ভুতর পালরে খেদাই দেওয়া
৫
১ হজরত ইছায় তান সাহাবি অকলরে লইয়া গালিল আওর পাড়ি দিয়া জেরাসিনি অকলর দেশো আইলা।
২ তাইন নাও থাকি লামতেউ ভুতে ধরা এক বেটা,
কবরস্থান থাকি বার অইয়া তান ছামনে আইলো।
৩ হে কয়বরর মাজে রইতো,
কুনু মানষে লুয়ার জিনজুরদি বান্দিয়াও তারে আটকাইতা পারতা না।
৪ তার আত-পাও বউত বার জিনজুরদি বান্দিলেও হে ইতা ছিড়িয়া,
পাওর বেড়িও ভাংগিলিতো।
তারে কেউ সামলাইতা পারতা না।
৫ হে পাড়র টিল্লায় টিল্লায়,
কয়বরে কয়বরে হারা দিন-রাইত ঘুরতো আর চিল্লাইতো,
পাথর দিয়া তার নিজর শরিলো মারতো।
৬ ইছারে হে দুরই থাকি দেখিয়াউ দৌড়াইয়া আইয়া তান পাওত পড়িয়া সইজদা করলো,
৭ আর চিল্লাইয়া কইলো,
“ও ইছা,
আল্লাতালার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা,
আপনে কেনে আমার গেছে আইছইন?
আমি আল্লার কছম খাইয়া কইয়ার,
আপনে আমারে ছাতাইন না যানু।”
৮ ইছায় আগে অউ ভুতরে কইছলা,
“তুই অউ বেটারে ছাড়িয়া বার অইয়া যা,”
এরদায় হে ইছারে অউ মিনতি করলো।
৯ তাইন অউ ভুতরে জিকাইলা,
“তোর নাম কিতা?”
হে কইলো,
“আমার নাম ফৌজ,
কারন আমরা বউত জন আছি।”
১০ অখান কইয়া হে ইছার গেছে বারে বারে মিনত করি কইলো,
“আপনে আমরারে ই এলাকা থাকি খেদাইন না যানু।”
১১ অউ সময় হনো পাড়র গালাত বড় এক শুয়রর পালে খাওয়াত আছিল।
১২ ভুতর পালে ইছারে মিনত করি কইলো,
“হুজুর,
আমরারে অউ শুয়রর পালর মাজে পাঠাই দেউক্কা,
আমরা গিয়া অতার ভিতরে হামাই।”
১৩ ইছায় ইজাজত দিয়া হারলে তারা গিয়া অউ শুয়রর পালর মাজে হামাই গেল।
তেউ শুয়রর পালে পাড়র টিল্লার পেটেদি খুব জুরে দৌড়াইয়া গিয়া আওরর মাজে বুড়িয়া মরলা।
ই পালো অনুমান দুই আজার শুয়র আছিল।
১৪ ইতা দেখিয়া শুয়রর রাখাল অকলে দৌড়াইয়া গিয়া গাউত আর কান্দা-কাছার হকলরে খবর জানাইলা।
খবর হুনিয়া মানষে ইতা দেখাত আইলা।
১৫ তারা ইছার কান্দাত আইয়া দেখলা,
ভুতর ফৌজে যে বেটারে ধরছিল,
ই বেটা ভালা অইয়া কাপড়-চুপড় ফিন্দিয়া বইরইছে।
ইতা দেখিয়া তারার মনো ডর হামাইগেল।
১৬ তেউ যেরা অউ ঘটনা দেখছিল,
তারা হউ ভুতে ধরা বেটার কথা আর শুয়রর ঘটনা এরারে জানাইলো।
১৭ এরদায় মানষে হজরত ইছারে মিনত করি কইলা,
“মেহেরবানি করি আমরার এলাকা থাকি তশরিফ নেউক্কাগি।”
১৮ তাইন যেবলা নাওত উঠিযিরা,
অউ সময় ভুতে ধরা বেটাও তান লগে অইয়া যাইতো করি মিনত লাগাইলো।
১৯ অইলে ইছায় তারে অখান কইয়া বিদায় করি দিলা,
“তুমি তুমার বাড়িত যাও,
গিয়া বাড়ির মানষরে দেখাও,
মাবুদে তুমারে কত মেহেরবানি আর বড় তাইজ্জুবি কাম করছইন।”
২০ তান কথা হুনিয়া বেটা গেলোগি আর আস্তা দিকাপলি এলাকার মানষরে কইলো,
ইছায় তার লাগি কত বড় কাম করছইন।
ইখান হুনিয়া তারাও তাইজ্জুব অইগেলা।
মরা পুড়িরে জিন্দা করা
২১ হজরত ইছা নাওত করিয়া হিরবার আওরর হপারো গিয়া হারলে,
চাইরোবায় থনে মানষে আইয়া অউ আওরর পারোউ ভিড় লাগাই দিলা।
২২ অউ সময় মছিদ কমিটির যায়ীর নামর এক নেতা আইয়া ইছারে দেখিয়া তান পাওত পড়িয়া,
২৩ খুব মিনত করি কইলা,
“হুজুর,
আমার পুড়িগু মরার পথি অইগেছে।
আপনে তশরিফ আনিয়া আমার পুড়িগুরে আতাই দিলেউ তাই ভালা অইযিবো।”
২৪ তেউ তাইন অউ নেতার বাড়িত রওয়ানা দিলাইলা।
তান চাইরো গালাবায় ভিড় বান্দিয়া ঠেলা-ঠেলি করিয়া আরো বউত মানুষ তান লগে অইয়া যাইরা।
২৫ অউ ভিড়র মাজে একজন বেটি মানুষ আছলা,
বারো বরছ ধরি তান বেটিয়ারা বেমারর লউ যাইতো।
২৬ বউত ডাক্তর কবিরাজ দেখাইয়া কষ্ট করি নিয়ম-কানুন মানিয়া,
হকল টেকা-পয়সা খুয়াইয়াও কুনু ফায়দা অইছে না।
দিনে দিনে বেমার আরো বাড়িছে।
২৭ ইছার বেয়াপারে হুনিয়া বেটিয়ে অউ ভিড়র মাজে ঠিক তান খরেদি আইয়া,
তান ফিন্নর চাদ্দর খানর এক কুনাত ছইলো।
২৮ তাই একিন করছিল যেন,
ইছার ফিন্নর কুনু কাপড়র মাজে ছইতে পারলেউ বেমার শিফা অইযিবো।
২৯ হাছাউ,
ইছার চাদ্দরর কুনাত ছইতেউ,
বেটির লউ যাওয়া এক্কেরে কমিগেল।
বেটিয়ে নিজর শরিলর হালত বুজিলিলো,
বেমার কমিগেছে।
৩০ ইছায়ও টের পাইলা,
তান শরিল মুবারক থাকি বল বার অইছে।
অউ তাইন ভিড়র মাজে চাইরোবায় চাইয়া জিকাইলা,
“আমার কাপড়ো কে ছইলো?”
৩১ তান সাগরিদ অকলে কইলা,
“হুজুর,
আপনে তো দেখরা,
মানষে কিলা চাইরোবায় ঠেলা-ঠেলি কররা,
তে আর কেনে জিকাইরা,
কে আপনারে ছইলো?”
৩২ অইলে ইছায় চাইরোবায় চউখদি তাল্লাশিত রইলা,
কে তানে ছইলো।
৩৩ তেউ বেমার শিফা অওয়া বেটিয়ে নিজর হালত বুজিয়া ডরাইয়া কাপি কাপি তান ছামনে আইয়া পাওত পড়লো,
আর হকলতা খুলিয়া কইলো।
৩৪ ইছায় বেটিরে কইলা,
“মাই গো,
তুমার ইমানে তুমি বাচলায়।
অখন শান্তিয়ে বাড়িত যাও,
আর ই বেমার থাকি হেফাজত রও।”
৩৫ তাইন অতা মাতো রইছইন,
অউ সময় মছিদর হউ নেতার বাড়ি থাকি খবরিয়া আইয়া নেতারে কইলো,
“ছাব,
আপনার পুড়ি তো আর নাই,
দুনিয়া ছাড়িয়া গেছইনগি।
তে হুজুররে আর তকলিফ দিবার কাম নাই।”
৩৬ অইলে ইখান হুনিয়া ইছায় হউ নেতারে কইলা,
“ডরাইবা না,
খালি একিন করউক্কা।”
৩৭ কইয়া তান সাহাবি পিতর,
ইয়াকুব,
আর ইয়াকুবর ভাই হান্নান,
খালি অউ তিন জন বাদে আর কেউররে তান লগে নিলা না।
৩৮ এরারে লইয়া তাইন হউ নেতার বাড়িত আইয়া দেখলা,
মানষে কান্দা-কাটি,
বিলাপ আর মাত্বম কররা।
৩৯ তাইন ভিতরে গিয়া মানষরে কইলা,
“তুমরা ই কান্দা-কাটি আর মাত্বম কররায় কেনে?
ই পুড়ি তো মরছে না,
খালি ঘুমাইছে।”
৪০ ইখান হুনিয়া মানষে তানরে ছিড়াইলা।
তেউ তাইন মুর্দার কুঠা থাকি হকলরে বার করি দিয়া,
খালি পুড়ির মা-বাফ আর সাহাবি অকলরে লইয়া কুঠাত হামাইলা।
৪১ তাইন পুড়ির আতো ধরিয়া কইলা,
“টালিথা কুম,”
মানি,
“ও পুড়ি,
তুমারে কইয়ার,
উঠো।”
৪২ হাছাউ,
মুর্দা পুড়ি লগে লগে উঠিয়া আটা ধরলো,
পুড়ির বয়স আছিল বারো বছর।
ইতা দেখিয়া এরা আচানক তাইজ্জুব অইগেলা।
৪৩ ইছায় এরারে হুকুম দিলা,
ইতা কেউররে হুনাইও না।
আর অউ পুড়িরে অখন খাইবার কুন্তা দেও।