হজরত পিতর আর হান্নানরে আটক করা
৪
১ পিতর আর হান্নানে যেবলা মানষরে বয়ান কররা অউ সময় ইমাম অকল,
বায়তুল-মুকাদ্দছর বড় দারোগা আর সিদ্দেকিয়া মজহবর মানুষ আখতাউ তারার গেছে আইলা।
২ পিতর আর হান্নানে মানষরে তালিম দিরা আর ইছার মাজদিয়াউ মুর্দা অকল হিরবার জিন্দা অইয়া উঠার বেয়াপারে তবলিগ কররা দেখিয়া তারা খুব নারাজ অইছলা।
৩ তারা পিতর আর হান্নানরে আটক করলা আর হাইঞ্জা অইগেছিল করি এরারে বাদর দিন পর্যন্ত বন্দি করি থইলা।
৪ যেরা পিতরর বয়ান হুনছিলা এরার মাজে বউতে ইমান আনলা,
তেউ ইমানদার বেটাইন্তর পরিমান পাচ আজারর লাখান অইলো।
৫ বাদর দিন ইহুদির নেতা অকল,
মুরব্বি-সালিশ আর মৌলানা অকল একলগে জেরুজালেমো দলা অইলা।
৬ হিকানো পরধান ইমাম হানন,
কায়াফা,
ইউহোন্না,
ছিকন্দর আর পরধান ইমামর খেশ-কুটুম অকলও আজির আছলা।
৭ তারা পিতর আর হান্নানরে তারার মাজখানো উবা করাইয়া জিকাইলা,
“তুমরা কুন বলে আর কার নামে ই কাম কররায়?”
৮ তেউ পিতরে পাক রুহে কামিল অইয়া তারারে কইলা,
“ও মুরব্বি ছায়বাইন আর দেশর বুজুর্গ অকল,
৯ একজন লেংড়া-আতুর মানষর ভালাই করছি করি আপনারা আইজ আমরারে জেরা কররা,
মানুষগু কিলা ভালা অইলো।
১০ তে আপনারা হকলে আর বনি ইছরাইল অকলেও হুনউক্কা,
নাছারতর ইছা আল-মসীর নামে,
যেনরে আপনারা সলিবো গাথিয়া কাতল করছলা,
যেনরে আল্লায় মুর্দা থাকি জিন্দা করছইন,
তান বলেউ ই মানুষগু আপনাইন্তর ছামনে ভালা অইয়া উবাইছে।
১১ তাইন হউ পাথর,
যেটারে রাজ মেস্তইর অকলে,
মানি আপনারা এলামি করি বাদ দিলাইছলা,
পাক কিতাবর কথা মাফিক হউ পাথরউ আইজ ইয়ান কুনার হকল থাকি জরুরি খুটি অইছে।
১২ তরানির খেমতা আর কেউরর গেছে নাই,
কারন আছমানর তলে আর জমিনর উপরে অউলা আর কুনু নাম দেওয়া অইছে না,
যেন নামে আমরা রেহাই পাইমু।”
১৩ পিতর আর হান্নানর সাওস দেখিয়া,
এরা যেন অশিক্ষিত সামাইন্য মানুষ ইতা জানিয়া তারা তাইজ্জুব অইগেলা,
আর এরা ইছার লগে আছলা করিও চিনলা।
১৪ যে বেটা ভালা অইছিল,
হে এরার লগে উবাইরইছে দেখিয়া এরারে আর কুন্তা কওয়ার সাওস অইলো না।
১৫ বাদে মজলিছ থাকি এরারে বারে যাওয়ার হুকুম দিয়া তারা হকলে পরামিশ করাত বইয়া
১৬ কইলা,
“ই মানষরে লইয়া আমরা কিতা করতাম?
এরা তো বউত বড় এক কেরামতি কাম করছে আর ইতা তো আস্তা জেরুজালেমর হকলে জানে,
আর আমরাও ইটারে অস্বীকার করতাম পারিয়ার না।
১৭ অইলে মানষর গেছে যানু ই কথা আর জানা-জানি না অয়,
এরলাগি এরারে ডর দেখাইল অউক,
যাতে ই জনর নামে তারা আর কেউরর গেছে কুন্তা না কয়।”
১৮ বাদে তারা পিতর আর হান্নানরে হিরবার আনাইয়া অউ হুকুম দিলা,
“তুমরা ইছার নামে আর কুনুদিন একদম কিচ্ছু কইও না,
কুনুজাত নছিয়তও করিও না।”
১৯ পিতর আর হান্নানে তারারে জুয়াপ দিলা,
“আমরা আপনাইন্তর হুকুম মানতাম,
না আল্লার হুকুম মানতাম?
আল্লার নজরো কুনখান ঠিক,
ইতা আপনারাউ বিচার করউক্কা।
২০ আমরা যেতা দেখছি আর হুনছি,
ইতা না কইয়া তো থাকতাম পারি না।”
২১ তেউ তারা পিতর আর হান্নানরে আরো ডর দেখাইয়া ছাড়ি দিলা।
মানষরে ডরাইয়া তারা এরারে কুনু সাজা দিতা পারলা না,
কারন যেতা ঘটছিল ইতা দেখিয়া হকল মানষে আল্লার প্রশংসা করাত আছিল।
২২ যে মানুষগু কেরামতি কামর মাজদি ভালা অইছিল তার বয়স চাল্লিশ বছরর বেশি আছিল।
তবলিগ কামর সাওসর লাগি দোয়া
২৩ ই বিচার থাকি তারারে ছাড়ার বাদে পিতর আর হান্নান তারার আপন মানষর গেছে গেলাগি,
গিয়া বড় ইমাম অকলে আর মুরব্বি-সালিশ অকলেও তারারে যেতা যেতা কইছলা,
ইতা হক্কলতা জানাইলা।
২৪ ইতা হুনার বাদে তারা হকলে এক দিলে আল্লার গেছে জুরে জুরে দোয়া করলা,
“ও মালিক,
তুমি আছমান,
জমিন,
দরিয়া আর ইতার মাজে যততা আছে হক্কলতা পয়দা করছো।
২৫ তুমি তুমার গুলাম,
আমরার খান্দানর বাফ দাউদর জবানো পাক রুহর মাজদিয়া অউলা কইছো,
হক্কল জাতিয়ে কেনে অস্থির অইয়া চিল্লাইরা?
কিওরলাগি মানষে বেহুদা ফন্দি করের?
২৬ জগতর বাদশা অকল উবাইলো,
রাজা অকল একখানো অইলো,
মালিকর বিরুদ্ধে আর তান আল-মসীর বিরুদ্ধে।
২৭ তুমার পবিত্র গুলাম ইছা,
যেনরে তুমি আল-মসী করিয়া দুনিয়াত পাঠাইছো,
তান বিরুদ্ধে রাজা হেরোদ আর পন্তীয় পিলাত,
অউ শহরো অ-ইহুদি আর বনি ইছরাইলর লগে একখানো অইছিল।
২৮ তুমার মর্জি আর তুমার কুদরতে যেতা ঘটার লাগি তুমি আগেউ ঠিক করি রাখছিলায়,
তারা অউতাউ ঘটাইছে।
২৯ অখন ও মালিক,
তারা আমরারে কিলা ডর দেখাইরা,
তুমি খিয়াল করো,
তুমার গুলাম অকলরে অউলা তাক্কত দেও যাতে,
পুরাপুর সাওস করিয়া তুমার কালাম তবলিগ করতাম পারি।
৩০ বেমারি অকলর শিফার লাগি তুমার আত মুবারক বাড়াই দেও,
আর তুমার পাক গুলাম ইছার নামে মোজেজা আর কেরামতি দেখানির তৌফিক দেও।”
৩১ তারার দোয়া করার বাদে যে জাগাত তারা দলা অইছলা,
হি জাগা কাপিয়া উঠলো।
আর তারা হকলে পাক রুহে কামিল অইয়া সাওস করিয়া আল্লার কালাম তবলিগ করাত রইলা।
ইমানদারর মহব্বত
৩২ যেরা আল-মসীর উপরে ইমান আনছিলা,
তারার এক মন আর এক দিল আছিল।
তারা একজনেও নিজর ধন-দৌলতরে নিজর কইয়া দাবি করতা না,
হক্কলতাউ হকলর দরকার মতো খরচ করতা।
৩৩ সাহাবি অকলে খুব হিম্মত করিয়া,
হজরত ইছার মুর্দা থাকি জিন্দা অইয়া উঠার বিষয়ে তবলিগ করতা,
আর তারা হক্কলর উপরে আল্লার খাছ রহমত আছিল।
৩৪ তারার মাজে কেউ অভাবি আছলা না,
কারন যেরার জমিন বা বাড়ি আছিল তারা ইতা হকলতা বেচিয়া,
৩৫ সাহাবি অকলর গেছে আনিয়া দান করিলিতা,
বাদে যার যেলা গরজ তারে অউলা দেওয়া অইতো।