অই গিয়া আল্লার পাক বন্দা অকলর রওয়ার জাগা,
আল্লার মায়ার টাউনরে গিয়া বেরিলিলো।
অইলে আছমান থাকি আল্লাই আগুইন লামিয়া ইতারে জালাইলিলো।
১০ আর যে ইবলিছে এরারে বে-পথি বানাইছিল,
তারে ধরিয়া জালাইল গন্ধকর আগুনির গাতো ফালাইল অইলো।
হউ জানুয়ার আর ভন্ড নবীরে আগেউ অউ গাতো ফালাইল অইছিল।
হনো তারা চিরকাল রইবা,
আর দিনে-রাইতে জালা-যন্ত্রনার আজাব পাইবা।
রোজ হাশরর দিন
১১ বাদে আমি দেখলাম,
বড় একখান ধলা তখত,
অউ তখতো একজন বওয়াত আছইন।
তান ছামনা থাকি আছমান আর দুনিয়া বাগি গেল,
কুনুখানো এরার জাগা রইলো না।
১২ এরবাদে দেখলাম,
হুরু-বড় তামাম মুর্দা অকল অউ তখতর ছামনে উবাই রইছইন।
বাদে কয়খান খাতা খুলা অইলো,
এরবাদে আরো একখান খাতা খুলা অইলো,
ইখানর নাম জিন্দেগি খাতা।
অউ খাতা অকলর মাজে হউ মুর্দা অকলর যেতা আমল-নমা লেখা অইছিল,
হউ আমল মাফিক তারার আখেরি বিচার করা অইলো।
১৩ দরিয়ার মাজে যতো মুর্দা অকল আছলা,
দরিয়ায় এরার লাশ বার করি দিল।
আর মউত আর কয়বরর মাজে যেতা মুর্দাইন আছলা,
মউত আর কয়বরে তারারে বার করি দিল।
পরতেক জনরে তার নিজর আমল-নমা মাফিক বিচার করা অইলো।
১৪ হেশে মউত আর কয়বররেও আগুনির গাতো ফালাইল অইলো।
অউ আগুনির গাতো পড়াউ অইলো দুছরা বার মউত মানি,
আখেরি মউত।
১৫ যেরার নাম হউ জিন্দেগি খাতাত মিললো না,
তারারেউ আগুনির গাতো ফালাইল অইলো।