২
১ আমি তুমরারে জানাইতাম চাইরাম,
আমি তো তুমরার লাগি,
লাওদিকেয়া টাউনর জমাতর লাগি,
আর যেরা আমারে দেখছে না তারার লাগিও কতো মেনত কররাম।
২ আমি চাইরাম,
তারার দিলো ভরসা পাইয়া মহব্বতে এক অউক।
আর পুরাপুর আখলে আখলদার বনিয়া নিচ্চিত অউক।
তেউ আল্লার লুকাইল বাতুনি ভেদ বুজবো,
মানি আল-মসীরে তারা চিনবো।
৩ আল-মসীর মাজেউ হকল আখল-হেকমত লুকাইল আছে।
৪ আমি ইতা কইলাম,
যাতে কেউ বানোয়াট মাত-কথা মাতিয়া তুমরারে বে-পথে নিতো না পারে।
৫ আমি স-শরিলে তুমরার মাজে না থাকলেও রুহর বলে ঠিকউ তুমরার মাজে আজির আছি।
তুমরার ভালা চাল-চলন আর আল-মসীর উপরে মজবুত ইমান দেখিয়া আমার খুব ভালা লাগের।
আল-মসীর মাজেউ আসল জিন্দেগি
৬ ইছা আল-মসীরে তুমরা মালিক হিসাবে যেলা কবুল করছো,
অউ লাখান তান লগে রইয়া জিন্দেগিও কাটাও।
৭ আল-মসীর মাজে ষোলআনা ডুব দিয়া তুমরার জিন্দেগিরে গড়িয়া তুলো।
তুমরা তালিম পাইয়া যে ইমান আনছো,
অউ ইমানে মজবুত রও আর হামেশা আল্লা পাকর শুকরিয়া আদায় করো।
৮ তুমরা হুশিয়ার রইও,
কেউ যানু তুমরারে মানষর বানাইল মনগড়া তালিমদি বান্দিয়া বে-পথে টানিয়া নিতো না পারে।
আল-মসীর লগে ই তালিমর কুনু মিল নাই,
ইতা তো মানষর মনগড়া রছুমত আর দুনিয়াবি নানান আচার-বেবহারর উপরে ভরসা করে।
৯ আল্লার হক্কল লাখান গুনাগুন আল-মসীর কায়ার ভিতরে আছে।
১০ এরলাগি আল-মসীর লগে শরিক অইয়া তুমরাও হকল গুনে কামিল অইছো,
তান আসন তো হকল নমুনার শাসনকারি আর খেমতাআলা হক্কলতার উপরে।
১১ আল-মসীর উপরে ইমান আনায় তো তুমরারে মছলমানি কাম করাইল অইছে।
অউ মছলমানি কুনু মানষর আতে করাইল অইছে না,
আল-মসীয়ে নিজেউ ইতা করছইন,
মানি দিলর মাজে যে বদ খাইশ আছিল,
অউ বদ খাইশরে দিল থাকি কাটিয়া ফালাইছইন।
১২ তৌবার গোছলর মাজদি আল-মসীর লগে তুমরারেও মাটি দেওয়া অইছিল,
আর যেইন আল-মসীরে মুর্দা থাকি জিন্দা করছইন,
হউ আল্লার কুদরতি বলে ইমানর মাজদি তুমরারেও আল-মসীর লগে জিন্দা করা অইছে।
১৩ তুমরার গুনা আর দিলর বদ খাইশ না হরানিয়ে মুর্দা আছলায়,
অইলে আল্লায় তুমরারে আল-মসীর লগে জিন্দা করছইন।
তাইন আমরার হকল গুনার মাফি দিছইন।
১৪ আর আমরার বদ আমল-নমার যে দলিল আছিল,
অউ দলিলরে হকল জাতর দাবি-দাওয়া সুদ্দা ফুছিয়া ফালাইছইন।
লাকড়িদি বানাইল যে সলিবো ইছারে কাতল করা অইছে,
অউ সলিবো ই দলিলরে পেরেগ মারিয়া বাতিল করছইন।
১৫ আল-মসীয়ে বদ শাসনকারি আর খেমতাআলা হক্কলর খেমতারে বিনাশ করছইন।
সলিবো তান নিজর জান কুরবানির মাজদি তারার উপরে জয়ী অইছইন আর হকলর ছামনে তারার মুখ নিচা করছইন।
নকল তালিমর বেয়াপারে হুশিয়ারি
১৬ এরলাগিউ শিন্নি-সখাত,
পুজা-ফসাদ অমাবইস্যা-পুন্নিমা,
ইদ বা জুম্মাবারর নিয়ম-কানুন লইয়া তুমরারে দুষি করার এখতিয়ার কেউরর নাই।
১৭ ইতা তো আছিল,
ভবিষ্যতে যেতা আইবো অতার একটা নমুনা মাত্র,
অইলে আসলতা তো আল-মসীর মাজেউ আছে।
১৮ যেরা নিজর শরিলরে কষ্ট দেওয়া আর ফিরিস্তা অকলর এবাদত করারে জরুরি মনো করে,
এরা যানু তুমরারে পুরুস্কারর পথ থাকি হরাইতো না পারে।
অউ নমুনার মানষে যেতা দেখছে কইয়া খামোখা বড়াই-বেটাগিরি করে,
আর অতা লইয়া বড় বড় গফ মারে,
আসলে এরার অন্তর তো খালি দুনিয়াবি চিন্তায় ভরা।
১৯ তারা তো মাথারে,
মানি ইছা আল-মসীরে মজবুত করি ধরিয়া রাখে না,
অউ মাথার খেমতায় আস্তা শরিলর আড্ডি-মাংস বল-শক্তি পাইয়া একখানো রয়,
আর আল্লাই বলে বাড়ে।
২০ আল-মসীর লগে মারা গিয়া তুমরা যেবলা দুনিয়াবি হকল চাল-চলন থাকি হরিয়া আইছো,
তে হিরবার কেনে দুনিয়াবি মানষর লাখান দুনিয়াবি নিয়ম-নীতির গুলাম অইরায়?
২১-২২ হুনো,
যে জিনিস বেবহার করতে করতে বরবাদ অইযায়,
অউ জিনিসর বেয়াপারে অলা নিয়ম আছে,
ইতা ধরিও না,
ছইও না,
খাইও না।
ইতা তো খালি মানষর মনগড়া হুকুম আর তালিম।
২৩ কেমনে এবাদত করা,
নিজরে নিচা করা,
কেমনে নিজর শরিলরে কষ্ট দেওয়া,
অউ নিয়ম-নীতিয়ে অতা হিকায়।
ই নিয়ম-নীতি দেখলে মনো অয়,
ইতা খুব আখলর কাম,
অইলে দিলর বদ খাইশরে দমন করার লাগি ইতার কুনু দামউ নাই।