পবিত্র ইঞ্জিল শরিফ ১০ নম্বর ছিপারা
আল-ইফিছিয়া
 আমি পাউলুছ,
আল্লা পাকর মর্জি মাফিক হজরত ইছা আল-মসীর একজন সাহাবি।
ইফিছ টাউনর মাজে আল-মসীর তরিকার পাক বন্দা আর মুমিন অকলর গেছে আমি পাউলুছে অউ ছহিফা খান লেখরাম।
 আমরার গাইবি বাফ আল্লা পাকে আর হজরত ইছা আল-মসীয়ে আপনারা হকলর উপরে রহমত আর শান্তি নাজিল করউক্কা।
হজরত ইছা আল-মসীর মাজেউ রহমত
 আল্লা পাকর তারিফ অউক,
তাইনউ ইছা আল-মসীর আল্লা আর তান গাইবি বাফ,
আর অউ হজরত ইছাউ আমরার মালিক।
আল্লা পাকে তো আল-মসীর উছিলায় আছমানর পরতেক নমুনার রুহানি রহমত আমরারে দান করছইন।
 আল্লা পাকর দরবারো আমরা যাতে পাক-পবিত্র আর নিখুত অইতাম পারি,
অউ খিয়ালে তাইন ই দুনিয়া পয়দার আগেউ,
নিজর মায়া-মহব্বতে আল-মসীর উছিলায় আমরারে পছন্দ করছইন।
 আল্লায় তান নিজর মর্জি আর নিজর খুশিয়ে আগেউ ঠিক করিয়া রাখছইন,
যাতে ইছা আল-মসীর উছিলায় আমরারে তান আপন আওলাদ হিসাবে কবুল করবা।
 আল্লায় ইতা করছইন,
যাতে তান খাছ মায়ার জন ইছার উছিলায় আমরারে যতো পরিমানে রহমত আর মহিমা দান করছইন,
অতায় তান তারিফ অয়।
 আল-মসীর পবিত্র কুরবানির উছিলায় তান লউর বদলা আমরা গুনার সাজা থাকি খালাছ পাইছি,
আমরা অউ মাফি পাইছি,
ইতা তো আল্লা পাকর খাছ রহমত।
 অউ রহমত তো আল্লায় তান খাছ আখল-হেকমতে আমরার উপরে ঢালিয়া দিছইন।
 তাইন আগে থাকি যেলাখান খিয়াল করছলা,
আল-মসীর মাজদি যেতা করার নিয়ত করছিলা,
অউ খিয়াল-খুশির হক্কল বাতুনি বেয়াপার তাইন আমরারে জানাইছইন।
১০ তাইন তো আগেউ অখান ঠিক করিয়া রাখছিলা,
যাতে সময় পুরা অইয়া হারলে,
তান আপন মর্জি মাফিক আছমান-জমিনর হক্কলতারে একখানো করিয়া,
আল-মসীর আওতায় আনবা।
১১ আল্লায় তান নিজর আখল-ইনছাফ দিয়া নিজর মর্জি মাফিক হকল কাম করইন।
তান মুনশা মাফিক তাইন আগেউ যেতা ঠিক করিয়া রাখছিলা,
হউ মুনশা মাফিক তাইন আমরারেও পছন্দ করছইন আল-মসীর উছিলায় তান খাছ বন্দা অওয়ার লাগি।
১২ এরলাগি আমরা যেরা আগ থাকিউ আল-মসীর উপরে ভরসা করতাম,
অউ আমরার মাজদিউ যাতে আল্লার গৌরব-মহিমার তারিফ অয়,
অউ খিয়ালেউ তাইন আমরারে পছন্দ করছইন।
১৩ আর আপনারাও আল্লার হক কালাম,
মানি নাজাতর খুশ-খবরি পাইয়া আল-মসীর উপরে ইমান আনছইন।
আল-মসীর উম্মত অওয়ায় আল্লা পাকে তান ওয়াদা করা পাক রুহ দিয়া আপনাইন্তরে সীল-চাপ্পড় মারছইন।
১৪ তে যেতা মানষরে আল্লা পাকে তান নিজর সম্পদ কইয়া ডাকিছইন,
এরারে তাইন একটা অধিকার দিবার ওয়াদা করছইন।
এরলাগি যতদিন পর্যন্ত এরা পুরাপুর খালাছ না অইছইন,
অতদিন পর্যন্ত অউ অধিকারর পয়লা কিস্তি হিসাবে এরারে পাক রুহ দান করছইন।
আর অউ হক্কলতার মাজদি আল্লার গৌরব-মহিমার তারিফ অইবো।
হজরত পাউলুছর শুকরিয়া আর মুনাজাত
১৫ তে হজরত ইছার উপরে আপনারা ইমান আনছইন আর আল্লার হকল বন্দারেউ আপনারা মায়া-মহব্বত কররা,
অউ খবর আমি যেবলা হুনলাম,
১৬ হুনার বাদ থাকিউ,
আমি আপনারার লাগি আল্লার দরবারো শুকরিয়া আদায় করা কুনু সময়ও বন্দ করছি না।
আমি যেবলা মুনাজাত করি,
ই সময় আপনাইন্তর কথা ফাউরি না।
১৭ আমি আল্লার দরবারো আরজ করি,
আমরার মালিক ইছা আল-মসীর আল্লায়,
জালাল আর শান আলা গাইবি বাফে আপনাইন্তরে রুহানি আখল আর বুজার খেমতা দেউক্কা।
তেউ আপনারা আরো ভালামন্তে তানরে চিনবা।
১৮ আমি আরো মুনাজাত করিয়ার,
আপনারার দিলর চউখ খুলি যাউক,
তেউ আল্লাই দাওত পাইয়া আপনারার দিলর মাজে যে এশকি পয়দা অইছে অতা আরো ভালামন্তে বুজবা।
এরলগে এওখানও বুজতা পারবা,
আল্লার দরবারো তান পাক বন্দা অকল কতো বড় সম্পত্তি।
১৯ আর আমরা যেরা তান উপরে ইমান আনছি,
আমরার দিলর মাজে কতো বড় শক্তিয়ে কাম করের।
ই শক্তি অইলো,
তান কুদরতর মহাশক্তি।
২০ অউ শক্তির বলেউ তাইন আল-মসীরে মরা থাকি জিন্দা করছইন,
আর বেহেস্তর আরশে-আজিমো তান ডাইনর তখতো নিয়া বওয়াইছইন।
২১ আছমানর হক্কল নমুনার খেমতা,
শাসন,
শক্তি,
আর বাহাদুরি যারার আতো আছে,
এরা হকলরেউ তাইন আল-মসীর তলে রাখছইন।
আর যারে যে নামেউ ডাকা অয় না কেনে,
ইতা ই জগতর অউক বা আখেরি জগতর অউক,
হক্কল নামর উপরে ইছা আল-মসীর নাম।
২২ আল্লায় হক্কলতারেউ আল-মসীর আওতায় রাখছইন।
মানষর মাথা যেলা তার শরিলর বাদশা,
আল-মসীরে অলা জমাতর মাথা,
মানি বাদশা হিসাবে বওয়াল করছইন।
২৩ আর ই জমাত অইলোগি আল-মসীর শরিল।
যেইন আছমান-জমিনর হক্কলতারে ষোলআনা পুরাপুর করছইন,
অউ আল-মসীয়ে জমাতরে পুরাপুর করইন।