হজরত ইছার চিরকালিন কুরবানি
১০
১ শরিয়ত অইলোগি খালি এক নিশানা,
ইতায় ভবিষ্যতর নিয়ামতর কথা বাতাই দেয়,
ইটা তো আসল কুনু বেয়াপার নায়।
এরলাগিউ যেরা আল্লার এবাদত করার খিয়ালি অয়,
শরিয়তর নিয়মে তারা বছর বছর একই লাখান কুরবানি দিয়া তো কুনুমন্তেউ কামিল অইতো পারে না।
২ শরিয়তে যুদি তারারে পুরাপুর কামিল বানাইলিতো,
তে তো পশু কুরবানি দেওয়া একবারেউ বন্দ অইগেল অনে।
এবাদত কররা অকল যুদি একবারেউ পাক-ছাফ বনিযিতো,
তে এরা নিজরে আর গুনাগার মনো করলো না অনে।
৩ অইলে অউ পশু কুরবানিয়ে তারারে পরতেক বছর ইয়াদ করাইয়া দেয় যেন,
তারা আসলে গুনাগার।
৪ মুলত,
ছাগল বা বিছালর লউয়ে মানষর গুনারে কুনু লাখানউ ছাফ করতো পারে না।
৫ এরলাগিউ আল-মসীয়ে দুনিয়াত তশরিফ আনার কালো আল্লার দরবারো কইছইন,
পশু কুরবানি বা দান-ছদগা তো আসলে তুমি চাও না,
অইলে আমারে একখান কায়া দিছো বিলাই দিবার লাগি।
৬ জালাইল কুরবানি বা গুনার কফরার কুরবানিয়ে
তুমি তো খুশি অইছো না।
৭ তেউ আমি কইলাম,
ও আল্লা,
দেখউক্কা,
আমি তো অনো আইছি;
তুমার কালাম শরিফো যেলা আছে,
আমার জনম অইবো অউ জগতো,
তুমার মুনশারে কাইম করার লাগি,
আর হাছাউ আমি আইছি।
৮ উপরর আয়াত অকলর মাজে আল-মসীয়ে পয়লা কইরা,
“পশু কুরবানি বা দান-ছদগা তো আসলে তুমি চাও না,
জালাইল কুরবানি বা গুনার কফরার কুরবানিয়ে তুমি তো খুশি অইছো না।”
শরিয়তর হুকুম মাফিক অউ কুরবানি অকল আদায় করা অইলেও,
আল-মসীয়ে অলা কইলা।
৯ বাদর আয়াতো তাইন হিরবার কইলা,
“দেখউক্কা,
আমি তো অনো আইছি,
তুমার মুনশারে কাইম করার লাগি।”
তে বুজা যায়,
দুছরা উছিলারে কাইম করার নিয়তে,
তাইন পয়লা উছিলারে বাতিল করিলিলা।
১০ এরলাগি আল্লা পাকর হউ মুনশা মাফিক ইছা আল-মসীর কায়ারে খালি একবারউ কুরবানি দেওয়া অইছিল,
অউ কুরবানির বলে আল্লার দরবারো আমরারে পাক-ছাফ করা অইছে।
১১ পরতেক ইমাম ছাবে পরতিদিন আজির অইয়া আল্লার এবাদতি করইন আর বারে বারে কুরবানি আদায় করইন,
তা-ও অউ লাখান কুরবানিয়ে কুনুদিনউ গুনারে ধইয়া ছাফ করতো পারে না।
১২ অইলে আল-মসীয়ে তো চিরকালর গুনার মাফির লাগি খালি একবারউ কুরবানি অইয়া,
আরশে-আজিমো আল্লার ডাইনর তখতো তশরিফ রাখছইন।
১৩ আর হউ সময় থাকি তাইন বার চাইরা,
যতদিন পর্যন্ত দুশমন অকলরে তান পাওর তলাত ফালাইয়া চুরমার করা না অয়,
অতো দিন বার চাইবা।
১৪ কারন তান অউ একবারর কুরবানির উছিলায় যেরারে পাক-ছাফ করা অইছে,
এরারে চিরকালর লাগিউ তাইন পুরাপুর কামিল করছইন।
১৫ অউ বেয়াপারে আল্লার পাক রুহেও আমরার গেছে সাক্ষি দিরা,
তাইন পয়লা কইছইন,
১৬ আমি মাবুদে কইরাম,
ই জমানার বাদে আমি বনি ইছরাইলর লগে,
আমার নয়া অউ উছিলা কাইম করমু,
আমার শরিয়ত তারার দিলর মাজে দিমু,
তারার অন্তরর মাজে আমি লেখিয়া দিমু।
১৭ বাদে হিরবার কইরা,
আমি তারার নাফরমানি আর গুনারে
আর কুনুদিনউ মনো রাখতাম নায়।
১৮ তে বুজরায় নি,
আল্লায় যেবলা গুনা আর নাফরমানিরে মাফি দিলাইন,
এরবাদে তো গুনার লাগি কুনুজাত কুরবানিরউ জরুর নাই।
ইমানে মজবুত রওয়ার পরামিশ
১৯ এরলাগিউ ও ভাই অকল,
হজরত ইছা আল-মসীর লউর জরিয়ায়,
আমরা বেহেস্তি খাছ পাক জাগাত হামানির সাওস পাইছি।
২০ আল-মসীয়ে আমরার লাগি নয়া আর জিন্দা এক তরিকা খুলছইন,
তান শরিল কুরবানির উছিলায় আমরা যানু খাছ পাক জাগার দুয়ারর পর্দা পার অইয়া,
আল্লার ছামনে আজির অইতাম পারি।
২১ তে আমরার একজন পরধান ইমামও আছইন,
আল্লার পরিবারর তামাম মানষর জিম্মা তো তান আতো দেওয়া অইছে।
২২ এরলাগি আও,
ইমানর মাজদি আমরা পুরাপুর নিচ্চিত বনিয়া খাটি দিলে আল্লার দরবারো আজির অই;
কারন দুষি বিবেকর আত থাকি আমরার দিলরে আল-মসীর লউয়ে পাক-ছাফ বানাইছে,
আর পরিস্কার পানি দিয়া আমরারে নাওয়াইল অইছে।
২৩ মুমিন হিসাবে আমরার দিলো যে ভরসা আছে কইয়া স্বীকার করি,
আও,
অউ ভরসায় পুরাপুর মজবুত রইয়া তান তরিকায় চলি,
কারন যেইন ওয়াদা করছইন এইন তো ষোলআনা হক-হালালি।
২৪ আমরা একে-অইন্যর লাগি খিয়াল করি,
মহব্বত আর নেক কাম করার লাগি একে-অইন্যরে সাওস-পরামিশ দেই।
২৫ কুনু কুনু জনর স্বভাব অইলো,
তারা জমাতো আইয়া শরিক অয় না,
অইলে আমরা যানু অউ লাখান না অই।
আল-মসীয়ে দুছরা বার তশরিফ আনার অখত যতো ঘনাইয়া আইওর,
আমরা অতো বেশি করি একে-অইন্যরে সাওস-পরামিশ দেওয়াত রই।
২৬ আল্লা পাকর হক তরিকা জানার বাদেও যুদি আমরা জানিয়া-হুনিয়া গুনা করাত রই,
তে ই গুনার কফরার লাগি কুনুজাতর কুরবানি নাই।
২৭ আছে খালি হাশরর ময়দানো কঠিন বিচারর লাগি ডরাই ডরাই বার চাওয়া,
আর আল্লার দুশমন অকলরে জালাইয়া ছালি করার গজবর ডর।
২৮ কুনু জনে মুছার শরিয়তর হুকুম-আহকামর বরখেলাফ করলে,
এরে কুনু মায়া-মমতা না করিয়া দুই বা তিনজনর সাক্ষি লইয়া কাতল করিলতে অয়।
২৯ তে চিন্তা করি দেখউক্কা,
যে জনে আল্লার খাছ মায়ার জন ইবনুল্লারে ঘিন করে,
হে আরো কত বড় আজাবর ভাগি অইছে!
যে লউর উছিলায় হে পাক-ছাফ অইছে,
আল্লাই হউ উছিলার লউরে হে এলামি করছে,
আর যে পাক রুহে রহমত বখশিয়া দেইন,
হউ রুহরেও বেইজ্জত করছে।
৩০ আসলে আমরা তো তানরে চিনিউ,
যেইন ফরমাইছইন,
নাফমানির সাজা দেওয়া আমারউ কাম,
আমল মাফিক বদলা দিমু তামাম ইনছান।
আরক আয়াতো তাইন কইছইন,
মাবুদে তান বন্দা অকলর বিচার করবা।
৩১ বুজরায় নি,
জিন্দা আল্লার ছামনে আজিরা দেওয়া কত বড় মছিবতর বেয়াপার!
৩২ তুমরা হউ দিনর কথা ইয়াদ করো,
যেবলা ইছার তরিকার নুরর পথ পাইয়া হারি,
বউত নমুনার জুলুম-মছিবতর মাজেও মজবুত রইছলায়।
৩৩ কুনু কুনু সময় সমাজর ছামনে বেইজ্জতি,
জুলুম-টিটকারি,
টাট্টা-মশকরা হুনিয়াও তুমরা নিজে কষ্ট সইয্য করছলায়।
আর কুনু কুনু সময় অইন্যর উপরে অউ লাখান কষ্ট আইছে হুনিয়া,
তারার লগে তুমরাও দুখিত অইছলায়।
৩৪ তুমরার মাজর যেরা জেল খাটিছলা,
তারার দুখে তুমরাও দুখি অইছলায়।
তুমরার ধন-ছামানা লুট-পাট করা অইলেও খুশি আছলায়,
আসলে বুজতায় পারছলায়,
তুমরার লাগি আরো বউত ভালা ভালা ছামানা জমা আছে,
যে ছামানা চিরকাল রইবো।
৩৫ তে অখন তুমরার হি মনোবল খুয়াইও না,
এর মাজে তো বউত দামি পুরুস্কার আছে।
৩৬ তুমরা মজবুত রওয়া দরকার,
যাতে আল্লায় যে পুরুস্কার দিবা করি ওয়াদা করছইন,
তান মর্জি মাফিক চলিয়া তুমরাও হউ পুরুস্কার পাও।
৩৭ আল্লায় তো কইছইন,
আর থুড়া কয়খান দিন বাকি আছে,
যেইন তশরিফ আনার কথা,
তাইন তশরিফ আনিলিবা,
বেশি দেরি করতা নায়।
৩৮ আমার দীনদার বন্দায় ইমানর বলেউ আখের পাইবো,
অইলে কেউ খরেদি পিছলি গেলে তার উপরে আমি খুশি রইতাম নায়।
৩৯ অইলে আমরা তো খরেদি পিছলিয়া বিনাশ অওয়ার মানুষ নায়।
যেরা ইমান আনিয়া নাজাত হাছিল করে,
আমরা অইলাম হউ দলর মানুষ।