হজরত পাউলুছর তিন নম্বর ছফর (১৯:১-২১:১৪)
ইফিছ টাউনো হজরত পাউলুছ
১৯
 আপল্লছ যেবলা করিন্থত আছলা,
অউ সময় হজরত পাউলুছ আছিয়া দেশর মাজেদি ইফিছ টাউনো আইলা।
হিকানো কয়জন উম্মতর লগে দেখা অওয়ায়,
 তাইন এরারে জিকাইলা,
“আপনারা ইমান আনার সময় কিতা পাক রুহ হাছিল করছলা নি?”
তারা জুয়াপ দিলা,
“পাক রুহ আরকতা কিতা,
ইতা তো আমরা হুনছিউ না।”
 পাউলুছে তারারে কইলা,
“তে আপনারা কুন তরিকায় তৌবার গোছল করছলা?”
তারা কইলা,
“এহিয়া নবীর তরিকায়।”
 অউ তাইন কইলা,
“গুনা থাকি মন বদলাইলে যে গোছল করাইল অয়,
অটাউ অইলো হজরত এহিয়ার তরিকার গোছল,
অইলে এহিয়ায় তো তালিম দিছলা,
তান বাদে যেইন তশরিফ আনরা,
মানি হজরত ইছার উপরেও ইমান আনা লাগবো।”
 ই নছিয়ত হুনার বাদে তারা হজরত ইছার নামে তৌবার গোছল করলা।
 বাদে পাউলুছে তারার উপরে আত রাখলে তারা পাক রুহ পাইলা,
তেউ এরা নানান গাইবি ভাষায় মাতিলা আর পীরাকি মাত মাতা ধরলা।
 এরা হকলে মিলিয়া অনুমান বারো জন আছলা।
 বাদে তাইন ইহুদির মছিদো গিয়া একলাগারে তিন মাস হিম্মত করিয়া তবলিগ করলা,
আল্লার বাদশাইর বেয়াপারে যুক্তি-তর্ক দেখাইয়া তারারে বুজাইলা।
 এরার মাজে কয়জনর দিল না-হুমার অওয়ায় তারা ইমান আনলা না,
তারা হকলর গেছে ইছার তরিকার গিবত গাইতা।
তেউ পাউলুছে এরার গেছ থাকি হরিয়া উম্মত অকলরে আলগাইয়া তান লগে রাখলা,
আর পরতেক দিন তুরান্ন নামর এক উস্তাদর টংগিত গিয়া তারারে তালিম দিলা।
১০ অউলা দুই বছর গুজরার বাদে আছিয়া দেশর ইহুদি আর ইউনানি,
হক্কলর কানোউ মাবুদর কালাম পৌছি গেল।
১১ আল্লায় হজরত পাউলুছর আতানে আচানক কেরামতি কাম জাইর করাইলা।
১২ হেশে অউলাও অইলো যেন,
তান গতরর কাপড় বা গামছা খানও কুনু বেমারি মানষর কাছাত নিলেউ বেমার ভালা অইযিতো,
আর জিন-ভুতেও বেমারি ছাড়িয়া বাগিতা।
১৩ এরমাজে কয়জন ঘুরিয়া পাখাইয়া খাওরা ইহুদি তাবজাতি মোল্লায়ও হজরত ইছার নাম লইয়া জিন-ভুত ছাড়াইতো চাইলো,
তারা অউলা কইতো,
“পাউলুছে যেন নামে তবলিগ করইন,
হউ ইছার দোয়াই দিয়া,
আমি তুমরারে বার অইয়া যাওয়ার হুকুম দিরাম।”
১৪ এরার মাজে স্কিবা নামর একজন ইহুদি পরধান ইমামর সাত পুয়ায়ও অউলা করতো।
১৫ তেউ একদিন ভুতে তারারে জুয়াপ দিলো,
“আমি ইছারেও চিনি,
পাউলুছরেও চিনি,
অইলে তুমরা কে?”
১৬ কইয়াউ যে বেটারে ভুতে ধরছিল হি বেটায় তারার উপরে ফাল দিয়া পড়িয়া মাইর-ধইর করিয়া তারা সাতো জনরে আরাইলো।
মাইরে তারার শরিল ছিড়িয়া-বিড়িয়া জখম অইগেল,
তারা লেমটা অইয়া ই বাড়ি থাকি বাগিলা।
১৭ ই খবর যেবলা ইফিছর ইহুদি আর ইউনানি অকলে জানলা,
তে তারা হক্কলে ডরাইগেলা,
আর চাইরোবায় হজরত ইছার নামর মহিমা জাইর অইলো।
১৮ যেরা হজরত ইছার উপরে ইমান আনছিল,
এরা বউতে আইয়া হারি খুলা-মেলা করি তারার বাদ কামর কথা স্বীকার আর জাইর করলা।
১৯ আর যেরা যাদু-টুনার কাম করতো,
তারার মাজেও বউতে তারার যাদু-টুনার বইয়াইন আনিয়া দলা করি হকলর ছামনে জালাইলিলা।
ই বইয়াইন্তর দাম হিসাব করিয়া দেখা গেল পইঞ্চাশ আজার রুপার দিনার।
২০ অউ লাখান করি মালিকর কালাম বউত বাড়িলো আর মানষর মাজে খুব কাম করলো।
২১ ইতা ঘটার বাদে পাউলুছে মনে মনে নিয়ত করলা,
তাইন মাকিদনিয়া আর গ্রীস অইয়া জেরুজালেমো যাইতাগি,
তাইন কইলা,
“জেরুজালেম যাওয়ার বাদে আমি রোম টাউনোও যাওয়া জরুর।”
২২ বাদে তাইন তিমথি আর ইরাস্তাছ নামর তান দুইও খাদিমরে মাকিদনিয়াত পাঠাইয়া,
নিজে আরো কয়দিন আছিয়া দেশো রইলা।
২৩ অউ সময় ইছার তরিকার বিষয় লইয়া বউত গন্ডগোল লাগল।
২৪ কারন দিমিত্রি নামে একজন বানিয়ায় আর্তেমিছ দেবীর মন্দিরর নমুনায় রুপাদি হুরু হুরু মন্দির বানাইতো,
আরো বউত বানিয়ায়ও অউ কাম করিয়া বউত লাভ করতো।
২৫ হে অউ বানিয়া অকলরে আর তারার লগি অকলরেও একখানো দলা করিয়া কইলো,
“ভাই অকল,
তুমরা তো জানরায়,
ই কারবার থাকি আমরা ভালা লাভ পাইরাম।
২৬ অইলে তুমরা দেখরায় আর হুনরায়ও,
পাউলুছ নামর অউ বেটায় খালি আমরার ইফিছোউ নায়,
কইতে গেলে আস্তা আছিয়া জুড়ি বউত মানষরে কইছে আর একিন করাইছে,
আতর বানাইল দেব-দেবী অকল বুলে কুনু দেবতাউ নায়।
২৭ এরলাগি অখন ডর করের,
খালি আমরার কারবাররউ বদনাম অইবো ইলা নায়,
অইলে মহাদেবী আর্তেমিছর মন্দিরও বেকামা অইযিবো,
আর আছিয়া দেশর হক্কল মানষে আর হারা দুনিয়াইয়ে মিলিয়া যেন পুজা করে,
তাইনও নিজর ইজ্জত আরাইবা।”
২৮ ইতা হুনিয়া তারা গুছায় আগুইন অইয়া জুরে জুরে চিল্লাইয়া কইলা,
“ইফিছিয়ার আর্তেমিছ দেবী,
জিন্দাবাদ!”
২৯ লগে লগে আস্তা টাউনো গন্ডগোল লাগিগেল;
মানষে মাকিদনিয়ার গউছ আর আরিস্তাকুছ নামর পাউলুছর লগর দুইজনরে ধরিয়া,
একলগে পাল বান্দিয়া দৌড়াইয়া ষ্টেডিয়ামো লইয়া গেলা।
৩০ হজরত পাউলুছ অউ ভিড়র ছামনে যাইতা চাইলা,
অইলে মুমিন অকলে তানরে আটকাইল্লা।
৩১ আছিয়া দেশর সরকারি অফিসারর মাজে কয়জন আছলা পাউলুছর দুস্ত,
এরা খবরিয়াদি তানরে জানাইলা,
তাইন হি ভিড়র ছামনে গিয়া নিজর মছিবত ডাকিয়া আনতা না।
৩২ ভিড়র মাজে মানষে খুব চিল্লা-চিল্লি আর গেইনজাম লাগাইলা।
বেশির ভাগ মানষে জানতাউ না ইনো কিতা অইছে,
তারা একজনে এক লাখান,
আরক জনে আরক লাখান মাতিলা।
৩৩ তেউ কয়জন ইহুদিয়ে ছিকন্দর নামর একজনরে ছামনে ঠেলিয়া দিলো ভাষন দিবার লাগি।
তাইন আতদি ইশারা দিলা,
যাতে মানুষ নিরাই অইয়া তান বখতিতা হুনইন।
৩৪ অইলে মানষে যেবলা বুজলা,
এইনও ইহুদি,
তেউ তারা আরো জুরে জুরে অনুমান দুই ঘন্টা ধরি চিল্লাইয়া কইলা,
“ইফিছিয়ার আর্তেমিছ দেবী,
জিন্দাবাদ!”
৩৫ হেশে টাউনর চেয়ারম্যানে মানষরে নিরাই করাইয়া কইলা,
“ও ইফিছিয়া অকল,
কউক্কা ছাইন,
কুন মানুষগুয়ে না জানে যেন,
ই ইফিছ টাউন অইলো মহান আর্তেমিছ দেবীর মন্দির আর আছমান থাকি তান যেতা মুর্তি লামাত পড়ছে এর রইক্ষা করনেআলা?
৩৬ আর ই হাছা কথা কেউ যেবলা খন্ডাইতো পারতো নায়,
তে বেবুতার লাখান কুনু কাম না করিয়া তুমরা নিরাই অও।
৩৭ অউ মানষে তো আমরার মন্দিরো চুরিও করছে না,
আমরার দেবীর কুনু বদনামও করের না,
তা-ও তুমরা এরারে ধরিয়া আনছো।
৩৮ তে হুনো,
দিমিত্রি আর তার লগর বানিয়া অকলর যুদি কুনু নালিশ থাকে,
তে আদালত তো খুলা আছে,
হাকিম অকলও আছইন,
তারা হনো গিয়া যারযির মামলা-মকদ্দমা করউক।
৩৯ অইলে তুমরার আর কুনু দাবি-দাওয়া থাকলে ইতা নিয়ম মাফিক মজলিছো বইয়া মিট-মাট করা অইবো।
৪০ আসলে আইজকুর ই গেইনজাম লাগানির লাগি আমরার উপরেউ দুষ পড়তো পারে,
ই গন্ডগোল লাগানির কুনু কারন দেখাইতাম পারতাম নায়।”
৪১ অখান কইয়া তাইন মজলিছ ভাংগি দিলা।