আসলে আমি বুজাইতাম চাইরাম,
বাফর হকল ধন-ছামানাত আওলাদর এখতিয়ার থাকলেও,
হে যতদিন নাবালিক রয় অতদিন আওলাদ আর গুলামর মাজে কুনু তফাত মিলে না।
 তার বাফে যে সময়র কথা অছিয়ত করি যাইন,
অতদিন হে তার মুরব্বি বা জিম্মাদারর আওতায় রইতে অয়।
 অউ লাখান আমরাও যেবলা নাবালিক আছলাম,
হউ সময় দুনিয়ার নানান চাল-চলনর গুলাম আছলাম।
 অইলে সময় পুরা অইয়া হারলে,
আল্লায় তান খাছ মায়ার জনরে বেজিলা।
তাইন একজন নেক আওরতর পেটো জনম লইয়া,
শরিয়তর হুকুম-আহকাম মাফিক জিন্দেগি কাটাইলা।
 যাতে শরিয়তর আওতায় থাকা মানষরে আজাদ করতা পারইন,
আর আমরারেও আল্লার আওলাদ বনার এখতিয়ার দেইন।
 এরদায় তুমরা আল্লার আওলাদ বনিযাওয়ায় তুমরার দিলো বসত করার লাগি,
আল্লায় তান খাছ মায়ার জনর রুহরে বেজিছইন।
তুমরার দিলর অউ রুহে তো আল্লা পাকরে আব্বা কইয়া ডাকইন।
 গতিকেউ তুমরা গুলাম রইছো না,
আওলাদ বনিগেছো;
আর আওলাদরে আল্লায় যেতা দেওয়ার ওয়াদা করছিলা,
অখন তুমরা এওতার মালিকানাও পাইছো।
ইমানে মজবুত আর খাটি অও
 আগে তুমরা যেবলা আল্লা পাকরে চিনতায় না,
হউ সময় তুমরা যেতার গুলামি করতায়,
ইগুইন তো আসলে কুনু দেবতাউ নায়।
 অইলে অখন তো আল্লারে চিনছো;
আসলে আল্লায়উ তান নিজর পরিচয় দিছইন।
তে তুমরা কিলা হিরবার দুনিয়াবি হউ কমজুর আর বাতিল চাল-চলনর বায় ফিরিযিরায়?
আরকবার অতার গুলাম বনতায় চাইরায় নি?
১০ তুমরা হিরবার অমুক আর তমুক দিন,
মাস,
রিতু আর বছররে মানরায়।
১১ এরদায় আমার ডর করের,
তুমরার তলে আমার অতো মেনত নি মাটি অইযায়।
১২ ও ভাই অকল,
আমি তুমরারে মিনত করিয়ার,
আমি যেলা তুমরার লাখান অইগেছি,
তুমরাও অলা আমার লাখান অও।
তুমরা তো অতদিন আমার কুনু খেতি করছো না।
১৩ তুমরার জানা আছে,
আমার শরিলো বেমার অওয়ায়,
আমি তুমরার গেছে পয়লা বার খুশ-খবরি তবলিগর সুযোগ পাইছলাম।
১৪ আমার বেমারর দায় তুমরার কষ্ট অইলেও,
তুমরা তো ঘিন বা এলা করিয়া আমারে ফালাইছো না।
বরং আল্লার কুনু ফিরিস্তা বা ইছা আল-মসীরে যেলাখান কবুল করতায়,
অউ লাখান আমারেও কবুল করছো।
১৫ অইলে অখন তুমরার দিলর হি এশকি গেল কুয়াই?
আমি তো তুমরার বেয়াপারে অখানউ কইতাম পারি,
হউ সময় পারলে তুমরা নিজর কইলজা খুলিয়া আমারে দিলাইলায় অনে।
১৬ তে তুমরার গেছে হক কথা মাতায়,
আমি অখন দুশমন অইগেলাম নি?
১৭ হুনো,
অউ যেগুইন্তে তুমরার খুজ-খবর লইরা,
অগুইন তো বদ নিয়তে আইরা।
তারা চাইন,
তুমরারে আমার বায় থনে ফিরাইয়া,
তারার আশিক বানাইতা।
১৮ ভালা নিয়তে অলা করলে ফায়দা অইলো অনে।
অইলে আমি যেবলা তুমরার ছামনে আই,
খালি অউ সময় নায়,
নেক নিয়তে হর-হামেশা খুজ-খবর লওয়া ভালা।
১৯ ও আমার পিয়ারা আওলাদ অকল,
তুমরা যতদিন আল-মসীর লাখান না বনছো,
অতদিন আমি হিরবার তুমরার লাগি হুরুতা পয়দার বিষর লাখান ছটফট কররাম।
২০ আমার মনে চার,
অউ পয়গাম লেখা বাদ দিয়া অখনউ আমি নিজে তুমরার গেছে আইয়া,
ঠান্ডা মাথায় বাতচিত করতাম।
তে তুমরারে লইয়া কিতা করতাম কুন্তা বুজরাম না।
বিবি ছায়রা আর বান্দি হাজেরা থাকি তালিম
২১ তুমরা যেরা মুছার শরিয়তর গুলামি করতায় চাও,
তুমরা কওছাইন,
শরিয়তে যেতা কয় ইতা তুমরার কানো হামায় না নি?
২২ আল্লার কালামে বাতায়,
ইব্রাহিম নবীর দুই পুয়া আছলা,
পয়লা পুয়া বান্দি বেটি হাজেরার তরফা আর দুছরা পুয়া আসল স্বাধীন বিবি ছায়রার তরফা।
২৩ বান্দি বেটির তরফা পুয়ার জনম অইছিল দুনিয়ার নিয়মে,
অইলে আসল স্বাধীন বিবির পুয়ার জনম অইছিল আল্লা পাকর ওয়াদায় কুদরতি বলে।
২৪ ই মাতর মানি অইলো,
অউ দুই বেটি অইলা দুইটা নিয়ম।
এক নিয়ম তুর পাড় থনে আইছে,
ইটায় তার খেজমত কররা মানষরে গুলামির পথে টানে;
এইন অইলা বান্দি হাজেরা।
২৫ অউ হাজেরা মানি আরব দেশর তুর পাড়।
আর হাজেরা অইলা অউ জগতর জেরুজালেম টাউনর এক নমুনা,
জেরুজালেম টাউনে তো তার পুয়া-পুড়িনরে লইয়া বান্দি বনছে।
২৬ অইলে আছমানি যে জেরুজালেম,
এইন তো স্বাধীন;
এইনউ আমরার মা।
২৭ আছমানি কিতাবে কয়,
“ও নিআওলাদি বেটি,
যার কুনু হুরুতা অইছে না,
তুমি খুশির গজল গাও।
হুরুতা পয়দার বিষে যারে ধরছে না,
তুমি গলা ফাটাইয়া জুরে জুরে গজল গাও।
জামাইর ঘরর বউর চাইতেও,
যার কেউ নাই তাইর বউত বেশি আওলাদ অইবা।”
২৮ ভাই অকল,
এরদায়উ তুমরার জনম অইছে আল্লার ওয়াদার ইছহাকর লাখান।
২৯ অইলে হউ সময় দুনিয়ার নিয়মে যার জনম অইছিল,
হে জুলুম করতো অউ জনরে,
যেইন জনম লইছইন আল্লার পাক রুহর বলে;
আর অখনও অউলা জুলুম অর।
৩০ এরদায় দেখো,
আল্লার কালামে কয়,
“বান্দিরে আর তাইর পুয়ারে বাড়ি থনে খেদাই দেও;
বান্দির তরফা পুয়ায় কুনুমন্তেউ আসল বিবির পুয়ার লগে,
ধন-ছামানার বাট পাইতো নায়।”
৩১ তে ও ভাই অকল,
অউ আয়াতে বুজা যায়,
আমরা বান্দির আওলাদ নায়,
আমরা তো আসল স্বাধীন বিবির ঘরর আওলাদ।