দুই লাখান এবাদত খানা
 আল্লার লগে মানষর মিলনর পয়লা উছিলার মাজে,
আল্লার এবাদতির লাগি নানান নমুনার নিয়ম-কানুন আছিল,
আর দুনিয়াত এবাদত করার লাগি একখান এবাদত খানার কথাও লেখা আছিল।
 হউ নিয়ম মাফিক একখান এবাদত-তাম্বু বানাইল অইছিল,
হি এবাদত-তাম্বুর পয়লা কুঠাত আছিল চেরাগ দানি,
পবিত্র রুটি আর ইতা রাখার টেবুল।
ই কুঠার নাম আছিল পাক জাগা।
 দুছরা পর্দার ভিতরে খাছ পাক জাগা নামে আরক কুঠা আছিল,
ইখান অইলো হেরেম শরিফ।
 ই কুঠার মাজে আছিল,
সোনাদি বানাইল আগর-খুশবয় জালানি টেবুল,
সোনাদি লেপা শাহাদত সন্দুক,
সন্দুকর ভিতরে আছিল সোনার বৈয়ামো ভরা কুদরতি খানি মান্না,
ইমাম হারুনর লাঠি,
অউ লাঠিত কুদরতি ফুল ফুটিছিল।
আরো আছিল আল্লার লগে মিলনর উছিলা লেখা হউ দুইও শাহাদত পাথর।
 হি সন্দুকর উপরে আছিল আল্লার জালালি দুইও কারুবী,
এরার ডাখনার ছায়ার তলর ছানিত গুনার কফরা আদায় করা অইতো।
ইতা হক্কলতার খুটিনাটি বয়ান করা অখন জরুর নায়।
 ই হক্কলতা জুইত করার বাদে ইমাম অকলে ইমামতি কামর লাগি হামেশা পয়লা কুঠার ভিতরে হামাইতা।
 অইলে দুছরা কুঠাত,
মানি খাছ পাক জাগাত খালি পরধান ইমাম বছরো একবারউ হামাইতা পারতা,
তাইনও কুরবানির লউ বিনা হিনো হামাইতা পারতা না।
তান নিজর গুনা আর তান কউমর না-জানা হকল গুনার মাফির লাগি,
কুরবানির লউ লইয়া হনো হামাইতা।
 তে পাক রুহে দেখাইয়া দিরা,
ই দুনিয়ার পয়লা এবাদত খানা যতদিন কাইম আছে,
অতদিন হি খাছ পাক জাগাত হামানির পথ খুলা অইতো নায়।
 হি এবাদত খানা অইলো ই জমানার লাগি এক নিশানা,
ই নিশানায় আমরারে বাতাই দেয়,
অউ লাখান কুরবানি আর লিল্লা-ছদগায় এবাদতকারির বিবেকর খুতখুতি ভাব দুর করতো পারে না।
১০ ইতা তো খালি খাওয়া-দাওয়া,
অজু-গোছলর বেয়াপার,
হক্কলতাউ খালি জাইরা শরিয়ত,
দিলর কুন্তা নায়।
ই শরিয়ত কাইম আছিল,
আরো ভালা কুনু উছিলা আইবার আগ পর্যন্ত।
১১ অইলে অখন যতো ভালা ভালা বেয়াপার আইছে,
আল-মসী তো অউ নয়া তরিকার পরধান ইমাম অইছইন।
তাইন আরো ইজ্জতি আরো বেশি কামিল এবাদত খানা অইয়া আইছইন।
ই এবাদত খানা কুনু মানষর আতর বানাইল নায়,
ইখান ই দুনিয়ার দুনিয়াবি কুন্তা নায়।
১২ কুনু বিছাল বা ছাগলর লউ আতো লইয়া তাইন হিনো হামাইছইন না।
খালি তান নিজর জান কুরবানির লউ দিয়া একবারউ খাছ পাক জাগাত হামাইছইন,
হামাইয়া আমরারে হর-হামেশাকুর লাগি খালাছ করছইন।
১৩ আগে যেরা নাপাক বনিযিতো,
তারার লাগি বিছাল বা ছাগলর লউ আর ডেকি-গরুর জালাইল ছালি ছিটাইয়া পাক-ছাফ করা অইতো,
অইলে ইতায় তো এরার শরিলর বাইরগালা খালি পাক-ছাফ অইতো।
১৪ তে যেইন হর-হামেশাকুর জিন্দা রুহর মাজদিয়া,
বে-গুনা কুরবানি অইয়া তান নিজর জানরে আল্লার নামে সপিয়া দিলাইছইন,
হি আল-মসীর লউয়ে আমরার দিলরে নাপাকি কাম-কাজ থাকি আরো কত বেশি পরিমানে পাক-ছাফ করবো,
যাতে আমরা জিন্দা আল্লার এবাদত-বন্দেগি করতাম পারি।
১৫ আর পয়লা উছিলা চালু থাকতে মানষে যেতা গুনা করছলা,
অউ গুনার আত থাকি খালাছ করার নিয়তে,
কফরা হিসাবে আল-মসীর মউত অইছে।
আল্লায় যেরারে দাওতদি আনিয়া চিরকালিন মৌরসি সম্পদ দিবার ওয়াদা করছইন,
আল-মসী তো এরার লাগিউ নয়া উছিলার জিম্মাদার অইছইন।
অউ মৌরসি সম্পদ অখন মানষে পাইবার সুযোগ অইছে,
১৬ কারন দুনিয়াবি নিয়মে মৌরসি সম্পদর কুনু অছিয়ত-নামা কামো লাগাইতে অইলে,
পয়লা অউ অছিয়ত কররার মউত অইছে করি পরমান দরকার অয়।
১৭ মানষর মউতর বাদে তার অছিয়ত-নামা কামো লাগে,
অছিয়ত কররা জিন্দা থাকতে ইতা কুনু কামো লাগে না।
১৮ ঠিক অউ লাখানউ,
আল্লার লগে মিলনর পয়লা উছিলাও,
মউতর লউ ছাড়া কামো লাগাইল অইছে না।
১৯ হজরত মুছায় শরিয়তর তামাম হুকুম-আহকাম বনি ইছরাইলরে জানানির বাদে,
তাইন বিছাল আর ছাগলর লউর লগে পানি মিশাইলা,
বাদে লাল রং করা মেড়ার রুমা আর এছুব গাছর ডেটাদি আল্লাই শরিয়ত কিতাবর উপরে,
আর হক্কল মানষর গতরো ছিটাইয়া দিলা।
২০ মুছায় কইলা,
“ই লউ অইলো আল্লাই মিলনর হউ উছিলার লউ,
যে উছিলা মাফিক চলার লাগি আল্লায় তুমরারে হুকুম দিছইন।”
২১ অউ নমুনায় তাইন এবাদত খানা আর এবাদতি কামর হক্কল মাল-ছামানার উপরেও লউ ছিটাইয়া দিলা।
২২ আসল কথা অইলো,
মুছার শরিয়ত মাফিক বেশির ভাগ জিনিসউ লউ দিয়া পাক-ছাফ অইতে অয়,
কুরবানির লউ ছাড়া কুনুমন্তেউ গুনার মাফি পাওয়া যায় না।
হজরত ইছাউ তামাম গুনার কফরা
২৩ যেতা জিনিস অকল খালি বেহেস্তি জিনিসর নিশানা,
অতারে কুরবানির পশুর লউদি পাক-ছাফ করা জরুর আছিল,
অইলে যেতা জিনিস আসল বেহেস্তি,
ইতারে পাক-ছাফ করার লাগি তো আরো মহান কুরবানির জরুর।
২৪ আর আল-মসী তো হউ নিশানার জিনিসর লাখান,
মানষর আতর বানাইল কুনু পাক জাগাত হামাইছইন না,
তাইন খালি আসল বেহেস্তো হামাইছইন,
যাতে আমরার নাজাতর লাগি আল্লার ছামনে অখন আজির অইতা পারইন।
২৫ হকল পরধান ইমামে কুরবানির পশুর লউ লইয়া যেলা পরতেক বছর খাছ পাক জাগাত হামানি লাগে,
আল-মসী তো ই লাখান বারে বারে কুরবানি অওয়ার লাগি বেহেস্তো তশরিফ নিছইন না।
২৬ ই লাখান অইলে তো দুনিয়া পয়দা থাকি অখন পর্যন্ত তাইন বারে বারে কষ্ট পাইয়া কুরবানি অইতে অইলো অনে।
অইলে তাইন তো আখেরি জমানাত আইয়া খালি একবারউ জাইর অইছইন,
যাতে নিজরে কুরবানি দিয়া তামাম গুনার কফরা অইন।
২৭ আল্লায় তো ঠিক করিয়া দিলাইছইন,
হক্কল মানষর খালি একবার মরন অইবো,
আর মরন বাদে বিচার।
২৮ ঠিক অউ লাখান,
বউত মানষর গুনার বোঝা বইবার লাগি আল-মসীরেও খালি একবারউ কুরবানি দেওয়া অইছে।
তাইন দুছরা বার তশরিফ আনবা,
অইলে গুনার কফরা বনার লাগি আইতা নায়।
খালি যেরা তান আশিক অইয়া বার চার,
তারারে পুরাপুর নাজাত করার লাগি দুছরা বার আইবা।