১৬
 হজরত ইছায় আরো কইলা,
“আমি ইতা জানাই দিলাম,
যাতে তুমরা খরলামি না যাও।
 মানষে তুমরারে সমাজ থাকি বার করি দিবা।
অলা সময় আইবো,
যারা তুমরারে খুন করবো,
তারা মনো করবো ইতা আল্লার এবাদত করের।
 তারা ইতা করবো,
কারন তারা গাইবি বাফরেও চিনছে না,
আমারেও চিনছে না।
 আমি ইতা আগেউ কইয়া রাখলাম,
যাতে সময় আইলে মনো অয়,
আমি তুমরারে অতা কইছলাম।
আমি পয়লা থাকি ইতা কইছি না,
কারন আমি তো তুমরার লগে লগেউ আছলাম।
সাইয্যগির রুহর কাম-কাজর নমুনা
 “হুনো,
আমারে যেইন পাঠাইছইন,
আমি অখন তান গেছে যাইয়ারগি,
তা-ও তুমরা কেউ আমারে জিকাইরায় না,
আমি কই যাইরাম।
 বরং আমি তুমরারে ইতা কইছি,
এরলাগি তুমরার মনো খুব দুখ আইছে।
 তেবউ আমি হক কথা কইরাম,
আমার যাওয়া খান তুমরার লাগি ভালা,
আমি না গেলে তো হউ সাইয্যগির রুহ আইতা নায়।
আমি গেলেগি তানরে তুমরার গেছে পাঠাইমু।
 তাইন আইয়া গুনার বেয়াপারে,
আল্লার মর্জি মাফিক চলার বেয়াপারে আর আল্লার বিচারর বেয়াপারে মানষরে হজাগ করবা।
 তাইন গুনার বেয়াপারে হজাগ করবা,
কারন মানষে আমার উপরে ইমান আনে না।
১০ আল্লার মর্জি মাফিক চলার বেয়াপারে হজাগ করবা,
কারন আমি আমার গাইবি বাফর গেছে যাইয়ারগি,
তুমরা আমারে আর দেখতায় নায়।
১১ বিচারর বেয়াপারে হজাগ করবা,
কারন দুনিয়ার মুনিব ইবলিছর বিচার অইগেছে।
১২ “তুমরারে আরো বউততা কওয়ার আছে,
অইলে অখন ইতা কইলে সইয্য করতায় পারতায় নায়।
১৩ হউ হক রুহ আইয়া হারি পথ দেখাইয়া তুমরারে পুরাপুর হক খান জানাইবা।
তাইন তো নিজ থাকি কুন্তা কইতা নায়,
খালি যেতা হুনইন,
অতাউ কইবা।
আর যেতা ঘটবো,
অতাউ জানাইবা।
১৪ আমি যেতা কই,
তাইন আইয়া অতাউ তুমরার গেছে জাইর করবা।
অলাখান তাইন আমার মহিমা জাইর করবা।
১৫ গাইবি বাফর যেতা আছে,
ইতা হকলতাউ আমার।
এরলাগি আমি কইরাম,
আমি যেতা কই,
তাইন অতাউ তুমরার গেছে জাইর করবা।”
উম্মত অকলরে বুজ দেওয়া
১৬ হজরত ইছায় কইলা,
“থুড়া বাদে তুমরা আর আমারে দেখতায় নায়,
হিরবার থুড়া বাদে দেখবায়।”
১৭ ইখান হুনিয়া কয়জন সাহাবিয়ে মাতা-মাতি করলা,
“তাইন ইতা কিতা মাতইন,
‘থুড়া বাদে তুমরা আর আমারে দেখতায় নায়,
হিরবার থুড়া বাদে দেখবায়’,
তাইন হিরবার কইরা,
‘আমি বাফর গেছে যাইরামগি।’
১৮ তে তাইন যে থুড়া সময়র কথা কইরা,
ইখান কিতা?
তাইন কিতা মাতিরা,
আমরা তো বুজরাম না।”
১৯ হজরত ইছায় বুজিলিলা,
তান সাহাবি অকলে অউ বেয়াপারে তানরে কুন্তা জিকাইতা চাইরা,
বুজিয়া তাইন কইলা,
“আমি যে কইছি,
‘থুড়া বাদে তুমরা আর আমারে দেখতায় নায়,
হিরবার থুড়া বাদে দেখবায়’ অতা লইয়া তুমরা মাতা-মাতি কররায় নি?
২০ হুনো,
আমি তুমরারে হাছাউ কইরাম,
তুমরা কান্দিবায় আর আহাজারি করবায়,
অইলে ই দুনিয়ার মানষে খুশি করবা।
তুমরা অখন দুখ-কষ্ট করবায়,
অইলে বাদে ই দুখ রইতো নায়,
এর বদলা খুশি করবায়।
২১ বাইচ্চা অওয়ার সময় বেটিন্তর খুব কষ্ট অয়,
অইলে অইয়া হারলে নয়া আওলাদর ফুর্তিয়ে মন ভরি যায়,
হি কষ্টর কথা আর মনো থাকে না।
২২ অউ লাখান তুমরাও অখন দুখ-কষ্ট কররায়,
অইলে হিরবার যেবলা তুমরার লগে আমার দেখা অইবো,
হউ সময় খুশিয়ে তুমরার দিল ভরিযিবো,
ই খুশি কেউ কাড়িয়া নিতো পারতো নায়।
২৩ “হি সময় তুমরা আমার গেছে কুন্তা চাইতায় নায়।
আমি তুমরারে হাছা কইরাম,
তুমরা আমার নামে আমার গাইবি বাফর গেছে যেতা চাইবায়,
তাইন তুমরারে দিবা।
২৪ অখনও তো তুমরা আমার নামে কুন্তা চাইছো না।
চাও,
তেউ পাইবায়,
যাতে তুমরার খুশি পুরা অয়।
২৫ “আমি তুমরারে উদাহরন দিয়া অউ তালিম দিলাম।
অইলে অলাখান সময় আইবো,
যেবলা আমি কুনু উদাহরন ছাড়া,
আমার গাইবি বাফর বেয়াপারে খুলা-মেলা বুজাইমু।
২৬ হউ দিনউ তুমরা আমার নামে চাইবায়।
আমি তো ইখান কইরাম না,
আমি তুমরার অইয়া গাইবি বাফর গেছে মিনত করমু।
২৭ তাইন নিজেউ তুমরারে মায়া করইন,
কারন তুমরা আমারে মায়া করছো আর একিন করছো যে,
আমি আল্লার গেছ থাকি আইছি।
২৮ আসলে,
আমি আমার গাইবি বাফ আল্লার গেছ থাকি অউ দুনিয়াত আইছি আর দুনিয়া ছাড়িয়া তান গেছেউ যাইরাম।”
২৯ অউ সময় সাহাবি অকলে তানরে কইলা,
“হুজুর দেখউক্কা,
অখন তো আপনে খুলা-মেলাউ মাতিরা,
কুনু উদাহরন দিরা না।
৩০ অখন আমরা বুজলাম,
আপনার অজানা কুন্তা নাই,
আর আপনারে কেউ কুন্তা জিকানিরও নাই।
গতিকেউ আমরা একিন করলাম,
আপনে আল্লার গেছ থাকিউ আইছইন।”
৩১ ইছায় তারারে কইলা,
“অখন একিন অইছে নি?
৩২ হুনো,
অলা সময় আইওর,
এমনকি আইচ্ছে,
যেবলা তুমরা দল ছাড়িয়া আমারে থইয়া যারযির জাগাত বাগিবায়।
অইলে আমি তো একলা নায়,
আমার গাইবি বাফ আমার লগে লগে আছইন।
৩৩ আমি তুমরারে ইতা কইলাম,
যাতে তুমরা আমার লগে মিশিয়া আছো গতিকে মনো শান্তি পাও।
ই দুনিয়াত তুমরা দুখ-মছিবতো আছো,
তা-ও মনোবল রাখিও,
আমিউ দুনিয়ারে জয় করছি।”