জিন্দেগি-পানির গাং
২২
 এরবাদে হউ ফিরিস্তায় আমারে আবে-হায়াত,
মানি জিন্দেগি-পানির গাং দেখাইলা।
ইকটা দেখতে চকচকা কাচর লাখান।
ইটা আল্লা পাক আর হউ মেড়ার বাইচ্চার তখতর ধারো থাকি বার অইয়া,
 টাউনর বড় গল্লির মাজখানেদি যাওয়াত আছিল।
আর অউ গাংগর দুইও পারো জিন্দেগি-গাছ আছিল।
অউ গাছাইন্তো বারো জাতর ফল ধরে।
পরতেক মাসে মাসে ফল ধরে,
অউ গাছর পাতায় হকল জাতির মানষর বেমার শিফা অয়।
 কুনুজাত লান্নত আর রইতো নায়।
আল্লা পাক আর মেড়ার বাইচ্চার তখত অউ টাউনো রইবো,
আর তান গুলাম অকলে তান এবাদত করবা।
 তারা তান পবিত্র মুখ দেখবা,
তারার কপালো তান নাম লেখা থাকবো।
 আর কুনু রাইত অইতো নায়,
তারার লাগি লেমর বা সুরুজর ফরর জরুর অইতো নায়,
কারন আল্লা মাবুদর নুরউ অইবো তারার ফর।
তারা হর-হামেশা চিরকাল ধরি বাদশাই করবা।
হজরত ইছা আল-মসী জলদি আইরা
 বাদে হউ ফিরিস্তায় আমারে কইলা,
“ইতা হকলতা একিন করার লাখ হাছা।
আল্লা মাবুদ,
যেইন আগে তান নবী অকলর মাজদি বাতচিত করছইন,
তাইন নিজর ফিরিস্তারে দিছইন,
যাতে থুড়া কয়দিনর মাজে যেতা ঘটিবো,
অউ ফিরিস্তায় ইতা তান গুলাম অকলরে দেখাইন।”
 হজরত ইছায় কইরা,
“হুনো,
আমি খুব জলদিউ আইরাম।
যে জনে অউ কিতাবর হকল আয়াতর আগাম খবর আমল করে,
হে-উ নেক-কপালি।”
 তে ইছা আল-মসীর সাহাবি আমি হান্নানে ইতা দেখছি আর হুনছি।
হকলতা হুনা আর দেখার বাদে,
যে ফিরিস্তায় আমারে ইতা দেখাইছইন,
আমি তানরে সইজদা করার নিয়তে তান পাওয়ো পড়লাম।
 অইলে তাইন আমারে কইলা,
“না,
না!
তুমি আমারে নায়,
খালি আল্লা পাকরে সইজদা করো।
আমি তো খালি তুমার লাখান গুলাম,
তুমার ভাইয়াইন মানি নবী অকলর লাখান আর ই কিতাবর হকল আয়াত যেরা মানে,
তারার লাখানউ গুলাম।”
১০ এরবাদে তাইন আমারে কইলা,
“অউ কিতাবর কুনু আগাম খবর তুমি লুকাইয়া রাখিও না,
কারন সময় ঘনাইয়া আইচ্ছে।
১১ যেগিয়ে নাফরমানি করের,
হে অলা করাত রউক।
যেগু খবিছ,
ইগু তার খবিছিত রউক।
আর পরেজগার জনে পরেজগারি করাত রউক,
পাক-পবিত্র জন পাক-পবিত্র রউক।”
১২ হজরত ইছায় কইরা,
“হুনো,
আমি খুব জলদি আইরাম,
আর পরতেক মানষর আমল-নমার পুরুস্কার আমার আতো আছে।
১৩ আমিউ আলিফ আর ইয়া,
আউয়াল আর আখের,
শুরু আর শেষ।
১৪ “তারাউ নেক-কপালি,
যেরা নিজর কাপড়-চুপড় ধইয়া পরিস্কার করে,
যাতে জিন্দেগি-গাছর ফল খাওয়ার অধিকার পায়,
আর গেইটেদি গিয়া পবিত্র টাউনো হামায়।
১৫ কুকরর লাখান জঘইন্য মানুষ,
যাদুগির,
জিনাকুর,
খুনি,
মুর্তিপুজা কররা,
আর যেতায় মিছা মাত পছন্দ করে,
মিছার মাজে চলে,
ইতা হক্কলটি বারে পড়ি রইছে।
১৬ “তে আমি ইছায় আমার ফিরিস্তারে পাঠাইছি,
যাতে এইন জমাত অকলর লাগি তুমরার গেছে অতা হকল বেয়াপারে জবানবন্দি দেইন।
আমি তো বাদশা দাউদর খান্দান আর মুল জড়,
ফজরর চকচকা শুক-তেরা।”
১৭ পাক রুহে আর কইনায় কইরা,
“আও।”
আর যে জনে অউ কথা হুনের,
হে-ও কউক,
“আও।”
পানির পিয়াছে যারে ধরছে,
হে আউক।
যে জনে পানি খাইতো চায়,
হে বিনা পয়সায় জিন্দেগি-পানি খাউক।
১৮ যে জনে অউ কিতাবর হকল আগাম খবর হুনে,
তার গেছে আমি অউ জবানবন্দি দিয়ার,
কেউ যুদি অউ আয়াত অকলর লগে দুছরা কুন্তা বাড়ায়,
তে আল্লায়ও অউ কিতাবো লেখা হকল নমুনার গজব তার জিন্দেগিত বাড়াইবা।
১৯ আর অউ কিতাবর আয়াত অকল থাকি কেউ যুদি কুন্তা বাদ দেয়,
তে আল্লায়ও ই কিতাবো লেখা জিন্দেগি-গাছ আর পবিত্র টাউনর অধিকার,
তার জিন্দেগি থাকি বাদ দিবা।
২০ অউ বেয়াপার অকল লইয়া যেইন জবানবন্দি দিরা,
তাইন কইরা,
“হাছাউ,
আমি খুব জলদি আইরাম।”
আমিন।
হজরত ইছা,
আপনে তশরিফ আনউক্কা।
২১ আল্লার তামাম পাক বন্দা অকলর উপরে,
হজরত ইছার রহমত জারি রউক।
আমিন॥
খতম॥