পরধান হাকিম পিলাতর আদালতো হজরত ইছা
১৫
 বড় ইমাম অকলে ছবরে উঠিয়া মুরব্বি অকল,
মৌলানা আর ফতোয়া কমিটির হকলর লগে পরামিশ করিয়া,
হজরত ইছারে বান্দিয়া রোমান হাকিম পিলাতর গেছে লইয়া গেলা।
 গিয়া হারলে হাকিম পিলাতে ইছারে জিকাইলা,
“তুমি কিতা ইহুদি অকলর বাদশা নি?”
তাইন কইলা,
“আপনে ঠিক কথাউ কইরা।”
 বড় ইমাম অকলে তান নামে বউত নালিশ দিলা।
 পিলাতে হিরবার কইলা,
“তুমি কুন্তা জুয়াপ দিতায় না নি?
দেখরায় নি,
তারা তুমার বিরুদ্ধে কতো নালিশ দের।”
 অইলে ইছায় কুনু জুয়াপ না দেওয়ায় পিলাত তাইজ্জুব অইগেলা।
 আজাদি ইদর সময় হাকিমে দেশর মানষর পছন্দ মাফিক,
একজন আজতিরে খালাছ দিতা।
 অউ সময় বারাব্বা নামর একজন মানুষ জেলো আছিল।
সংগ্রামর সময় হে ফৌজর লগে রইয়া মানুষ খুন করছিল।
 মানষে পিলাতর গেছে আইয়া দাবি জানাইলা,
“আপনে আপনার নিজর রেওয়াজ মাফিক কাম করউক্কা।”
 তাইন জিকাইলা,
“তুমরা চাইরায় নি,
আমি ইহুদি অকলর বাদশারে ছাড়ি দিতাম?”
১০ পিলাতে জানতা,
বড় ইমাম অকলে ইংসা করিয়া ইছারে নিয়া তান আতো দিছইন।
১১ বড় ইমাম অকলে মানষরে উছকাইয়া দিলা,
মানষে ইছার মুক্তি না চাইয়া বারাব্বার মুক্তি চাইন।
১২ এরদায় পিলাতে হিরবার মানষরে জিকাইলা,
“তে তুমরা যারে ইহুদির বাদশা কও,
তারে আমি কিতা করতাম?”
১৩ তারা হকলে চিল্লানি লাগাইলো,
“তারে সলিবো দেও।”
১৪ তাইন কইলা,
“কেনে,
হে কিতা দুষ করছে?”
অইলে মানষে আরো জুরে জুরে চিল্লাইয়া কইলো,
“সলিবো দেও।”
১৫ তেউ পিলাতে তারারে খুশি করতা করি বারাব্বারে খালাছ দিলাইলা,
আর ইছারে বেশ করি চাবুক মারিয়া,
সলিবো লটকাইয়া কাতল করার হুকুম দিলা।
(সলিব অইলো লাকড়িদি বানাইল মানষরে লটকাইয়া মারার এক জিনিস।)
সিপাই অকলর ঠাট্টা-মশকরা
১৬ বাদে সিপাই অকলে ইছারে ধরিয়া পরধান হাকিমর বাড়ির ভিতরে লইয়া গেলা।
হনো তারা আরো সিপাই অকল দলা করলা।
১৭ তারা ইছারে বাইংগনি রংগর বাদশাই লেবাছ ফিন্দাইলা,
আর গছা-কাটা দিয়া মুকুট বানাইয়া তান মাথাত দিলা।
১৮ বাদে তারা মশকরা করি মিছিল দিলো,
“ইহুদির বাদশা,
মারহাবা।”
১৯ আর এক লাঠি আনিয়া বারে বারে তান মাথাত মারলো,
গতরো ছেফ দিলো,
তানে ইজ্জত দেখানির ভান করিয়া তান ছামনে আটু গাড়িয়া বইলো।
২০ অউ লাখান ঠাট্টা-মশকরা আর বেতমিজি করার বাদে তান ফিন্নর বাইংগনি লেবাছ খুলিয়া,
তান নিজর কাপড় ফিন্দাইলো আর সলিবো নিয়া কাতল করার লাগি রওয়ানা দিলো।
সলিবর উপরে হজরত ইছা
২১ তারা লইয়া যাইরা অউ সময় কুরিনি এলাকার ছিকন্দর আর রউফর বাফ,
সাইমন নামর একজন মানুষ গাউ থাকি অউ পথেদি আটিয়া যাওয়াত আছলা।
সিপাই অকলে জুর করিয়া এনেদি হউ সলিব বওয়াইয়া নিলা।
২২ তারা ইছারে গলগাথা,
মানি কল্লার চাড় নামর জাগাত লইয়া গেলা।
২৩ হনো নিয়া তানরে মুরা নামর ওষুধ পুরাইল আংগুরর শরবত খাইতে দিলা,
অইলে তাইন ইতা খাইলা না।
২৪ বাদে তারা তানরে সলিবো,
মানি গাছো লটকাইলো।
সিপাই অকলে তান কাপড়-চুপড় বাটিয়া নেওয়ার লাগি লটারি মারিয়া ভাইগ্য পরিক্ষা করলো।
২৫ বিয়ানে নয়টার সময় তারা তানরে জানে মারার লাগি সলিবো গাথিলো।
২৬ আর তান অপরাধ-নামার মাজে লেখলো,
“ইহুদির বাদশা।”
২৭ তারা দুইজন ডাকাইতরেও তান লগে সলিবো লটকাইলো,
একজন ডাইন গালাত,
অইন্যজন বাউ গালাত।
২৮ এরদায় আল্লার কালামর অউ আয়াতও ফলিগেল,
“তানরে নাফরমান অকলর লগে গনা অইছে।”
২৯ হউ পথেদি যেরা যাওয়াত আছিল তারা মাথা লাড়াইয়া ইছারে ছিড়াইয়া কইলো,
“ওই মিয়া,
তুমি বুলে কাবা ঘর ভাংগিয়া তিন দিনর মাজে হিরবার বানাইতায় পারবায়!
৩০ তে অখন সলিব থাকি লামিয়া আইয়া নিজর জান বাচাও না।”
৩১ বড় ইমাম আর মৌলানা অকলেও তানরে ছিড়াইয়া মাতা-মাতি করলা,
“হে তো মানষর জান বাচাইতো,
অখন নিজর জান বাচাইতো পারের না।
৩২ হে বুলে ওয়াদা করা হউ আল-মসী,
বনি ইছরাইলর বাদশা!
তে পারলে অখন সলিব থাকি লামিয়া আউক,
তেউ আমরাও অতা দেখিয়া ইমান আনমু।”
তান ডাইনে-বাউয়ে যেরারে সলিবো লটকাইল অইছিল,
তারাও তানরে ছিড়াইলো।
হজরত ইছা আল-মসীর উফাত
৩৩ বাদে বেইল দুইফর থাকি জোহরর বাদ পর্যন্ত তিন ঘন্টা আস্তা দেশ আন্দাইর অইগেল।
৩৪ এরবাদেউ তাইন খুব জুরে জুরে কইলা,
“এলোই,
এলোই,
লামা ছাবাক্তানী,”
মানি,
“ও আমার আল্লা,
আমার মউলা,
তুমি কেনে আমার লগ ছাড়ি দিলায়?”
৩৫ অউ সময় যেরা তান ধারো উবা আছিল,
তারা ইখান হুনিয়া কইলা,
“হুনো,
হুনো,
হে হজরত ইলিয়াছ নবীরে ডাকের।”
৩৬ অখান হুনিয়া একজন মানষে দৌড়াইয়া গিয়া একখান তেনা আনিয়া টেংগা আংগুরর শরবতর মাজে ভিজাইয়া,
এক লাঠির মাথাত বান্দিয়া উচা করি তানরে খাইতে দিলো।
হে কইলো,
“অউক,
দেখি না ইলিয়াছে তারে লামাইয়া নেওয়াত আইন নি।”
৩৭ হেশে ইছায় জুরে আওয়াজ করিয়া আখেরি দম ফালাইয়া ইন্তেকাল করলা।
৩৮ লগে লগে জেরুজালেমো কাবা ঘরর হেরেম শরিফর পর্দাখান,
উপরে থাকি তল পর্যন্ত ছিড়িয়া দুই টুকরা অইগেল।
৩৯ সিপাইর যে অফিসার হনো পারা দেওয়াত আছলা,
এইন ইছার মউতর ই হালত দেখিয়া কইলা,
“নিচ্চয়,
এইনউ আছলা আল্লার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লা।”
৪০ কয়জন বেটি মানষেও দুরই উবাইয়া ইতা দেখলা,
এরার মাজে আছলা মগদিলিনী মরিয়ম,
ইউছি আর হুরু ইয়াকুবর মা মরিয়ম,
আর বিবি সালোমী।
৪১ ইছা যেবলা গালিলো আছলা,
অউ সময় অউ বেটিন হামেশা তান লগে লগে রইতা আর তান খেজমত করতা।
আরো বউত বেটি মানুষ,
যেরা তান লগে অইয়া জেরুজালেমো আইছলা,
তারাও ইতা দেখলা।
হজরত ইছার রওজা মুবারক
৪২ ই দিন আছিল ইন্তেজামর দিন,
মানি ইহুদির জুম্মাবারর আগর দিন,
অউ দিন সুরুজ ডুবার বাদে থনে কুনুজাত কাম করা হারাম আছিল।
৪৩ এরদায় অউ বিয়ালি বালা ফতোয়া কমিটির ইজ্জতি মন্ত্রী,
আরিমাথিয়া গাউর ইউছুফ নামর একজন মানষে,
সাওস করিয়া হাকিম পিলাতর গেছে আইয়া,
হজরত ইছার লাশ নিতা চাইলা।
আল্লার বাদশাই কাইম অওয়ার লাগি এইন বার চাওয়াত আছলা।
৪৪ পিলাতে হুনিয়া খুব তাইজ্জুব অইগেলা যেন,
ইছায় অতো জলদি করি ইন্তেকাল ফরমাইছইন।
এরদায় তাইন সিপাইর ছুবেদাররে আনিয়া জিকাইলা,
হাছাউ ইছার রুহ বার অই গেছে নি।
৪৫ ছুবেদারে যেবলা কইলা,
“জিঅয়,
তাইন মারা গেছইন”,
অউ পিলাতে ইছার লাশ ইউছুফর জিম্মায় সমজাই দিলা।
৪৬ ইউছুফে গিয়া কাফনর কাপড় খরিদ করি আনিয়া,
ইছার লাশ সলিব থাকি লামাইয়া,
কাফন ফিন্দাইয়া,
পাথর কাটিয়া বানাইল এক কয়বরর মাজে তানরে দাফন করলা,
ই লাখান কয়বরো মাটি দেওয়া লাগে না।
এরদায় তারা বড় এক পাথর গড়িয়াইয়া আনিয়া কয়বরর মুখো দিলা।
৪৭ অউ সময় মগদিলিনী মরিয়ম আর ইউছির মা মরিয়মে দেখলা,
তানরে কুন জাগাত দাফন করছইন।