মুর্দা থাকি জিন্দা অইয়া উঠা (১৫:১-৫৮)
ইছা আল-মসী মুর্দা থাকি জিন্দা অইছইন
১৫
 ও মুমিন ভাই অকল,
আমি আগে যে খুশ-খবরি তবলিগ করছিলাম,
হউ কথা অখন ইয়াদ করাই দিরাম।
তুমরা তো ইতা কবুল করছলায় আর ইমানে টিকিয়াও রইছো।
 আমি যে কালাম তবলিগ করছি,
ইতা যুদি তুমরা মজবুত করি ধরিয়া রাখো,
তে অউ খুশ-খবরির মাজদি নাজাত পাইরায়,
আর না পাইলে তুমরার ইমান আনাউ বেকামা।
 আসলে আমি নিজে যে তালিম পাইছি,
অউ তালিমরে খুব জরুরি মনো করিয়া তুমরারেও জানাইছি।
আল্লার কালাম মাফিক আমরার গুনার মাফির লাগি আল-মসীয়ে নিজর জান কুরবানি দিছইন।
 তানরে দাফন করা অইছিল,
আর আল্লার কালাম মাফিক মউতর তিন দিনর দিন তাইন মুর্দা থাকি জিন্দা অইছইন।
 জিন্দা অওয়ার বাদে তাইন পয়লা সাহাবি পিতররে,
বাদে তান হউ বারোজন সাহাবিরে দেখা দিছইন।
 এরবাদে তাইন একলগে পাচশোরও বেশি মুমিন ভাইরে দেখা দিছইন।
এরার মাজে কেউ কেউ মারা গেলেও,
অখনও বেশির ভাগ জিন্দা আছইন।
 এরবাদে তান ভাই ইয়াকুবরে,
বাদে হকল সাহাবিরে দেখা দিছইন।
 আর আমি তো হকলর হেশর ঝুলি-ঝাড়া পুত,
অউ আমারেও তাইন দেখা দিছইন।
 সাহাবি অকলর মাজে আমিউ হকল থাকি নগইন্য,
আমি তো সাহাবি কইয়া পরিচয় দিবার লাখ নায়,
আগে আমি আল্লার জমাতর উপরে জুলুম করতাম।
১০ অইলে অখন আমি যেলা অইছি,
ইতা আল্লার রহমতেউ অইছি।
আমার উপরে তান ই রহমত বেকামা গেছে না,
আমি অইন্য সাহাবি অকল থাকি বেশি মেনত করছি।
ই মেনত তো আমি নিজে নিজে করতাম পারছি না,
বরং আল্লার রহমতেউ ইতা করাইছে।
১১ এরলাগি আমি বা অইন্য কুনু সাহাবিয়ে যেইনউ তবলিগ করি না কেনে,
আমরা অউ একই বেয়াপারেউ তবলিগ করিয়ার,
ইতা হুনিয়া তুমরাও ইমান আনছো।
আমরা মরন বাদে জিন্দা অইমু
১২ তে আল-মসীরে মুর্দা থাকি জিন্দা করা অইছে কইয়া যেবলা তবলিগ করা অয়,
তাইলে তুমরার মাজর কেউ কেউ কেমনে কয়,
মানুষ মরিগেলে আর জিন্দা অইতা নায়?
১৩ মরন বাদে জিন্দা অইয়া উঠতে না পারলে তো,
আল-মসীও জিন্দা অইছইন না।
১৪ আর আল-মসী জিন্দা অইয়া না উঠলে তো আমরার তবলিগও বেকামা আর তুমরার ইমান আনাও বেকামা।
১৫ এমনকি অখানও বুজা যার যেন,
আল্লার বেয়াপারে আমরা যেতা তবলিগ করিয়ার ইতা মিছা,
কারন আমরার তবলিগ অইলো,
আল্লায় আল-মসীরে মুর্দা থাকি জিন্দা করছইন।
অইলে মুর্দা অকলরে যুদি জিন্দা করা না অয়,
তে তো তাইন আল-মসীরেও জিন্দা করছইন না।
১৬ আর মুর্দা অকল যুদি জিন্দা অইয়া না উঠইন,
তে তো আল-মসীও জিন্দা অইয়া উঠছইন না।
১৭ আল-মসীরে যুদি জিন্দা করা না অইয়াউ থাকে,
তে তো তুমরার ইমান বেকামা,
আর তুমরা অখনও গুনার মাজে হাবু-ডুবু খাইরায়।
১৮ তাইলে আল-মসীর তরিকার যেরার মউত অইগেছে,
তারাও তো বিনাশ অইগেছইন।
১৯ আল-মসীর উপরে আমরার যে আশা,
ই আশা যুদি খালি অউ দুনিয়াবি জিন্দেগির লাগি অয়,
তে তো হকল থাকি আমরারউ বেশি বদ নছিব।
২০ অইলে আসল কথা অইলো,
আল-মসীরে তো হাছাউ মুর্দা থাকি জিন্দা করা অইছে।
তাইনউ পয়লা ফসল,
মুর্দা থাকি যতো জনরে জিন্দা করা অইবো,
এরার মাজে তানরেউ পয়লা জিন্দা করা অইছে।
২১ বুজরায় নি,
একজন মানষর মাজদি যেলা মউত আইছে,
অলা জিন্দা অইয়া উঠাও একজন মানষর মাজদি আইছে।
২২ বাবা আদমর আওলাদ হিসাবে হকল মানষর যেলা মরন অয়,
আল-মসীর উম্মত হিসাবে অউলা হকলরে জিন্দা করা অইবো।
২৩ অইলে এর মাজে কথা আছে,
আল্লায় তান মর্জি মাফিক ধাপে ধাপে হকলতা করাইবা।
খেতো থাকি পয়লা তুলা ফসলর লাখান পয়লা ধাপো আল-মসীরে জিন্দা করা অইছে,
বাদে তাইন দুছরা বার তশরিফ আনার কালো তান উম্মত অকলরেও জিন্দা করা অইবো।
২৪ এরবাদে কিয়ামতর কালো আল-মসীয়ে দুনিয়াবি হকল শাসন,
অধিকার আর খেমতারে বিনাশ করিয়া গাইবি বাফ আল্লার আতো বাদশাই সমজাইবা।
২৫ কারন,
আল্লায় যতো সময় পর্যন্ত আল-মসীর হকল দুশমনরে তান পাওর তলাত না ফালাইন,
অতো সময় পর্যন্ত তাইন বাদশাই করতে অইবো।
২৬ আর শেষ দুশমন মউতরেও তাইন বিনাশ করবা।
২৭ পবিত্র জবুর শরিফো আছে,
“তাইন হক্কলতারেউ আল-মসীর পাওর তলাত রাখছইন।”
তে বুজা যায়,
হক্কলতারে আল-মসীর অধীনে রাখার মানি অইলো,
আল্লায় তান নিজরে বাদ রাখিয়া অইন্য হকলতারেউ আল-মসীর তলে রাখছইন।
২৮ আর হক্কলতা তান অধীনে আইয়া হারলে,
হক্কলতারে লইয়া অউ খাছ মায়ার জন ইবনুল্লাও আল্লা পাকর অধীন অইবা।
যাতে যেইন হকলতা তান অধীনে রাখছিলা,
হউ আল্লা পাকউ হক্কলতার উপরআলা অইন।
২৯ আইচ্ছা ধরো,
মুর্দা অকলর লাগি যেরা তৌবার গোছল করের,
মুর্দা অকলরে যুদি কুনুদিনউ জিন্দা করা না অয়,
তে এরার ফায়দা কিতা?
৩০ আর আমরা সাহাবি অকলও কেনে ঘন্টায় ঘন্টায় বিপদর মুখামুখি অইয়ার?
৩১ অয়,
ভাই অকল,
আমি তো পরতেক দিনউ মউতর মুখামুখি অইয়ার!
আমরার মালিক ইছা আল-মসীর নামে তুমরারে লইয়া যে বড়াই দেখাই,
অউ বড়াইর লাগিউ আমি তুমরারে ইতা জানাইরাম।
৩২ ইফিছ টাউনো জংলি জানুয়ার পালর লগে আমি যে লাড়াই করছি,
ইতা যুদি খালি দুনিয়াবি নিয়তে করিয়া থাকি,
তে আমার কুনু লাভ অইছে নি?
মুর্দা অকলরে যুদি জিন্দা করা না অয়,
তে আও,
অলা কই,
“আও,
খাও-দাও ফুর্তি করো,
কাইল তো নিচ্চিত মরন অইবো।”
৩৩ ভাইয়াইনরে,
তুমরা ভুল করিও না,
অলা এক ছিল্লেখ আছে,
“কু-সংগিয়ে ভালা মানষরেও নাটাইলায়।”
৩৪ এরলাগি তুমরা বদ নিশা থাকি হজাগ অও,
আর গুনা করিও না।
তুমরার মাজর কেউ কেউ তো স্বয়ং আল্লারেউ চিনে না,
ইতা বড় শরমর বেয়াপার।
৩৫ কুনু কুনু মানষে জিকাইতো পারে,
“মুর্দা অকল কেমনে জিন্দা অইবা?
তারার শরিলর গঠন কিলাখান অইবো?”
৩৬ হায়রে বেআখল!
তুমার নিজর খেতর মাজে যে বিচি বাইন করো,
ই বিচি না মরলে তো চেরা উঠে না।
৩৭ আর তুমার বাইন করা বিচি থাকি যে চেরা বারয়,
তুমি তো ই চেরা বাইন করো না,
তুমি খালি বিচি বাইন করো ধান বা অইন্য কুনু ফসলর,
অগু মরিয়াউ চেরা বারয়।
৩৮ বাদে আল্লায় তান মর্জি মাফিক ইতার ছুরত-আকার গঠন করইন।
তাইন পরতেক বিছরেউ তার জাত মাফিক চেরার ছুরত-আকার দেইন।
৩৯ বুজো না নি,
হকল জানদারর গোস্ত তো এক সমান নায়।
মানষর গোস্ত এক লাখান,
পশুর এক লাখান,
পাখির এক লাখান আর মাছর আরক লাখান।
৪০ অউলা আছমানোও বউত নমুনার শরিল আছে,
দুনিয়াতও বউত শরিল আছে,
তা-ও বেহেস্তি শরিলর তেজ এক লাখান,
আর দুনিয়াবি শরিলর তেজ আরক লাখান।
৪১ সুরজর তেজ এক লাখান,
চান্দর তেজ আরক লাখান আর তেরার তেজ দুছরা লাখান।
এমনকি এক তেরা থাকি আরক তেরার তেজও আলাদা।
৪২ মরন বাদে জিন্দা অইয়া উঠাও অউ লাখান।
লাশ মাটি দিয়া হারলে পচিযায়,
অইলে অউ লাশরে যেবলা জিন্দা করা অইবো,
ইটা আর পচতো নায়।
৪৩ অসম্মানি হালতে মাটি দেওয়া অয়,
সম্মানি হালতে তুলা অইবো।
মাটি দেওয়া অয় দুর্বল হালতে,
আর তুলা অইবো বলবান হালতে।
৪৪ মাটি দেওয়া অয় রক্ত-মাংসর শরিল,
অইলে তুলা অইবো রুহানিক শরিল।
রক্ত-মাংসর শরিল যেবলা আছে,
তে তো রুহানিক শরিলও আছে।
৪৫ যেলা বাবা আদমর বেয়াপারে পবিত্র তৌরাত শরিফো আছে,
“অউ পয়লা আদম জিন্দা জানদার অইলা।”
তে শেষ আদম,
যেইন আল-মসী,
তাইন কিতা অইলা?
তাইন তো অইলা জিন্দেগি দেওরা রুহ।
৪৬ অইলে রুহানিক যে শরিল,
ইখান তো পয়লা অয় না,
পয়লা অয় রক্ত-মাংসর শরিল,
বাদে অয় রুহানিক শরিল।
৪৭ যেলা পয়লা আদম মাটি থাকি আইলা,
বাদে দুছরা আদম,
আল-মসী আইলা বেহেস্ত থাকি।
৪৮ জগতর মানুষ অইলা অউ মাটির বানাইল মানষর লাখান,
আর বেহেস্তি মানুষ অইলা হউ বেহেস্তি জন আল-মসীর লাখান।
৪৯ তে বাবা আদমর লাখান আমরা যেলা মাটির কায়ার ছুরত পাইছি,
ঠিক অউলা হউ বেহেস্তি জনর লাখান বেহেস্তি ছুরতও পাইমু।
৫০ ভাইয়াইনরে আমি তুমরারে কইরাম,
রক্ত-মাংসর কুনু শরিল আল্লার বাদশাইর অধিকার পায় না।
যেতার বিনাশ আছে,
ইতা কুনুমন্তেউ চিরস্থায়ী বনে না।
৫১ তে আমি তুমরারে একটা বাতুনি কথা জানাইরাম,
জানো নি,
আমরা হকলর তো মউত অইতো নায়,
অইলে হকলরউ ছুরত বদলিযিবো।
৫২ কিয়ামতর কালো এক মুহুর্তর মাজে,
চখুর পলকে,
শিংগাত ফু দেওয়ার লগে লগেউ আমরা বদলিযিমু।
অউ শিংগা বাজিয়া হারলে,
হকল মুর্দা অলা ছুরতে জিন্দা অইবা,
যেতা কুনুদিন বিনাশ অইতো নায়,
আর আমরাও হউ ছুরতে বদলিযিমু।
৫৩ এরলাগি যে শরিল বিনাশ অইযায়,
ইতায় অলা ছুরত পাইতে অইবো,
যেতা কুনুদিন পচিতো নায়,
আর যেতা মরিযিবো,
ইতায় অলা ছুরত পাইতে অইবো,
যেতা কুনু দিন মরতো নায়।
৫৪ আর যে শরিল পচিযায়,
ই শরিলে যেবলা চিরস্থায়ী ছুরত পাইবো,
যে শরিলর মউত অয়,
ইতায় যেবলা চিরকালিন জিন্দেগি পাইবো,
হউ সময় আল্লার কালামর অউ লেখা ফলিবো,
 
মউতর বিনাশ অইয়া জয় আইছে।
৫৫ ও মউত,
তোর জয় কুয়াই?
মউতরে,
তোর বিষ-দাত কুয়াই?
 
৫৬ মউতর বিষ-দাত অইলো গুনা,
আর গুনারে খেমতা যুগায় মুছা নবীর শরিয়ত।
৫৭ অইলে আল্লা পাকর শুকরিয়া আদায় করি,
আমরার মালিক ইছা আল-মসীর উছিলায় তাইন আমরারে জয় দান করইন।
৫৮ তে,
ও আমার মায়ার ভাইয়াইন,
তুমরা ইমানে মজবুত অও,
যাতে কুন্তায় তুমরারে আলাইতো না পারে।
মালিকর খেজমতর লাগি নিজরে হর-হামেশা পুরাপুর বিলাই দেও,
তুমরা তো জানো,
তান লাগি মেনত করলে ই মেনত কুনুমন্তেউ বেকামা যায় না।