নয়া জনম আর একিনর বেয়াপারে তালিম
 ফরিশি অকলর মাজে নীকদীম নামে ইহুদি অকলর একজন নেতা আছলা।
 একদিন রাইত তাইন আইয়া ইছারে কইলা,
“হুজুর,
আমরা জানি,
আপনে একজন উস্তাদ হিসাবে আল্লার গেছ থাকি আইছইন।
আপনে যেতা কেরামতি কাম কররা,
আল্লা লগে না থাকলে কেউ ইতা করতো পারে না।”
 তাইন নীকদীমরে কইলা,
“আমি আপনারে হাছাউ কইরাম,
নয়া করি জনম না লইলে কেউ আল্লার বাদশাই দেখে না।”
 তেউ নীকদীমে তানরে কইলা,
“মানুষ বুড়া অইগেলে হিরবার জনম লয় কিলা?
দুছরা বার মাʼর পেটো হামাইয়া জনম লয় নি?”
 ইছায় জুয়াপ দিলা,
“আমি আপনারে হাছাউ কইরাম,
পানি আর পাক রুহ থাকি জনম না অইলে কেউ আল্লার বাদশাইত হামাইতো পারে না।
 রক্ত-মাংস থাকি যেতার জনম অয়,
ইতা তো খালি রক্ত-মাংস।
আর পাক রুহ থাকি যেতার জনম,
ইতা রুহ।
 আমি যে আপনারে কইলাম,
নয়া করি জনম লওয়া জরুর,
এতে তাইজ্জুব অইবা না।
 বাতাস তার যেবায় ইচ্ছা অবায় যায়,
আর আপনে তার আওয়াজ হুনইন,
অইলে কই থাকি আয় আর কই যায়,
ইখান জানইন না।
তে পাক রুহ থাকি যেরার জনম অইছে,
তারার বেলায়ও অলাখান অয়।”
 নীকদীমে ইছারে জিকাইলা,
“ইকটা কিলা অইতো পারে?”
১০ ইছায় জুয়াপ দিলা,
“আপনে বনি ইছরাইলর উস্তাদ অইয়াও ইতা বুজইন না নি?
১১ আপনারে হাছাউ কইরাম,
আমরা যেতা জানি অখানউ কই,
আর যেতা দেখছি অউ বেয়াপারে সাক্ষি দেই।
অইলে আপনারা আমরার সাক্ষি মানইন না।
১২ আমি আপনারারে দুনিয়াবি বেয়াপারে কইলে যেবলা একিন করইন না,
তে বেহেস্তি বেয়াপার কইলে কিলা একিন করবা?
১৩ যেইন বেহেস্তো থাকইন আর বেহেস্ত থাকি আইছইন,
হউ বিন-আদম ছাড়া আর কেউ বেহেস্তো উঠছইন না।
১৪ “মরুভুমির মাজে মুছা নবীয়ে যেলা হাফরে উচাত তুলছিলা,
অলা আমি বিন-আদমরেও উচাত তুলা অইবো।
১৫ যাতে যে জনে আমার উপরে ইমান আনে,
হে আখেরি জিন্দেগি হাছিল করে।
১৬ আল্লা পাকে দুনিয়ার মানষরে অতো বেশি মায়া করলা,
ই মায়ার খাতিরে তান খাছ মায়ার জনরে দান করলা।
যে মানষে অউ মায়ার জনর উপরে ইমান আনে,
হে বিনাশ অয় না,
বরং আখেরি জিন্দেগি হাছিল করে।
১৭ “আল্লায় মানষরে দুষি পরমান করার লাগি তান মায়ার জনরে দুনিয়াত পাঠাইছইন না।
অউ মায়ার জনর খাতিরে মানষে যাতে নাজাত পায়,
এরলাগিউ পাঠাইছইন।
১৮ যে জনে অউ মায়ার জনর উপরে ইমান আনে,
তার কুনু বিচার অয় না,
অইলে যে ইমান আনে না,
তারে আগেউ দুষি সাইবস্তো করা অইগেছে।
কারন আল্লার একমাত্র মায়ার জন ইবনুল্লার উপরে হে ইমান আনছে না।
১৯ তারে দুষি সাইবস্তো করা অইছে,
কারন দুনিয়াত নুর জাইর অইছে।
অইলে মানষর বদ কামর লাগি নুর থাকি আন্দাইররে বেশি ভালা পাইছে।
২০ যে মানষে বদ কাম করে,
হে নুররে ঘিন্নায়,
তার বদ কাম অকল জাইর অইযিবো করি হে নুরর গেছে আয় না।
২১ অইলে যে জন হক-হালালির পথে চলে,
হে নুরর গেছে আয়,
যাতে তার হকল কাম আল্লার মুনশা মাফিক অইছে করি পরমান অয়।”
এহিয়া নবীয়ে ইছার বেয়াপারে কইরা
২২ এরবাদে হজরত ইছা আর সাহাবি অকল এহুদিয়া এলাকাত আইলা।
হিনো তাইন সাহাবি অকলর লগে কিছু দিন কাটাইলা আর মানষরে তৌবার গোছল করাইলা।
২৩ অউ সময় সালিম নামর এক গাউর কান্দাত ঐনোন নামর এক জাগাত এহিয়ায়ও তৌবার গোছল করানিত আছলা।
হউ জাগাত বউত পানি থাকায় দলে দলে মানুষ আইয়া তৌবার গোছল লইলা।
২৪ এহিয়া নবীরে অউ সময়ও জেলো বন্দি করা অইছে না।
২৫ অউ সময় শরিয়ত মাফিক পাক-ছাফ অওয়ার বেয়াপার লইয়া,
এহিয়া নবীর উম্মত অকলে ইহুদির এক আলিমর লগে তর্ক লাগাই দিলা।
২৬ বাদে তাইন তাইন হজরত এহিয়ার গেছে আইয়া কইলা,
“হুজুর,
যেইন জর্দান গাংগর হপারো আপনার লগে আছলা,
আর যার বেয়াপারে আপনে সাক্ষি দিছলা,
দেখরা নি,
হকল মানুষ তান গেছে যাইরাগি আর তাইন এরারে তৌবার গোছল দিরা।”
২৭ ইখান হুনিয়া এহিয়ায় কইলা,
“বেহেস্ত থাকি দেওয়া না অইলে কেউ কুন্তা পায় না।
২৮ তুমরাউ তো হুনছো,
আমি কইছি,
আমি আল-মসী নায়,
অইলে তান আগে আমারে পাঠানি অইছে।
২৯ যার গেছে কইনারে বিয়া দেওয়া অয়,
এইনউ নশা।
নশার দুস্তে খালি উবাইয়া নশার মাত হুনইন আর তান গলার আওয়াজ হুনিয়া খুশি অইন।
অউ লাখান আমার খুশিও আইজ পুরা অইলো।
৩০ তানরে বড় অইতে অইবো আর আমি হরি যাইতাম অইবো।”
বেহেস্ত থাকি যেইন আইছইন
৩১ যেইন উপর থাকি আইন,
এইন হকলর উপরে।
অইলে যে দুনিয়া থাকি আয়,
হে তো দুনিয়ার,
হে দুনিয়াবি মাতউ মাতে।
যেইন বেহেস্ত থাকি আইন,
তান আসন হকলর উপরে।
৩২ তাইন হনো যেতা দেখছইন আর হুনছইন,
অতার সাক্ষিউ দেইন।
কেউ তান সাক্ষি মানে না।
৩৩ অইলে যে জনে তান সাক্ষি কবুল করছে,
হে অখান দিয়াউ পরমান করে,
আল্লার কালামউ হাছা।
৩৪ আল্লায় যেনরে পাঠাইছইন,
তাইন আল্লার কালামউ বাতাইন,
কারন আল্লায় তানরে পুরাপুর করিয়া পাক রুহ দান করইন।
৩৫ বাফে তান পুতরে,
মানি তান খাছ মায়ার জনরে মায়া করইন আর তান আতোউ হকলতা দিছইন।
৩৬ যে মানষে আল্লার খাছ মায়ার জনর উপরে ইমান আনছে,
হে আখেরি জিন্দেগি পাইলিছে।
অইলে যে তানরে মানে না,
হে কুনুমন্তেউ আখের পাইতো নায় বরং তার উপরে আল্লার গজব পড়ব।