হজরত এহিয়া নবীর মউত
১৪
 অউ সময় গালিল জিলার রাজা হেরোদে ইছার বেয়াপারে হুনলা,
 হুনিয়া তান উজির-নাজিররে কইলা,
“এইন তো তৌবার গোছল করাওরা এহিয়া।
এইন মরা থাকি জিন্দা অইয়া উঠায় অউ কেরামতি দেখাইরা।”
 অউ হেরোদে তার ভাই ফিলিফর বউ হেরোদিয়ারে হাংগা করছিল।
তাইর মন যুগানির লাগি হে এহিয়া নবীরে জেলো বন্দি করিয়া থইছিল,
 কারন এহিয়ায় হেরোদরে কইতা,
“তাইরে হাংগা করা তো তুমার ঠিক অইছে না।”
 এরলাগি হে এহিয়া নবীরে মারিলিতো চাইলো,
অইলে মানষর ডরে মারতো পারলো না,
মানষে জানতা এইন একজন নবী।
 বাদে রাজা হেরোদর জনম দিনর অনুষ্ঠানো হেরোদিয়ার পুড়িয়ে নাচিয়া রাজারে খুশি করলো।
 এরদায় রাজায় কছম খাইয়া কইলো,
“অউ পুড়িয়ে যেতা চাইবো,
অতা দিমু।”
 পুড়িয়ে তাইর মাʼর লগে পরামিশ করি কইলো,
“তৌবার গোছল করাওরা এহিয়ার কল্লা কাটিয়া একখান থালো করি,
অখন আনিয়া আমারে দেউক্কা।”
 ইখান হুনিয়া রাজার মন খুব বেজার অইগেল।
অইলে তার লগে বওয়া মেহমান-মুছাফিরর ছামনে নিজে কছম করছে,
এরলাগি হে অউ কল্লা কাটিবার হুকুম দিল।
১০ তার জল্লাদ পাঠাইয়া জেলর ভিতরে এহিয়া নবীর কল্লা কাটাইলো।
১১ বাদে অউ কল্লা এক থালো করি আনিয়া অউ পুড়িরে দেওয়া অইলো,
পুড়িয়ে নিয়া তাইর মাʼর গেছে দিল।
১২ এরবাদে এহিয়া নবীর উম্মত অকলে তান লাশ নিয়া দাফন করলা,
আর হজরত ইছার গেছে গিয়া অউ খবর জানাইলা।
পাচ আজার মানষর গাইবি খানি
১৩ এহিয়ার মউতর খবর হুনিয়া ইছায় একখান নাওত উঠিয়া নিরাই এক জাগাত গেলাগি।
তাইন গেছইনগি হুনিয়া,
নানান জাগার মানুষ হুকনা বায় আটি আটি তান খরে রওয়ানা অইলা।
১৪ তাইন নাও থনে লামার বাদে মানষর ভিড় দেখিয়া তান ভিতরে দয়া হামাইগেল।
এরদায় তারার মাজে যতো বেমারি আছলা,
তাইন এরারে ভালা করলা।
১৫ বিয়ালি বালা সাহাবি অকল কান্দাত আইয়া কইলা,
“হুজুর,
ইখান তো খুব নিরাই জাগা,
আর বেইলও যারগি।
তে অতা মানষরে বিদায় দিলাউক্কা,
এরা কান্দা-কাছার গাউয়াইন্তো গিয়া তারার খানি-খুরাকি লউক।”
১৬ ইছায় কইলা,
“না,
তারা যাওয়ার দরকার নাই,
তুমরাউ এরারে খানি দেও।”
১৭ সাহাবি অকলে কইলা,
“আমরার গেছে তো খালি পাচখান রুটি আর দুইটা বিরান মাছ ছাড়া আর কুন্তাউ নাই।”
১৮ তাইন কইলা,
“অখনাইন আমার গেছে আনো।”
১৯ বাদে তাইন মানষরে কইলা,
ঘাসর উপরে বইযিতা।
তাইন হউ পাচখান রুটি আর দুইটা বিরান মাছ আতো লইলা,
আর আছমানেদি চাইয়া শুকরিয়া আদায় করলা।
বাদে অউ রুটি টুকরাইয়া সাহাবি অকলর আতো দিলে,
এরা বাটিয়া দিলাইলা।
২০ অতাদি হকল মানষে পেট ভরি খাইলা।
খাইয়া হারলে বাড়তি যেতা রইলো,
অখনাইন দলা করলে বারো টুকরি ভরিগেল।
২১ অনুমান পাচ আজার বেটা মানষে অউ খানা খাইলা,
এরার লগে বেটিন আর হুরুতাইনও আছলা।
পানির উপরেদি আটা
২২ খানির বাদেউ তান সাহাবি অকলরে হুকুম দিলা,
তাইন যাইবার আগে তারা নাওয়ো উঠিয়া আওরর হপারো যাইতাগি।
কইয়া তাইন অনর মানষরে বিদায় দিলাইলা।
২৩ এরা গিয়া হারলে তাইন দোয়া করার লাগি পাড়র উপরে উঠিলা।
হাইঞ্জা বাদ পর্যন্ত হনো একলা রইলা।
২৪ অউ সময় সাহাবি অকলর নাও আওরর মাজখানো গেছেগি,
আর উফতা বাতাসর ঢেউয়ে নাও খুব ইলকানি ধরলো।
২৫ পতাবালা হজরত ইছা আওরর পানির উপরেদি আটিয়া সাহাবি অকলর কান্দাত আইরা।
২৬ অউ সময় সাহাবি অকলে তানরে দেখিয়া খুব ডরাইলা,
তারা ভুত মনো করিয়া ভুত,
ভুত কইয়া চিল্লাইয়া উঠলা।
২৭ অউ তাইন কইলা,
“ডরাইও না,
সাওস করো,
ই তো আমি।”
২৮ তেউ সাহাবি পিতরে কইলা,
“হুজুর,
আপনেউ যুদি অইন,
তে আমারে ইজাজত দেউক্কা,
আমিও পানির উপরেদি আটিয়া আপনার গেছে আইতাম।”
২৯ ইছায় কইলা,
“আও।”
তেউ পিতর নাও থাকি লামিয়া পানির উপরেদি আটা ধরলা।
৩০ অইলে বাতাসর জুর দেখিয়া তাইন ডরাইগেলা,
আর বুড়িযিরা দেখিয়া জুরে জুরে ইছারে ডাক দিলা,
“হুজুর,
হুজুর,
আমারে বাচাউক্কা।”
৩১ লগে লগে ইছায় আত বাড়াইয়া তানরে ধরিয়া কইলা,
“অউনি তুমার ইমান?
মনো সন্দয় আনলায় কেনে?”
৩২ বাদে ইছা আর পিতর নাওয়ো উঠতেউ বাতাস থামি গেল।
৩৩ তেউ নাওর হকলে তানরে সইজদা করিয়া কইলা,
“হুজুর,
আসলেউ আপনে আল্লা পাকর খাছ মায়ার জন,
ইবনুল্লা।”
৩৪ আওর পাড়ি দিয়া তারা গিনেসরত এলাকাত আইয়া নাও থাকি লামলা।
৩৫ লামতেউ হনর মানষে তানরে দেখিয়া চাইরোবায় খবর পাঠাইলা।
খবর পাইয়া মানষে হকল জাতর বেমারিরে লইয়া তান গেছে আইলো,
৩৬ তারা মিনত করি কইলো,
অউ বেমারি অকলে যানু তান গতরর চাদ্দরর কুনা খানো ছইতা পারইন।
আর যতো মানষে ছইলা,
তারা হক্কলউ ভালা অইগেলা।