মেড়ার বাইচ্চা আর নিখুত মানুষ
১৪
 বাদে আমি চাইয়া দেখি,
হউ মেড়ার বাইচ্চা জেরুজালেমর পবিত্র ছিয়ন পাড়র উপরে উবাই রইছইন।
তান লগে আছইন এক লাখ চৌচাল্লিশ আজার মানুষ।
তারার কপালর উপরে অউ মেড়ার বাইচ্চা আর তান গাইবি বাফর নাম লেখা আছে।
 এরবাদে আমি বেহেস্ত থাকি জুরে জুরে কল-কলাইয়া যাওয়া পানির ফুতর আওয়াজ আর জুরে ঠাঠা পড়ার শব্দর লাখান এক আওয়াজ হুনলাম।
আমার মনো অইলো,
কুনু সারিন্দা বাজাওরা দলে সারিন্দা বাজাইরা।
 এরা হউ তখত,
হউ চাইরো জানদার আর হউ মুরব্বি নেতা অকলর ছামনে এক নয়া গজল গাইরা।
কুনু মানষে ই গজল হিকতো পারলো না,
খালি দুনিয়া থাকি খালাছ করি নেওয়া অউ এক লাখ চৌচাল্লিশ আজার জন ছাড়া।
 এরা তো হউ মানুষ,
যেরা কুনু বেটিন্তর লগে জিনা করিয়া নিজর কায়ারে নাপাক বানাইছে না।
অউ মেড়ার বাইচ্চা যে জাগাত যাইন,
তারাও এন খরে খরে রইন।
আল্লা আর মেড়ার বাইচ্চার নামে খেতর পয়লা ফসল হিসাবে এরারে জগতর মানষর গেছ থাকি খালাছ করা অইছিল।
 এরা কুনুদিনও মিছা মাত মাতিছইন না,
এরা ষোলআনা নিখুত।
আখেরি সাতটা গজব (১৪:৬-১৬:২১)
তিন জন ফিরিস্তা
 বাদে আমি আরক জন ফিরিস্তা দেখলাম,
এইন আছমানর মাজেদি উড়িরা।
দুনিয়াত বসত কররা পরতেক দেশ,
পরতেক খান্দান,
পরতেক ভাষায় মাতরা আর পরতেক জাতির মানষর লাগি চিরকালিন খুশির খবর তান গেছে আছে।
 তাইন জুরে জুরে এলান করলা,
“আল্লা পাকরে ডরাও,
তান ইজ্জত-তারিফ করো,
তান বিচারর সময় আইচ্ছে।
যেইন আছমান-জমিন,
দরিয়া আর খাল-বিল,
গাং অকল পয়দা করছইন,
তান এবাদত করো।”
 বাদে তান খরে খরে দুছরা ফিরিস্তা আইয়া কইলা,
“বিনাশ অইগেল,
বিনাশ অইগেল,
হউ নামকরা বাবিল টাউন বিনাশ অইগেল।
যে টাউনে তাইর জিনার কামর কড়া নিশা-পানি হকল জাতিরে খাওয়াইছে,
তাই বিনাশ অইগেল।”
 বাদে তিন নম্বর ফিরিস্তা এরার খরে খরে আইয়া জুর গলায় কইলা,
“কুনু মানষে যুদি অউ জানুয়ার আর অগুর মুর্তির পুজা করে,
অগুর সীল তার আতো বা কপালো লাগায়,
১০ তে হে-ও আল্লাই গজবি নিশা-পানি খাইতে অইবো।
অউ নিশার লগে কুনুজাত পানি না মিশাইয়া আল্লাই গজবি বাটিত ভরা অইছে।
পবিত্র ফিরিস্তা অকল আর আল্লাই মেড়ার বাইচ্চার ছামনে,
আগুইন আর গন্ধক দিয়া ই মানষরে সাজা দেওয়া অইবো।
১১ যে আগুনিত ইতারে জালাইল অইবো,
ই আগুনির ধুমা কুনুদিন বন্দ অইতো নায়।
যে মানষে অউ জানুয়ার আর তার মুর্তির পুজা করবো,
অগুর নামর হউ সীল লাগাইবো,
হে দিন-রাইত কুনু সময়উ আজাব থাকি রেহাই পাইতো নায়।”
১২ এরলাগি যেরা আল্লার হুকুম মানে আর হজরত ইছার তরিকার ইমানে মজবুত রয়,
আল্লার অউ পাক বন্দা অকলে ই হালতর মাজে ছবর থাকা জরুর।
১৩ বাদে আমি হুনলাম,
বেহেস্ত থাকি একজনে কইরা,
“অউ আয়াত লেখ,
অখন থাকি মালিকর তরিকাত রইয়া যতো জনর জান যাইবো,
এরাউ নেক-কপালি।”
পাক রুহে অউ সাক্ষি দিরা,
“নিচ্চয় এরাউ নেক-কপালি।
তারার কাম-কাজ থাকি তারা রেহাই পাইবা,
কারন তারার কামর ফল তারার লগে লগে রইবো।”
দুনিয়ার ফসল কাটা
১৪ বাদে আমি চাইয়া দেখলাম,
ধলা এক মেঘর চাকা,
অউ চাকার উপরে বিন-আদমর লাখান কেউ একজন বওয়াত আছইন।
তান মাথাত সোনার তাজ আর আতো আছিল ধারাইল কাচি।
১৫ বাদে আরক জন ফিরিস্তা বেহেস্তি এবাদত খানা থাকি বার অইয়া আইলা,
আর যেইন মেঘর উপরে বওয়াত আছলা তানরে জুরে চিল্লাইয়া কইলা,
“দুনিয়ার ফসল কাটিবার সময় অইছে,
ফসল পুরাপুর পাকি গেছে,
আপনার কাচি লাগাউক্কা আর ফসল কাটউক্কা।”
১৬ তেউ অউ মেঘর চাকার উপরে যেইন বওয়াত আছলা,
এইন দুনিয়াত তান কাচি লাগাইলা আর দুনিয়ার ফসল কাটা অইলো।
১৭ বাদে বেহেস্তর এবাদত খানা থাকি আরক জন ফিরিস্তা বার অইয়া আইলা,
তান গেছেও একখান ধারাইল কাচি আছিল।
১৮ এরবাদে কুরবানি খানার গেছ থাকি একজন ফিরিস্তা বার অইয়া আইলা,
তান খেমতা আছিল আগুনির উপরে।
আইয়া তাইন জুরে জুরে হউ কাচি আলা ফিরিস্তারে ডাকিয়া কইলা,
“তুমার ধারাইল কাচি খান লাগাও আর দুনিয়ার আংগুর গাছ থাকি আংগুরর ছড়িন কাটিয়া দলা করো,
ইতা তো পাকি গেছে।”
১৯ তেউ হউ ফিরিস্তায় দুনিয়াত তান কাচি লাগাইলা আর দুনিয়ার আংগুর গাছর হকল আংগুর দলা করিয়া,
আংগুর মাড়ার গাতো ফালাইলা।
অউ গাত অইলো আল্লার গজবর মহা গাত।
২০ টাউনর বারে আংগুর মাড়ার গাতো ই আংগুর মাড়িয়া হারলে,
ইতা থাকি লউ বার অইলো,
ই লউর বইন্যায় ঘোড়াইন্তর লাগাম পর্যন্ত আইয়া ছইলো।
লউয়ে এক আজার ছয়শো স্তাদিয়া (অনুমান দুইশো মাইল) জাগা ডুবি গেল।