১০
১ তে ও ভাই অকল,
বনি ইছরাইলর লাগি আমার দিলর অউ ফরিয়াদ আছে,
আমি আল্লার দরবারো দোয়া করিয়ার,
তারা যানু নাজাত পাইন।
২ তারার বেয়াপারে আমি অখানউ কইরাম,
তারার মনর মাজে আল্লার এশকি আছে,
অইলে তারা জানে না,
আল্লার দরবারো কেমনে পরেজগার বনা যায়।
৩ আল্লার দরবারো বে-কছুর খালাছ অওয়ার পথ না জানায়,
তারা ই পথরে মানছেও না,
তারা খালি শরিয়ত আমল করিয়া পরেজগার বনতো চায়।
৪ অউ শরিয়তর হকল দাবি-দাওয়া আল-মসীয়ে তো আদায় করিলছইন,
এরলাগি তান উপরে যেরা ইমান আনে,
আল্লার দরবারো তারারে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করা অয়।
আল্লাই নাজাতর বেবস্তা হকলর লাগি
৫ শরিয়ত আমল করিয়া আল্লার দরবারো পরেজগার অওয়ার বেয়াপারে,
হজরত মুছায় তৌরাত কিতাবো লেখছইন,
“যেরা শরিয়ত মানতো চায়,
তারা পুরাপুর মানলে বাচিবো।”
৬ আর ইমানর বলে মানুষ কিলা আল্লার দরবারো পরেজগার বনে ই বেয়াপারে আল্লার কালামো লেখা আছে,
“মনে মনে কইও না,
কে গিয়া আছমানো উঠিতো?”
এর মানি অইলো,
হনো উঠিয়া আল-মসীরে লামাইয়া আনতো।
৭ বা ইখানও কইও না,
“কে গিয়া পাতালো লামতো?”
এর মানি অইলো,
হনো লামিয়া আল-মসীরে কয়বর থাকি তুলিয়া আনতো।
৮ না ইলা কুন্তা নায়,
কারন লেখা আছে,
“আসলে আল্লার কালাম তো তুমার খুব ধারো আছে,
ইতা তুমার মুখো আর তুমার দিলো আছে।”
আর আমরা যেতা তবলিগ কররাম,
ইতাউ তো হউ কালাম।
৯ অখন তুমি যুদি মুখে স্বীকার করো হজরত ইছাউ মালিক,
আর দিলে একিন করো,
আল্লায় তানরে মুর্দা থাকি জিন্দা করছইন,
তে তুমি আখের পাইবায়।
১০ কারন দিলে ইমান আনলে আল্লায় মানষরে বে-কছুর খালাছ কইয়া গইন্য করইন,
আর মুখে স্বীকার করলে আল্লায় নাজাত দান করইন।
১১ আল্লার কালামে বাতায়,
“যে জনে তান উপরে ইমান আনবো,
হে কুনুমন্তেউ শরমিন্দা অইতো নায়।”
১২ বনি ইছরাইল অউক বা ভিন জাতি অউক,
এরার মাজে কুনু তফাত নাই,
কারন হকলর মালিক তো একজন।
যে মানষে আল্লার নাম লয়,
আল্লায় তারে বউত মেহেরবানি করইন।
১৩ আল্লার কালামে তো কয়,
“যেকুনু মানষে মাবুদর নামে ডাকিলে,
হে নাজাত হাছিল করবো।”
১৪ অইলে যান উপরে তারা ইমানউ আনছে না,
তানরে কিলা ডাকিবো?
আর যান বেয়াপারে তারা হুনছেউ না,
তান উপরে ইমান আনবো কিলা?
তবলিগ কররা না থাকলে,
তারা হুনবো কিলা?
১৫ আর তবলিগো কেউ না পাঠাইলে,
তারা কিলা তবলিগো যাইবো?
যেলা আল্লার কালামো বাতাইল অইছে,
“ধইন্য তারার পাও খানাইন,
যেরা আটি আটি খুশ-খবরি তবলিগ করইন।”
১৬ অইলে হকল মানষে তো ই খুশ-খবরিরে কানো ঠাই দেয় না।
হজরত ইশায়া নবীয়ে কইছইন,
“ও মাবুদ,
আমরার তবলিগ হুনিয়া কে ইমান আনছে?”
১৭ তে দেখা যার,
আল্লার কালাম হুনলে ইমান আয়,
অউ কালাম অইলো,
আল-মসীর বেয়াপারে তবলিগ।
১৮ অইলে আমি কইরাম,
বনি ইছরাইল অকলে ই কালাম হুনছে না নি?
নিচ্চয় হুনছে।
পাক কালামে কয়,
তারার আওয়াজ তো
হারা দুনিয়াইত ছিতরি গেছে,
ছিতরি গেছে তারার মাত-কথা,
দুনিয়ার এক মাথা থাকি আরক মাথা পর্যন্ত।
১৯ আমি হিরবার কইরাম,
বনি ইছরাইলে হউ কালাম বুজছইন না নি?
নিচ্চয় বুজছইন,
আল্লায় তো হজরত মুছা নবীর মাজদি তারারে কইছইন,
যেটা জাতি নাই ইলা জাতি দিয়া ইংসা করাইমু,
আম্মক জাতি দিয়া তারার গুছা তুলাইমু।
২০ বাদে ইশায়া নবীয়ে খুব সাওস করিয়া ই আয়াতো কইছইন,
আমারে যেরা তালাশ করছে না,
তারাউ আমারে পাইছে।
আমার গেছে যেরা কুন্তা চাইছে না,
তারারে আমি দিদার দিছি।
২১ অইলে বনি ইছরাইলর বেয়াপারে তাইন কইরা,
আমি আত বাড়াইয়া ডাকিরাম,
হারা দিন ধরি দুইও আতে ডাকিরাম,
নাফরমান আর পাষান এক জাতিরে ডাকিরাম।