হজরত ইব্রাহিম (আঃ) থাকি তালিম
 তে আমরার খান্দানর মুল বাফ হজরত ইব্রাহিমর জিন্দেগির বেয়াপারে কিতা কইতাম?
তাইন কিতা পাইলা?
 শরিয়ত মানার লাগিউ যুদি তানরে বে-কছুর কইয়া গনা অয়,
তে তাইন নিজর বড়াই দেখাইতা পারইন,
অইলে আল্লার দরবারো তো নায়।
 কারন আল্লার কালামো আছে,
“ইব্রাহিমে আল্লার উপরে ইমান আনায়,
আল্লায় তানরে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করলা।”
 কামলায় কাম করিয়া যে বেতন পায়,
ইকটা কুনু দান নায়,
ইকটা তার পাওনা মজুরি।
 অইলে কুনু মানষে যুদি নিজর আমলর উপরে ভরসা না করিয়া,
খালি তান উপরে ইমান আনে,
যেইন গুনাগাররে বে-কছুর কইয়া গইন্য করইন,
তে তার ইমানর লাগি হে খালাছ পায়।
 আর নিজ আমল ছাড়া আল্লা পাকে যারে বে-কছুর কইয়া গইন্য করছইন,
হজরত দাউদেও তারে নেক-কপালি কইছইন।
পবিত্র জবুর শরিফো তাইন কইরা,
 
 নেক-কপালি তারাউ,
যেরার নাফরমানিরে মাফ করা অইছে,
মাবুদ মউলায় যেরার গুনারে আর হিসাবো ধরতা নায়।
 নেক-কপালি হউ জন,
যার গুনারে আল্লায় তার আমল-নমা থাকি কাটি দিছইন।
 
 তে নেক-কপালি খালি তারারেউ কওয়া অইছে নি,
যেরার মছলমানি কাম করাইল অইছে?
মছলমানি না করাইল মানষরেও কওয়া অইছে না নি?
অয়,
তারারেও নেক-কপালি কওয়া অইছে।
কারন আল্লার কালামো পাইছি,
হজরত ইব্রাহিমর ইমানর লাগিউ,
আল্লায় তানরে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করলা।
১০ কুন সময় করলা?
মছলমানি করানির আগে,
না বাদে?
নিচ্চয়,
মছলমানি করানির আগেউ অইছলা।
১১ মছলমানি কাম করানির আগেউ আল্লায় তানরে ইমানর লাগি বে-কছুর কইয়া গইন্য করছলা,
আর মছলমানি কাম করানি আছিল এর পরমান বা নিশানা।
এ থাকি বুজা যায়,
মছলমানি না দিলেও,
খালি ইমানর লাগি যেরারে বে-কছুর খালাছ কইয়া ধরা অয়,
তারার মুল বাফ অইলা হজরত ইব্রাহিম।
১২ মছলমানি করানির আগে হজরত ইব্রাহিমর ইমান যেলাখান আছিল,
মছলমানি করাইয়া যতো মানষে অউ ইমানে চলে,
তারারও মুল বাফ অইলা অউ ইব্রাহিম।
ইমানর বলেউ আল্লাই ওয়াদা পুরন
১৩ আল্লা পাকে ওয়াদা করছলা,
হজরত ইব্রাহিম আর তান খান্দানরে ই দুনিয়ার দখলদারি দিবা।
শরিয়ত মানার লাগি ই ওয়াদা করা অইছে না,
বরং ইব্রাহিমর ইমানর লাগিউ তানরে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করিয়া অউ ওয়াদা করছলা।
১৪ শরিয়ত মানিয়া কেউ যুদি দখলদারি পাইলায়,
তে তো ইমান বেকামা বনিযায় আর আল্লার ওয়াদারও কুনু দাম রয় না।
১৫ শরিয়তে তো আল্লার গজব লামায়।
আসল কথা অইলো,
যেখানো শরিয়ত নাই,
ইনো শরিয়ত ভংগর কথাও নাই।
১৬ এরলাগি ই ওয়াদা খালি মানষর ইমানর মাজদি পুরা করা অয়,
যাতে ইটা আল্লার রহমতর দান হিসাবে রয়।
তে ইব্রাহিমর খান্দানর গেছে যে ওয়াদা করা অইছে,
ইখান নিচ্চয় পুরা করা অইবো।
খালি শরিয়ত মানরা অকলর লাগিউ পুরন করা অইতো নায়,
যেরা ইব্রাহিমর ইমানর লগে শরিক,
তারার লাগিও ই ওয়াদা পুরা করা অয়।
১৭ আল্লার কালামো যেলা লেখা আছে,
“আমি তুমারে বউত জাতির মুল বাফ বানাইলাম।”
অউ হিসাবে আল্লার নজরো ইব্রাহিম অইলা আমরা হকলর মুল বাফ।
যেইন মরারে জিন্দেগি দেইন আর যেতা অওয়ার নায়,
অতা অওয়াইতা পারইন,
হউ আল্লার উপরে তাইন ইমান আনছলা।
১৮ অউ ইব্রাহিমে যেবলা আওলাদ পাওয়ার কুনু আশা করার কথা নায়,
হউ সময়ও তাইন আল্লার উপরে ভরসা করিয়া ইমানে মজবুত রইছইন।
আল্লায় তানরে কইছলা,
“তুমার খান্দানরে আমি আছমানর তেরার লাখান বেহিসাব করমু।”
আর অউ কথার উপরে তাইন ইমান আনলা।
১৯ একশো বছর বয়সর ইব্রাহিমে যুদিও বুজছিলা,
হুরুতা জনম দেওয়ার খেমতা আর তান নাই,
তান বিবি ছায়রারও হুরুতা অওয়ার বয়স শেষ অইগেছে,
তেবউ তান ইমান মজবুত আছিল।
২০ আল্লার ওয়াদার বেয়াপারে তান মনো কুনু সন্দয় আইছে না,
বরং তাইন ইমানে আরো মজবুত অইয়া আল্লার তারিফ করলা।
২১ ইব্রাহিমে পুরাপুর একিন করলা,
আল্লায় যে ওয়াদা করছইন,
ইতা পুরা করার খেমতাও তান আছে।
২২ অউ কারনেউ তান ইমানর লাগি তানরে বে-কছুর কইয়া গইন্য করা অইছিল।
২৩ “বে-কছুর কইয়া গইন্য করা অইছিল,”
ইখান খালি ইব্রাহিমর লাগি লেখা অইছে না,
২৪ আমরার লাগিও লেখা অইছে।
ইমানর লাগিউ আল্লায় আমরারে বে-কছুর কইয়া গইন্য করবা,
কারন যে আল্লায় আমরার মালিক ইছারে মুর্দা থাকি জিন্দা করছলা,
আমরা তান উপরেউ ইমান আনছি।
২৫ আমরার গুনার কফরা হিসাবে অউ ইছারে মউতর আতো তুলি দেওয়া অইছিল,
আর আমরারে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করার লাগি তানরে মুর্দা থাকি জিন্দা করা অইছিল।