গুলামির বেশে খেজমত করো
 অখন জমাতর মুরব্বি অকলরে কইরাম,
আমিও তো একজন মুরব্বি,
আমি নিজর চউখে আল-মসীর দুখ-কষ্ট দেখছি,
আর তান যে মহিমা জাইর অইবো,
অউ মহিমাতও শরিক অইমু।
আমি মিনত করি কইরাম,
 আল্লাই যে মেড়ার পাল তুমরার আওতায় আছইন,
এরার রাখালি করো।
তারার ইমামতি করো,
করা লাগবো করি না করিয়া বা দুনিয়াবি লাভর আশায় না করিয়া,
খুশ দিলে করো।
আল্লায় তো অলা ইমামতিউ আশা করইন।
 তুমরার আওতায় যেরা আছে,
এরার উপরে মুছদ্দরি করিও না,
বরং পালর রাখালি করিয়া তারার গেছে নমুনা বনো।
 তেউ হউ পরধান রাখাল ইছায় যেবলা দুনিয়াত হিরবার তশরিফ আনবা,
অউ সময় তুমরা পুরুস্কার হিসাবে অলা এক জয়র মালা পাইবায় যেতা কুনুদিন বিনাশ অইতো নায়।
 অউ লাখান জুয়ান অকলেও তুমরার মুরব্বিরে মানিয়া চলো।
গুলামির বেশে হকলেউ একে-অইন্যর খেজমত করো,
যেলা আল্লার কালামো আছে,
 
আল্লায় অহংকারির বিরুদ্ধে থাকইন,
নরম দিলর মানষরে রহম করইন।
 
 এরলাগি আল্লার খেমতার ছামনে তুমরা নতো অও,
তেউ সময় মত আল্লায় তুমরারে উচা করবা।
 আল্লায় তো তুমরারে লইয়াউ চিন্তা করইন,
এরলাগি হকল চিন্তা-ভাবনার ভার তান উপরে দিলাও।
 তুমরা নিজরে সামলাইয়া রাখো আর হুশিয়ার অও।
কারন তুমরার দুশমন ইবলিছে গর্জন কররা বাঘর লাখান,
তুমরারে খাইলিতো করি খাপ ধরিয়া ঘুরের।
 এরলাগি ইমানে মজবুত রইয়া তার মুকাবিলা করো।
তুমরা তো জানো,
দুনিয়ার হকল জাগাত তুমরার ইমানদার ভাইয়াইন্তে একই লাখান দুখ-কষ্ট করের।
১০ রহমানুর রহিম আল্লা পাকে তুমরারে দাওত দিছইন আল-মসীর লগে অইয়া তান চিরস্থায়ী মহিমার ভাগি অওয়ার লাগি।
থুড়া কয়দিন দুখ-কষ্ট করিয়া হারলে,
তাইন নিজেউ তুমরারে ঠিক-ঠাক করবা আর থির রাখবা,
তুমরারে বলবান করিয়া মজবুত খুটির উপরে খাড়া করাইবা।
১১ তান রাজ-খেমতা হর-হামেশা জারি রউক।
আমিন।
শেষ কথা
১২ অউ চিঠিখান আমি সিলাছ মহরির ছাবরেদি খুব কম কথায় তুমরার গেছে লেখাইছি,
আমি তানরে হক-হালাল ভাই মনো করি।
আমি চাইরাম আল্লার খাছ রহমতর অউ সাক্ষি হুনিয়া তুমরার সাওস বাড়উক,
আর তুমরা অনো থির অইয়া রও।
১৩ আল্লায় তুমরার লগে যেরারে পছন্দ করছইন,
হউ বাবিল টাউনর মুমিন অকলে তুমরারে ছালাম জানাইরা,
আর আমার ধর্মর পুয়া মার্কুছেও তুমরারে ছালাম জানাইরা।
১৪ তুমরা একে-অইন্যে মহব্বতে গলাগলি করিও।
তুমরা যেরা আল-মসীর আপন জন অইছো,
তুমরার উপরে শান্তি নাজিল অউক।
আমিন॥